আঁধারের আলোয়

দরজা খুলে যায়
ব্যক্তিগত গুহার কাছে এসে:
সেখানে অপেক্ষায়
একেকটি নিবিড় প্রেমের রাত্রি।
খাঁচায় বন্দি মৌসুমী হাওয়া।
সেই ঘরের পাহারায়
ঘরটা নিজেই। সেই ঘর
পরায় হাতকড়া নৈঃশব্দ্যের হাতে।




দিনের সমর্পণ যখন
খোঁজে পরিপূর্ণতা,
তখন তুমি না এলে
জমে কী করে!
তুমিই এই সমস্ত উপলক্ষ্যের
নরম বালিশ, বিছানার কোণে
দিনশেষের নির্ভার আশ্রয়।




পায়ের মোজাজোড়া বলের আকৃতিতে গড়ায়
সোফায়, শার্ট আশ্রয় পায় চেয়ারের শক্ত কাঁধে,
প্যান্টের পকেটে রুমাল থাকে ঘামের অপেক্ষায়;
প্যান্টের এক পা খাটে, আরেক পা বিছানা-কিনারে,
অন্তর্বাস লুকোয় খাটের নিচে কিংবা পাশে।




এভাবেই রাত নামে... সেইসব রাত,
যখন দিনের উদ্যম ফুরোয় না রাতেও।
সেইসব রাতে নামে বস্তুত আরেকটি দিন।
সেইসব রাতের যাপন অন্ধকারে নয়,
হয় বৈদ্যুতিক বাতির সুইচে;
তুমি এলে এমনি করেই
স্বপ্ন জাগে আঁধারের আলোয়।
Content Protection by DMCA.com