অবিদ্যা-বিদ্যা: ১১২



অন্যদিকে জৈন দর্শনের “স্যাদ অব্যক্তব্যঃ” সেই একই সীমান্তে এসে দাঁড়ায়, কিন্তু তার অন্তর্গত দর্শন ভিন্ন। এখানে নীরবতা মানে কোনো একত্বে লয় নয়; বরং বহুমাত্রিক সত্যের যুগপৎ সহাবস্থান। জৈন চিন্তায় “অব্যক্তব্য” সেই অবস্থার নাম, যেখানে “আছে” ও “নেই”, “প্রকাশ” ও “অপ্রকাশ”, “অস্তিত্ব” ও “অনস্তিত্ব”—সব একসঙ্গে সত্য, কিন্তু ভাষা তাদের একসাথে প্রকাশ করতে পারে না। এই নীরবতা তাই প্রকাশ-সামর্থ্যের বা সংগতির নীরবতা, যেখানে বিপরীতগুলো লয়প্রাপ্ত না হয়ে এক সুরেলা ভারসাম্যে অবস্থান করে।

এই দুই দৃষ্টির তুলনায় আমরা দেখতে পাই—অদ্বৈত বেদান্তের চেতনা একত্বের নীরবতা, আর জৈন দর্শনের চেতনা বহুত্বের নীরবতা। বেদান্তে সত্য এক—সেই একের অভিজ্ঞতায় ভাষা নিস্তব্ধ হয়, কারণ বলার কিছুই থাকে না; জৈনে সত্য বহু—সব দৃষ্টিকোণ সত্য, তাই ভাষা নিস্তব্ধ হয়, কারণ সব বলা সম্ভব হয় না।

অদ্বৈতের নীরবতা হলো অভেদে বিশ্রাম, আর জৈনের নীরবতা হলো বৈচিত্র্যের ঐক্যে প্রশান্তি। একটিতে মন ও বাক্য ফিরে আসে অতিক্রমের কারণে—কারণ সেখানে প্রকাশের কিছু নেই; অন্যটিতে তারা ফিরে আসে অতিপূর্ণতার কারণে—কারণ প্রকাশের অনেক কিছু আছে, যা একসঙ্গে বলা যায় না।

সুতরাং, “যত্র বাচো নিবর্তন্তে” এবং “স্যাদ অব্যক্তব্যঃ”—এই দুই উক্তিই মানুষের জ্ঞানের সীমা ও অভিজ্ঞতার বিস্তারকে স্পর্শ করে। কিন্তু যেখানে অদ্বৈত বলে, “সত্য এক, বাক্য থেমে যায়,” জৈন বলে, “সত্য বহু, বাক্য যথেষ্ট নয়।” প্রথমটি নিঃসঙ্গ ঐক্যের নীরবতা, দ্বিতীয়টি সমন্বিত বহুত্বের সুরেলা মূকতা। এই দুই নীরবতার মাঝখানেই মানুষের জ্ঞানের পরিপূর্ণতা—যেখানে ভাষা থেমে যায়, কিন্তু বোধের আলো সীমাহীনভাবে জ্বলে ওঠে।

এভাবে “স্যাদ অব্যক্তব্যঃ” আমাদের শেখায়, চূড়ান্ত জ্ঞান কখনও বাক্যে আবদ্ধ নয়। শব্দ তার চারপাশে ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু মর্মে পৌঁছাতে পারে না। ভাষা কেবল সত্যের ছায়া আঁকে, তার পূর্ণ আলো নয়। তাই সত্যের পথে চলা মানে কেবল যুক্তি বা বিশ্লেষণের সাধনা নয়, বরং নীরবতার সাধনা—যেখানে চিন্তা থেমে যায়, কিন্তু উপলব্ধি জেগে ওঠে।

