আর দেরি নেই

আমার বাড়ন্ত তারুণ্য জিজ্ঞেস করে:
আর কদ্দিন?
আপাত-ভয়ঙ্কর দুরন্ত যৌবন-সত্তা
নির্দ্বিধায় উত্তর দেয়: ধরো, আর দেরি নেই।




উদ্‌বেলিত তরবারি ঈষৎ হেলার‌ও জো নেই,
নির্মম হন্তারক নৈয়ায়িকের কণ্ঠের অপেক্ষায়,
মুমূর্ষু গত-সৃষ্টি সতেজ নব্য-সৃষ্টির ঐকান্তিক আশায়
খড়্গতলে মাথা নত—বজ্রের কাছে;
সুতরাং জয় আমার সুনিশ্চিত।




বুলেট বিদ্রোহী হলো।
ট্রিগারের সুকঠিন আঘাতে
মেশিনগানের রুদ্র পথে
মৃত্যু নিশ্চিত হয়েও শেষমেশ এল না।
নিরস্ত্র সত্যসেনার অগ্নিদৃষ্টির অনলে
দগ্ধ হলো অনাসৃষ্টি;
তখন একটা অস্ত্র এল . . . দৃঢ় সম্বল এক—
মৃত্যু বিদ্রোহী হলো।




মেশিনগানের বুলেটবিদ্ধ সত্যসেনার বুক,
প্রতিপক্ষের ঝলসে গেল চোখ।
বারুদমেশানো হাত কচলে
অন্ধ হলো গোটা ভবিষ্যৎ।




অবশেষে নির্জীব, নিষ্প্রাণ,
অতঃপর স্থবির আমার
তারুণ্যের সংলাপে
অতন্দ্র অক্লান্ত অমোঘ—সত্য;
তবু বিস্মিত সে নয়।




নির্লিপ্ত জবাব আসে:
ধরো, আর দেরি নেই…।