আবার যদি দেখা হয়



: আমি তোমার কাছে পৌঁছুব কী করে?"—লিখতে শিখতে হবে তোমাকে নিয়ে; কাজটা ভীষণ কঠিন!
: কেন?

: আমার শব্দের ভাণ্ডার যে সীমিত, অতটা সমৃদ্ধ নয়।
: অভিধানের পাতা উলটে কিছু পেলে?
: না।
: লেখালেখি করতে কিছু রসদ লাগে—কিছুটা প্রেম, খানিক বিরহ, তোমার স্পর্শ। তোমার অনুভূতির দিকে তাকিয়ে দেখেছ? অনুভূতির কাছে এই শব্দের প্রাচুর্য কিন্তু একেবারেই নগণ্য—যা তোমার রয়েছে।

: সত্যিই আমি তোমাকে ভেবে লিখতে পারছি? তুমি আমার লেখা পড়ো?
: শুধু পড়িই না—তীব্রভাবে অনুভব করি। তুমি আমায় এতটা আত্মস্থ করলে কী করে?

: কঠিন প্রশ্ন, ভাবতে হবে।
: আমি জানি, উত্তরটা তুমি ইচ্ছে করেই দিলে না।
: তোমার প্রশ্নের মধ্যেই যে উত্তরটা রাখা ছিল। তোমার সাথে কথা না হলে আমার ভীষণ কষ্ট হবে তোমার জন্য—তবে, তোমাকে সেই খবরটা জানাব না কখনোই।
: কী যে বলো! তুমি আমাকে ছেড়ে, নিজেকে ছেড়ে—কোত্থাও যেতে পারবে না।

: আমাদের কথা হওয়াটা জরুরি নয়।
: আর আমাদের অনুভূতির?—তাদের কথা বলাটা যে জরুরি, তা বুঝতে পারছ?
: হা হা হা। তুমি আমাকে এত প্রশ্রয় দিয়ো না।
: যে-মানুষটা আমার একান্তই নিজের—তাকে প্রশ্রয় দিলে ক্ষতি কী?

: তুমি আমায় ভালোবাসো?
: কাঁদছ কেন?
: ভালো থেকো—আবার যদি আমাদের কখনো দেখা হয়, সেদিন নাহয় আমার চোখের জল মুছে দিয়ো।