“নীরবতার শিক্ষা” হচ্ছে এমন এক অন্তর্দৃষ্টি ও অনুশীলন, যা যুক্তি-বাক্যের সীমানা চিনে নিয়ে মনকে সরাসরি অভিজ্ঞতার দিকে ফেরায়। জৈন দর্শনে “স্যাদ অব্যক্তব্যঃ” হলো—যে-অবস্থায় বলা যায় না, কিন্তু অনুভূত হয়—একে কেবল একটি তত্ত্ব নয়, বরং এক সাধনাপথ হিসেবে ধরা হয়। ভেঙে দেখলে বিষয়টি এভাবে উন্মোচিত হয়—

প্রথমত, জ্ঞানতাত্ত্বিক মঞ্চ: আমরা জগৎকে “আছে/নেই/বলা যায় না”—এই তিন স্তরে পাই; ভাষা প্রতিবারেই একটি দিককে তুলে আনে, বাকি দিকগুলোকে আড়াল করে। সুতরাং শব্দ কখনই পূর্ণ নয়—সে মানচিত্র, ভূখণ্ড নয়।

দ্বিতীয়ত, অস্তিত্বতাত্ত্বিক মঞ্চ: বস্তু কোনো একাকী সত্তা নয়; দ্রব্য-ক্ষেত্র-কাল-ভাবের ছেদবিন্দুতে তার প্রকাশ। এই বহুমাত্রিক প্রকাশ একসঙ্গে ধরতে গেলেই ভাষা থামে, অভিজ্ঞতা জেগে ওঠে—এটাই “অব্যক্তব্য”।

তৃতীয়ত, নৈতিক-ধ্যানিক মঞ্চ: সত্যকে একচোখা বলে চাপিয়ে না দিয়ে বহু-দৃষ্টিকে মান্য করা—এটি চিন্তার অহিংসা। অন্তরে অহিংসা জাগলে বাক্য মৃদু হয়, নীরবতা স্বতঃস্ফূর্ত হয়; সেই নীরবতায় বিচার কমে, দেখা বাড়ে।

এবার বুঝি, কেন এটিকে “চূড়ান্ত প্রাপ্তি” বলা হচ্ছে। সাধারণ জ্ঞান চলে “জান্তা” ও “জাননো”-র দ্বৈত ছকে—আমি জানি, কিছু একটিকে জানি। বহু-দৃষ্টির সমবায়ে যখন দেখা পাকা হয়, তখন বোঝা যায়—যা আমি বলি, তা আংশিক; যা আমি দেখি, তা-ও প্রেক্ষাপটনির্ভর। এই বিনয় থেকেই নীরবতা জন্মায়: বলার বদলে দেখায় ভরসা, ব্যাখ্যার বদলে উপস্থিতিতে স্থিতি।

জৈন ভাষ্যে এই নীরবতা কোনো নিষ্ক্রিয় শূন্যতা নয়; এটি সজাগ নীরবতা—এক এমন অন্তর্মুখী শান্তি, যেখানে মন তীক্ষ্ণ, সচেতন ও জাগ্রত, কিন্তু শব্দ সংযত, বিনয়ী ও সীমিত। এখানে চিন্তা নিভে যায় না, বরং গভীরতর স্তরে সক্রিয় থাকে; যুক্তি হারিয়ে যায় না, কিন্তু তার আধিপত্য শেষ হয়। কারণ সত্যকে জয় করার বা ব্যাখ্যা করার প্রয়াস নয়, বরং তাকে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে গ্রহণ করার বোধই এখানে মুখ্য।

এই সজাগ নীরবতা এমন এক অন্তর্দৃষ্টি, যেখানে যুক্তি প্রস্তুত থাকে, কিন্তু নিজের সীমা জানে; সে আলো দেয়, কিন্তু পুরো সূর্যের দাবি করে না। ভাষা থেমে যায়, কিন্তু থেমে গিয়ে আরও গভীর কিছু শোনায়—এক অন্তর-প্রতিধ্বনি, যা শব্দে নয়, চেতনায় ধ্বনিত হয়। এই অবস্থায় মানুষ বোঝে, সত্যকে বলা যায় না, কারণ বলা মানেই সীমা টানা; কিন্তু সত্যকে দেখা যায়, অনুভব করা যায়, প্রত্যক্ষ করা যায়।

