অরূপের আরতি: ৩




এগারো।

সৃষ্টির প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত ধর্ম সম্পর্কে নানা মতবাদ প্রচলিত হয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে একটিও ধর্ম তার স্বাভাবিক অর্থে প্রতিষ্ঠিত নয়। প্রত্যেক মতই কেবল কিছু অনুশাসন ও আচার-অনুষ্ঠানের সমষ্টি, জীবনশক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন এক নির্জীব কাঠামো। সব ধর্মমতেই এই একই অবস্থা। এদের নিজস্ব কোনো স্বাধীন শক্তি নেই; মানুষ মানলে এরা ধর্ম, না মানলে কিছুই নয়। যেটি মানুষ ইচ্ছেমতো গ্রহণ বা বর্জন করতে পারে, তার মধ্যে জীবনের কোনো স্বতঃস্ফূর্ত স্ফুরণ থাকা কল্পনাতেও সম্ভব নয়। যদি এরা স্বভাবে স্বাধীন শক্তিধর হতো, তবে কাউকে ইচ্ছা করে এদের ত্যাগ বা গ্রহণ করানো সম্ভব হতো না।

সকল ধর্মমতই মূলত ধর্ম-ধাতু বা জীবনীশক্তির উপর নির্ভরশীল। যেখানে জীবন নেই, সেখানে ধর্মেরও কোনো প্রশ্ন ওঠে না। মানবদেহে যতক্ষণ জীবন থাকে, ততক্ষণই ধর্ম ও অধর্মের ধারণা বিদ্যমান।

জীবন কী?—পরমাণু ও অণুর সংযোগেই জীবনের উদ্ভব।

জীবন থাকে কোথায়?—মানবের বীর্য বা বিন্দুর সমষ্টির মধ্যেই জীবন নিহিত। তাই মানব-বীর্যকে সর্বশাস্ত্রে ধর্ম-ধাতু বলা হয়। এই ধর্ম-ধাতু থেকেই মানবজাতির সৃষ্টি।

অতএব, সকল মানুষের ধর্মে অধিকার সমান, স্বাভাবিক ও জন্মগত। তাই কেউ না বুঝে যদি বলে—“আমি ধর্ম মানি না” বা “বিশ্বাস করি না”—তবে সে নিজের জীবন-সত্যকেই অস্বীকার করে। যারা এইরূপ ভাব পোষণ করে, তাদের জন্যই এই কথা বিশেষভাবে পাঠ ও উপলব্ধির যোগ্য।

এই বিশ্বে অতীত থেকে ভবিষ্যৎ পর্যন্ত এমন কোনো আস্তিক বা নাস্তিক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ জন্মায়নি এবং জন্মাবে না, যে এই ধর্মভিত্তিকে অস্বীকার করে। হিন্দু, মুসলমান, জৈন, পারসিক ইত্যাদি ধর্মমত মানুষ যে-কোনো সময়ে গ্রহণ বা ত্যাগ করতে পারে; কোনো মতবাদই তাকে তাতে বাধা দিতে পারে না। কিন্তু এমন কেউ কি আছে, যে জীবন বা জীবনীশক্তিকে একবার গ্রহণ করে পরে বর্জন করতে পারে?—না, কখনোই নয়।

সুতরাং, সমস্ত ধর্মমতের একমাত্র জীবন্ত ও স্বাভাবিক ভিত্তি হলো জীবন বা জীবনীশক্তি, যা সর্বশাস্ত্রে অনুমোদিত। কিন্তু সাধারণ মানুষ এই ধর্ম সম্পর্কে সচেতন নয়; তারা কেবল প্রচলিত মতবাদকেই ধর্ম বলে জেনে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে মানবধর্ম কখনও দুই নয়—এটি এক ও অদ্বিতীয়, যা জীবন্ত এবং মানবদেহের সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে যুক্ত। জীবন ছাড়া মানুষ নিজের অস্তিত্বও বুঝতে পারে না।

অনেকে হয়তো মনে করে—পরমাত্মা, আত্মা, ব্রহ্ম, প্রচলিত মতবাদ, জ্ঞান-ভক্তি-প্রেম—এসবই ধর্ম। কিন্তু তারা কি ভেবেছে, যেখানে জীবন নেই, সেখানে বোধ থাকবে কোথায়? আর বোধ ছাড়া কে কাকে ধর্ম বলে চিনবে? যা-কিছু আমরা বুঝি বা গ্রহণ করি, তা জীবনের মধ্য দিয়েই, বোধের মাধ্যমে। বোধ ছাড়া বোঝার আর কোনো পথ নেই। এমনকি পূর্ণ চৈতন্যময় পরমাত্মা সর্বত্র বিদ্যমান থাকলেও, যদি বোধ না থাকে, তবে তাকে কে চিনবে বা অনুভব করবে? জীবন ছাড়া বোধের বিকাশ মানবদেহে কল্পনাতেও সম্ভব নয়।

