আষাঢ় চলে যাবার সময়

আষাঢ় চলে যাচ্ছে, অথচ কবিতা বেরুচ্ছে না, এই ব্যাপারটা নিতেই পারছি না। এত এত স্তব্ধ করে রাখা বৃষ্টি, মেঘ, রংধনু দেখেও আমি কিছুই লিখতে পারছি না।
হায়! এ যে কত বড়ো যন্ত্রণা, তা কাউকে বোঝাতে পারব না।




আমার প্রেমিকার চোখে-পরা কাজল, চোখের জলের সাথে মিশে চুয়ে চুয়ে বৃষ্টির পানির সাথে একাকার হয়ে গেছে।
আমি স্বার্থপর শিল্পী প্রেমিক, প্রেমিকার অশ্রু মুছতে যাইনি। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য চেখে দেখেছি। 




ওই কান্না রুমালে মুছে ফেলার অন্যায় আমি করতে পারিনি, আর পারিনি বলেই আমার প্রেমিকা অন্যের প্রেমিকা হয়ে গেছে।
সে ওই প্রেমিকের‌ই হাত ধরেছে, যে কিনা প্রেমিকা কাঁদলে কাঁধ পেতে দেয়, বেচারা চুপচাপ চেয়ে দেখতে জানে না কান্না আর কাজলের জলকেলি। আহারে...
ওর মতন নির্বোধই এমন বুদ্ধিহীন সুন্দরীর প্রেমিক হবার যোগ্যতা রাখে, আমি তার যোগ্য নই।




আষাঢ়ের অপেক্ষায় যে প্রেমিক পড়ে থাকে বাকি এগারো মাস, সে কি আর প্রেমিকা হারানোর ভয় করে?