ফলে সত্য এখানে “প্রকাশিত” নয়—যেমন আমরা শব্দে বর্ণনা করি, ধারণায় আঁকি—বরং “প্রত্যক্ষিত,” অর্থাৎ, জীবন্তভাবে ধরা পড়ে, স্পর্শযোগ্য নয়, কিন্তু উপলব্ধির গভীরে স্পন্দিত। এটি এমন এক উপস্থিতি, যা যুক্তির ওপারে হলেও, যুক্তি থেকে জন্ম নেয়; ভাষার ওপারে হলেও, ভাষার নীরবতা থেকেই প্রতিফলিত হয়।

এইভাবেই জৈন দর্শনের নীরবতা হয়ে ওঠে এক চেতনার শিখা—যেখানে মন জেগে আছে, কিন্তু বলছে না; চিন্তা কাজ করছে, কিন্তু দাবি করছে না; জ্ঞান উজ্জ্বল, কিন্তু অহংকারহীন। নীরবতাই সত্যের আসল প্রকাশ—কারণ নীরবতা কোনো অভাব নয়, বরং এমন এক পূর্ণতা, যেখানে শব্দের প্রয়োজন থাকে না। যখন মন গভীরভাবে সজাগ হয়, তখন বোঝা যায়—শব্দ যা বোঝাতে চায়, তা আগে থেকেই উপস্থিত ছিল; ভাষা কেবল তার চারপাশে ঘুরছিল। সেই মুহূর্তে দেখা আর বলা—এই দুই মানবিক শক্তি একে অপরকে অতিক্রম করে, মিলেমিশে যায় এক অভিন্ন অভিজ্ঞতায়। দেখা তখন আর বহির্জগৎ পর্যবেক্ষণ নয়, বরং আত্মা ও জগতের মিলনবিন্দুতে জেগে থাকা; আর বলা তখন আর উচ্চারণ নয়, বরং অভ্যন্তরের প্রতিধ্বনি—যেখানে অর্থ নিজে থেকেই উদ্‌ভাসিত হয়।

এই নীরব উপস্থিতিতে সত্য কেবল জানা যায় না, বেঁচে ফেলা যায়। কারণ জানার মধ্যে সবসময় এক দূরত্ব থাকে—জান্তা ও জাননোর, বিষয় ও পর্যবেক্ষকের; কিন্তু বেঁচে ফেলার (সত্যে যাপন করার) মধ্যে সেই দূরত্ব বিলীন হয়। মানুষ তখন আর সত্যকে বিশ্লেষণ করে না, সে নিজেই সত্যের প্রকাশ হয়ে ওঠে। এটি কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক অর্জন নয়, বরং এক গভীর অস্তিত্বগত জাগরণ—যেখানে “আমি জানি” বাক্যটি রূপান্তরিত হয় “আমি আছি”-তে, আর সেই “আছি”-র মধ্যেই সত্যের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়।

এইভাবেই জৈন দর্শনের সজাগ নীরবতা শেষপর্যন্ত এক জীবন্ত উপলব্ধিতে পৌঁছে দেয়—যেখানে চেতনা, অভিজ্ঞতা, ও অস্তিত্ব একাকার। সেখানে কোনো তর্ক নেই, কোনো ঘোষণা নেই—আছে কেবল এক স্পন্দিত উপস্থিতি, যার ভেতর দিয়ে সত্য নিঃশব্দে শ্বাস নেয়, আর মানুষ তাকে অনুভব করে, জানে নয়, বাঁচে।