যে-ধর্ম জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই জীবন্তভাবে মানুষের মধ্যে বিদ্যমান, তাকে অস্বীকার করে চলার চেষ্টা যেমন অস্বাভাবিক, তেমনি অমানবিক। ধর্ম মানে স্বভাব—যেমন ক্ষিতির ধর্ম মানে ক্ষিতির স্বভাব, অপের ধর্ম মানে অপের স্বভাব, তেজের ধর্ম মানে তেজের স্বভাব, মরুত ও ব্যোমের ধর্ম মানে তাদের স্বভাব। তেমনি পঞ্চতত্ত্বের অভিন্ন স্বাভাবিক ধর্মই তার স্বভাব। তাই সমগ্র মানবজাতির প্রকৃত ধর্ম যে এক, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

যতদিন পর্যন্ত সমস্ত মানবজাতিকে এই এক ধর্ম ও পূর্ণ মনুষ্যত্বের এক বোধে জাগ্রত না করা যাবে, ততদিন মানুষে মানুষে ভেদ, হিংসা, দ্বেষ ও নৃশংসতা দূর হবে না। এক বোধের জাগরণ ছাড়া বিশ্বমানব একত্রিত হয়ে পূর্ণতার পথে অগ্রসর হতে পারবে না।

জীবনকে কেন্দ্র করেই ধারণশক্তির উদ্ভব—কারণ জীবনেই সব ধারণশক্তি নিহিত। জীবন একইসঙ্গে দেহ, মন, প্রাণ ও বোধকে ধারণ করে। ধর্ম মানে স্বভাব—জীবনের স্বভাব হলো দেহ, মন, প্রাণ ও বোধকে ধারণ করা। তেমনি মানুষের স্বাভাবিক ধর্ম হলো জীবনকে ধারণ করা। কিন্তু মানুষ এখনও সেই স্বভাবধর্ম সম্পূর্ণভাবে পালন করতে পারেনি। যদি সাধনা, যোগ, তপস্যার শক্তি দিয়ে জীবনকে সম্পূর্ণভাবে ধারণ করতে পারত, তবে মৃত্যুর কবল থেকে মুক্তি পেত।

জীবন তার স্বভাব পালন করে চলেছে, কিন্তু মানুষ এখনও তার কর্তব্য সম্পাদনের উপায় খুঁজে পায়নি। যে-স্বভাব নিজ অঙ্গে বিশ্ব ও জন্ম-মৃত্যুকে ধারণ করে চিরঅমরভাবে বিদ্যমান, তাতে অমরপথ নিহিত নেই—এ কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। অমরপথ প্রকৃতিতে নয়, স্বভাবেই নিহিত, কারণ এই স্বভাবই দান করেছে মানবদেহ, মন, প্রাণ, বোধ এবং সমগ্র মানবপ্রকৃতি।

বারো।

জীবন একাধারে দেহ, মন, প্রাণ, বোধ, জ্ঞান, ভক্তি ও প্রেমকে নিজের অঙ্গে ধারণ করে এবং সকলের কাছে সেই ধারণশক্তি বা নিজ ধর্ম শিক্ষা দিয়ে চলেছে। কিন্তু এমন স্বভাব-শিক্ষার্থী নেই, যে সেই শিক্ষা গ্রহণ করে। আমরা জীবনকেই ধরে বেঁচে আছি— জীবন থাকলেই আমাদের অস্তিত্ব, আর জীবন না থাকলে কোনো অস্তিত্ব নেই। যেখানে জীবন নেই, সেখানে আমি, তুমি, দেবতা, ঈশ্বর, ভগবান, জ্ঞান, ভক্তি, প্রেম— কিছুই নেই। জীবনই যুগে যুগে, কালে কালে, সর্ব জীবের মধ্যে জীবন্ত ধর্মরূপে বিদ্যমান।

জীবন তার নিজ ধর্ম স্বভাবতই পালন করে চলেছে, কিন্তু মানুষ আজও তার সেই অনন্ত রহস্যময় ব্যূহ ভেদ করে অমর পন্থার সন্ধান পায়নি। অসংখ্য ধর্ম পালন করেও মানুষ নিজের মধ্যে ধর্মের অভাব পূরণ করতে পারেনি।

জীবন তার কর্তব্য পালন করে যাচ্ছে, কিন্তু মানুষ এখনও সেই কর্তব্য সম্পাদনের পন্থাও খুঁজে পায়নি। যে-স্বভাব নিজের মধ্যে বিশ্ব ও জন্ম-মৃত্যুকে ধারণ করে চিরঅমর রূপে জীবন্তভাবে এখানে বিদ্যমান— তাতে অমর পন্থা নেই, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?