এই নীরবতার পথে হাঁটার বাস্তব রূপ মূলত এক অন্তর্মুখী অনুশীলন—মন, বাক্য ও আচরণকে ধীরে ধীরে এমন এক ভারসাম্যে আনা, যেখানে দেখা কথা থেকে গভীর, আর অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যার আগে জেগে ওঠে। এর প্রথম ধাপ হলো যুক্তির সংযম ও সীমা চেনা। মানুষ সাধারণত যুক্তিকে অস্ত্রের মতো ব্যবহার করে—নিজের অবস্থান প্রমাণ করতে, অন্যের মতকে পরাস্ত করতে। কিন্তু জৈন সাধনা শেখায়, যুক্তির প্রথম কাজ জয় করা নয়, সীমা চিনে নেওয়া। সপ্তভঙ্গী ন্যায়ের চর্চা করতে করতে একসময় মনে স্পষ্ট হয়ে যায়—আমি যা বলছি, তা “স্যাৎ,” অর্থাৎ শর্তসাপেক্ষ; কোনো বক্তব্যই সম্পূর্ণ নয়। এখানেই প্রথম ফাটল ধরে আসক্তির দেয়ালে—কারণ বোঝা যায়, সত্যের দাবি যতই বড়ো করি, তা আসলে একটি দৃষ্টিকোণ মাত্র।

এই উপলব্ধি থেকেই শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপ—মনন থেকে অনুধ্যান। এটি চিন্তার গভীরতর স্তর, যেখানে যুক্তি আর তর্ক থেকে সরে এসে মন অভিজ্ঞতার ভেতর স্থির হয়। কোনো ঘটনার বিপরীত দিকগুলো—অস্তিত্ব ও অনস্তিত্ব, হ্যাঁ ও না, আলো ও ছায়া—দুটোকেই একসঙ্গে ধারণ করে কিছুক্ষণ নীরবে থাকা। দেখা যায়, দুটোকে একসঙ্গে উচ্চারণ করতে গেলে শব্দ থেমে যায়; কারণ ভাষা একসময়ে এক দিকই প্রকাশ করতে পারে। এই থেমে যাওয়া কোনো জড় নিস্তব্ধতা নয়; বরং সজাগ নীরবতা, যেখানে চিন্তা আর প্রতিক্রিয়া মিশে যায় গভীর মনোযোগে, আর দেখা তীব্র ও স্বচ্ছ হয়ে ওঠে।

এরপর আসে তৃতীয় ধাপ—আচরণে অহিংসা। জৈন নীরবতার আসল পরীক্ষাই এখান থেকে শুরু। মতপ্রকাশের আগে একমুহূর্ত থেমে যাওয়া, মনে মনে “স্যাৎ”—অর্থাৎ “সম্ভবত,” “এই প্রেক্ষিতে”—এই শব্দটি যোগ করে বলা। এতে বাক্য অহংকারমুক্ত হয়, সত্যের প্রতি বিনয় জন্মায়। একইভাবে, অন্যের বিপরীত মত শুনে রাগ বা প্রতিরোধে না গিয়ে কৌতূহলে ঝুঁকে পড়া—“আর কীভাবে এটা সত্য হতে পারে?” এই মনোভাবই চিন্তার অহিংসা।

যখন এই অনুশীলন ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হয়, ভাষা ছাঁটা হয়, বাক্য নরম হয়, অভিজ্ঞতা গভীর হয়। মানুষ তখন বুঝতে শেখে—সত্যকে জোরে বলা যায় না; তাকে কেবল শান্তভাবে প্রকাশিত হতে দেওয়া যায়। সেই সময় নীরবতা আর কথার অভাব নয়, বরং কথার পরিপূর্ণতা—যেখানে প্রতিটি শব্দের পেছনে থাকে সচেতনতা, প্রতিটি বাক্যের ভিতরে থাকে অনুধ্যান।