মানুষ অমর পন্থা খুঁজেছে প্রকৃতিতে, অথচ স্বভাবে যে-পথ নিহিত, তাকে প্রকৃতিতে খুঁজে পাওয়া যায় কেন? সেই পথ খুঁজতে হবে স্বভাবের মধ্যেই— যে স্বভাবের দান মানুষকে দিয়েছে দেহ, মন, প্রাণ, বোধ ও সমগ্র মানবপ্রকৃতি।

এই স্বভাবই তথাকথিত অনন্ত ধর্মপন্থার একমাত্র মূল। জীবনের কোনো পরিবর্তন নেই।

ধর্ম বাস্তব সত্য, কল্পনার সমষ্টি নয়। যদি ধর্ম সকল মানুষের এক না হয়, তবে কর্মও সকল মানুষের এক হতে পারে না। সুতরাং প্রথমেই দেখা দরকার— সকল মানুষের ধর্ম কি এক?

তেরো।

জীবন প্রত্যেক দেহে স্বতন্ত্রভাবে বিদ্যমান, আর প্রতিটি দেহই জীবন দ্বারা ধারণকৃত। কিন্তু আজও মানুষ তার শরীরে জীবনকে সম্পূর্ণরূপে ধরতে সক্ষম হয়নি। আমরা জীবনকে নিজের ভেতর পেয়েও তাকে আঁকড়ে ধরতে না পারায়, তাকে সত্যিকার অর্থে "আপন" বলবার অধিকারও আমাদের নেই। অথচ জীবনই সব কিছুর ধারণশক্তির মূল—এ কথা জ্ঞানী-অজ্ঞানী সবাই সহজেই বুঝতে পারে।

জীবনের ক্রম-প্রকাশই দেহ, মন, প্রাণ ও বোধ। সুতরাং যদি জীবনকে সত্যিকার অর্থে ধারণ করা যায়, তবে সব কিছুকেই ধারণ করা সম্ভব। মানুষে ধর্ম জীবন্তভাবে বিদ্যমান, কিন্তু মানুষ তা দ্বারা অনুপ্রাণিত হলেও তাকে ধরে রাখতে পারে না। মানুষ যা-কিছু করে, সবই জীবনের জন্য। এই জীবন অনন্তভাবে, অনন্ত নামে ও অনন্ত প্রকৃতিতে নিজেকে রূপান্তরিত করে বিশ্বকে ধারণ করছে। তাই জীবনই একমাত্র পূর্ণ ধর্ম, যেখানে সবরকম ধারণশক্তি নিহিত।

জীবনের তিনটি রূপ আছে—
১) খণ্ড, অর্থাৎ জীবদেহ
২) অখণ্ড, অর্থাৎ বিশ্ব-প্রকৃতি
৩) স্বতন্ত্র বা স্বভাব, অর্থাৎ পূর্ণ বিন্দু

এই তিনটির যে-কোনো একটির মধ্যেই তিনটির অভিন্ন রূপ লুকানো আছে, যা কেবল বোধের মাধ্যমে উপলব্ধি করা সম্ভব। যতদিন মানুষ জীবনকে ধারণ করার সামর্থ্য অর্জন করতে পারবে না, ততদিন মানুষের দেহগত কর্ম পূর্ণ হবে না। যখন একদিন দেখা যাবে, জীবন যেমন মানুষকে ধারণ করছে, তেমনি মানুষও জীবনকে ধারণ করতে পারছে, তখনই বুঝতে হবে মানুষের জীবনের কর্তব্য পূর্ণ হয়েছে। তখন আর পরস্পরকে ত্যাগ করার প্রশ্নই থাকবে না।

যা আপনার করে পাওয়া যায় না, কিংবা আপন করে রাখা যায় না, তাকে কখনও "আপন" বলা যায় না। সুতরাং মানবদেহে জীবনকে ধারণ করা মানুষের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য।

যুগে যুগে বহু সাধু, যোগী, ঋষি, মুনি ও তপস্বী আবির্ভূত হয়েছেন—কেউ প্রেম, কেউ জ্ঞান, কেউ ভক্তি, কেউ কর্ম প্রচারের জন্য। কিন্তু তাঁরা সকলেই অসম্পূর্ণ অবস্থায় বিদায় নিয়েছেন। কারণ, তাঁরা জীবনকে নিজেদের দেহে সম্পূর্ণরূপে ধারণ করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারেননি।

এতে প্রমাণ হয়—প্রথম কর্তব্য হলো জীবনকে দেহে ধারণ করার ক্ষমতা অর্জন করা। পরে এই অমর দেহের মাধ্যমে যদি জ্ঞান, ভক্তি ও প্রেম প্রচার করা যায়, তবেই তা সত্যিকার অমরতা লাভ করবে। কিন্তু মরদেহের মধ্য দিয়ে যতদিন জ্ঞান-ভক্তি-প্রেমকে অমর বলে প্রচার করা হবে, ততদিন তাদের অমরতা প্রমাণিত হবে না।

কারণ, এখনও মানুষ এমন দেহ অর্জন করতে পারেনি, যেখানে জ্ঞান, ভক্তি ও প্রেম সার্থকভাবে প্রকাশ পেতে পারে। যতদিন না মানবদেহে পূর্ণ কর্ম সম্পাদিত হবে, ততদিন এসব প্রশ্ন অবান্তর। কর্ম দ্বারা গঠিত দেহে পূর্ণ কর্ম না হলে দেহ অমর হয় না। আর অমর দেহ ছাড়া অমরতার প্রচার কেবলই মিথ্যা।

তাই সর্বাগ্রে মানবদেহের কর্ম পূর্ণ করার জন্য সদ্‌গুরুর আশ্রয়ে প্রয়াসী হওয়া প্রয়োজন। এটাই মানুষের একমাত্র ধর্ম। বাকিসব তার পর।

চৌদ্দ।

মানুষের জন্যই শিক্ষা প্রয়োজন; কিন্তু শিক্ষার উদ্দেশ্য যদি কেবল মানবের বাহ্যিক প্রয়োজন মেটানো হয়, তবে সে শিক্ষা কখনও প্রকৃত শিক্ষা হতে পারে না। কারণ, প্রয়োজনমুখী শিক্ষা মানবের অন্তর্নিহিত মানবতাকে বিকশিত করতে পারে না।

অথচ প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা কেবল মানুষের প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য করেই গড়ে উঠেছে। আজকের শিক্ষা-পদ্ধতি মানুষের গুণের দিকে কিছুটা দৃষ্টি রাখলেও মানুষের মূল স্বভাবের প্রতি একেবারেই লক্ষ্য রাখে না। প্রয়োজন মেটাবার জন্য যে-শিক্ষা, তা কেবল অর্থকরী শিক্ষা—যা মানুষকে কখনোই পূর্ণাঙ্গ রূপে গড়ে তুলতে পারে না। এই শিক্ষার দ্বারা মানুষের দৈহিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশ সম্ভব নয়। যে-শিক্ষা এই তিনকে একসূত্রে বিকশিত করতে পারে না, তা কখনোই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা নয়। অথচ এই তিনটি দিক মিলিয়েই সম্পূর্ণ স্বাভাবিক মানুষ গঠিত হয়।

মানুষের জন্য প্রয়োজন স্বাভাবিক শিক্ষা, কেননা মানুষের গঠনই স্বভাব থেকে উৎসারিত। স্থূল, সূক্ষ্ম ও কারণ—এই তিন স্তরে অভিন্ন বিকাশই মানুষকে গড়ে তোলে। আর স্বাভাবিক শিক্ষার মূলভিত্তি হলো সৎচরিত্র। এজন্য শৈশবেই কর্তব্যবোধের জাগরণ ঘটানো অপরিহার্য। কর্তব্যবোধের প্রথম ধাপই হলো সত্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ও সৎচরিত্র গঠন।

সত্য কী?

যা ঠিকভাবে দেখা, তাই ঠিকভাবে বলা; যা সঠিকভাবে শোনা, তাই সঠিকভাবে প্রকাশ করা; আর যা যথাযথভাবে ভাবা, তাই যথার্থভাবে ব্যক্ত করা। অর্থাৎ দেখা, শোনা, জানা, ভাবা ও করা—সবই যখন অতি-বাড়াবাড়ি বা অতি-হ্রাস ছাড়া সঠিকভাবে প্রকাশ পায়, তখনই তা সত্য। শৈশব থেকেই যদি দেখা, শোনা, ভাবা ও করার প্রকাশ সঠিকভাবে ঘটে, তবে পরবর্তী জীবনে আর তার বিপরীত হবার সম্ভাবনা থাকে না।

মানুষের শিক্ষাক্ষেত্র হলো বোধ থেকে জীবন পর্যন্ত, আবার জীবন থেকে বোধ পর্যন্ত—একটি পূর্ণচক্র। যেমন মানুষ নিজে জীবন্ত, তেমনি তার ধর্মও জীবন্ত। তাই তার শিক্ষাও হতে হবে জীবন্ত, অর্থাৎ জীবনভিত্তিক। আর এর উপায় হওয়া উচিত বৈজ্ঞানিক।