এইভাবেই “স্যাদ অব্যক্তব্যঃ”-এর সাধনা দৈনন্দিন জীবনে রূপ নেয়—এক এমন বোধে, যেখানে মন স্থির, বাক্য বিনয়ী, আর দৃষ্টি প্রসারিত। এখানে নীরবতা মানে থেমে থাকা নয়, বরং গভীরভাবে দেখা; মানে শূন্যতা নয়, বরং উপস্থিতি—এক এমন উপস্থিতি, যা বলার আগেই সব বলে দেয়।

একটি উদাহরণে একে ধরা যাক। টেবিল “আছে”—দেখি, ছুঁই। কিন্তু “নেই”—এই মুহূর্তে পাশের ঘরে নেই, লোহার রূপে নেই, ভবিষ্যৎ ছাইরূপে নেই। দুটো দিক একসঙ্গে বললে জড়তা আসে; নীরবে দেখলে বোঝা যায়—সব দিক মিলে যে-“উপস্থিতি”, তাকে বাক্য টুকরো করে। এখানেই “অব্যক্তব্য” জেগে ওঠে—কথা থামে, উপস্থিতি স্পষ্ট হয়। এই উপস্থিতিতেই নৈতিকতা জন্মায়: আমি যা দেখি, তারও সীমা আছে—তাই অন্যের দৃষ্টিকোণকে জায়গা দিই; আমি যা বলি, তাতে “স্যাৎ” রেখে বলি—তাই সংঘাত গলে সংলাপে ফেরে।

অদ্বৈত ও জৈন—দুই ধারাই নীরবতার পরম অর্থে পৌঁছেছে, কিন্তু তাদের নীরবতা দুটি ভিন্ন প্রকৃতির। অদ্বৈতে নীরবতা একত্বে বিশ্রাম, অর্থাৎ যেখানে সমস্ত বিভেদ, সমস্ত ভাবনার দ্বৈততা মিলিয়ে যায় এক অভিন্ন চেতনার শান্তিতে। এখানে নীরবতা মানে—মন, বাক্য, জান্তা ও জাননো সব লীন হয়ে যায় ব্রহ্মের একত্বে। এটি লয়ের নীরবতা—যেখানে বলা যায় না কারণ বলার মতো কিছুই অবশিষ্ট থাকে না; সব রূপ, সব ধারণা, সব ভেদ সেখানে বিলীন।

অন্যদিকে জৈনে নীরবতা বহুপ্রেক্ষিক সুরেলা সহাবস্থান—এখানে ভিন্নতা লয়প্রাপ্ত হয় না, বরং পরস্পরের মধ্যে সামঞ্জস্য রচনা করে। বিরোধ মুছে যায় না, বরং ছন্দে রূপ নেয়। এটি সংগতির নীরবতা, যেখানে সত্যকে এক দিক থেকে নয়, বহু দিক থেকে দেখা হয়; “আছে” ও “নেই,” “অস্তিত্ব” ও “অনস্তিত্ব”—সব দিক একসঙ্গে সত্য, কিন্তু ভাষা সেই যুগপৎ সত্যকে প্রকাশ করতে পারে না। তাই নীরবতা জন্মায়—না অভাব থেকে, বরং অতিপূর্ণতা থেকে।

অদ্বৈতের নীরবতা অতিক্রমের কারণে, কারণ সেখানে বলা বা ভাবা অসম্ভব; জৈনের নীরবতা অতিপূর্ণতার কারণে, কারণ একসঙ্গে সব বলা যায় না। একটিতে মানুষ সত্যের মধ্যে লীন হয়, অন্যটিতে সত্যের অসংখ্য রূপের সঙ্গে সুরে মেশে। তবু দুটোই একবিন্দুতে মিলিত—সত্যকে ধরতে চাইলে শব্দকে নম্র হতে হয়, যুক্তিকে সেবকের ভূমিকায় নামতে হয়, আর অভিজ্ঞতাকে সামনে আনতে হয়।