জৈন আচার্য উমাস্বাতি ও হরিভদ্রসূরি দেখিয়েছিলেন, অস্তিত্ব (অস্তি) ও অনস্তিত্ব (নাস্তি) পরস্পরবিরোধী নয়, বরং পরস্পরের পরিপূরক—যেমন দিন ও রাত, আলো ও ছায়া একে অপরকে ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। “আছে” মানে যেখানে প্রকাশ, বিকাশ ও সম্ভাবনার উন্মেষ ঘটে; আর “নেই” মানে সেই একই বাস্তবতার সীমা, যেখানে প্রকাশ থামে, বা অন্য অবস্থায় লীন হয়। এই দুইয়ের মিলেই বাস্তবতার পূর্ণ বৃত্ত গঠিত হয়।
জৈন দৃষ্টিতে “নেই” কোনো অস্বীকৃতি নয়, বরং অস্তিত্বের সীমা ও শর্তের স্বীকৃতি। এটি বলে—যা এই মুহূর্তে, এই স্থানে, এই রূপে নেই, সেটি অন্য মুহূর্তে, অন্য স্থানে, অন্য রূপে থাকতে পারে। তাই “নেই” মানে বিলুপ্তি নয়, বরং এক রূপ থেকে অন্য রূপে গমন। উদাহরণস্বরূপ, একটি ফুল যখন ঝরে যায়, তখন বলা যায়, সে নেই, কিন্তু তার গন্ধ, তার বীজ, তার রস ভবিষ্যতের কোনো সম্ভাবনায় বিদ্যমান—অন্য রূপে, অন্য কালে, অন্য স্থানে।
এভাবেই “নেই” জৈন দর্শনে সীমার চিহ্ন—যা আমাদের শেখায়, কোনো বস্তুর অস্তিত্ব সর্বব্যাপী বা চিরস্থায়ী নয়; তা সর্বদা নির্দিষ্ট দ্রব্য, ক্ষেত্র, কাল ও ভাবের মধ্যে সীমিত। “আছে” ও “নেই” তাই পরস্পরনির্ভর নৃত্যে যুক্ত—একজন প্রসার ঘটায়, অন্যজন তার পরিধি নির্ধারণ করে।
এই উপলব্ধির মধ্য দিয়ে জৈন দর্শন আমাদের শেখায় এক গভীর বৌদ্ধিক বিনয়: সত্য কখনও পরম নয়, বরং প্রেক্ষাপটনির্ভর। “আছে” যতটা সত্য, “নেই” ততটাই প্রয়োজনীয়; কারণ “আছে”-এর অর্থই বোঝা যায় তখনই, যখন আমরা জানি কোথায়, কখন ও কোন অবস্থায় “নেই”। এভাবেই “আছে” ও “নেই”—দুটি মিলিয়েই গঠিত হয় বাস্তবতার নৃত্য, যেখানে সীমা ও সম্ভাবনা একে অপরকে আলোকিত করে।
এইভাবেই জৈন দর্শনে “নেই” বা “নাস্তি” এক দার্শনিক প্রজ্ঞা হয়ে ওঠে—একটি relational negation, যা বলে: “যেখানে নেই, সেখানেই অন্য কোথাও আছে; যা এই অবস্থায় অনুপস্থিত, তা অন্য অবস্থায় প্রকাশমান।” এই উপলব্ধিই “স্যাদ নাস্তি”-র অন্তর্নিহিত সত্য—অস্তিত্ব ও অনস্তিত্ব পরস্পরবিরোধী নয়, তারা একই চিরপরিবর্তনশীল বাস্তবতার দুই দিক, যার সমবায়েই বিশ্ব এক গতিশীল ও সাপেক্ষ সত্যে রূপ পায়।
“স্যাদ নাস্তি” আমাদের শেখায় যে, কোনো বস্তুর বাস্তবতা সর্বদা সীমিত পরিসরে সত্য। যেমন “স্যাদস্তি” বলেছিল—নির্দিষ্ট অবস্থায় একটি বস্তু বিদ্যমান, তেমনি “স্যাদ নাস্তি” বলে—অন্য অবস্থায় বা অন্য প্রেক্ষাপটে সেটি বিদ্যমান নয়। এটি অস্তিত্বের বিপরীতে নয়, বরং অস্তিত্বের সীমানার বোধ। এইভাবে জৈন দর্শন দেখায় যে, “অস্তিত্ব” ও “অনস্তিত্ব”—দুটিই বাস্তবতার অবিচ্ছেদ্য দিক, এবং সত্যের পূর্ণ উপলব্ধির জন্য উভয়কেই জানা প্রয়োজন।
ধরা যাক, একটি সোনার অলঙ্কার। “স্যাদস্তি”—এই অলঙ্কার আছে, কারণ এটি সোনার রূপে বর্তমানে উপস্থিত। কিন্তু একই অলঙ্কারকে “স্যাদ নাস্তি”-র দৃষ্টিতে বলা যায়—এটি রুপা নয়, লোহা নয়, পাথর নয়; অর্থাৎ এটি অন্য কোনো রূপে বা পদার্থে নেই। আবার, এটি যদি ঢাকায় থাকে, তবে চট্টগ্রামে একই মুহূর্তে নেই; বর্তমানে আছে, কিন্তু অতীতে বা ভবিষ্যতে তার এই নির্দিষ্ট রূপে অস্তিত্ব থাকবে না। সুতরাং “স্যাদ নাস্তি” নির্দেশ করে স্থান, কাল ও ভাবের সীমানা—যেখানে কোনো বস্তুর অস্তিত্ব এক প্রেক্ষিতে থাকে, কিন্তু অন্য প্রেক্ষিতে থাকে না।
জৈন আচার্যদের মতে, “স্যাদ নাস্তি” ছাড়া “স্যাদস্তি”-র ধারণা অসম্পূর্ণ। কেবল “আছে” বললে আমরা একমুখী সত্যে আটকে যাই; “নেই” যোগ করলে আমরা বহুমাত্রিক বাস্তবতাকে উপলব্ধি করতে পারি। কারণ, একদিক থেকে কিছু বিদ্যমান মানেই অন্য দিক থেকে তা অবিদ্যমান। যেমন আলো ও ছায়া পরস্পরের পরিপূরক—আলো প্রকাশিত হলে ছায়াও সঙ্গে সঙ্গে জন্ম নেয়।
এই “স্যাদ নাস্তি”-র দর্শনে এক অনন্য ভারসাম্য রয়েছে—এটি না নিঃসঙ্গ নাস্তিকতার অস্বীকৃতি, না অন্ধ বাস্তববাদের আসক্তি; বরং এমন এক দৃষ্টিকোণ, যা অস্তিত্বকে তার সীমারেখার ভেতরে সংজ্ঞায়িত করে। এখানে “নাস্তি” মানে কোনো বস্তু বা সত্যের বিলোপ নয়, বরং সেই পরিসর, যেখানে সেই অস্তিত্বের প্রয়োগ, কার্য বা উপস্থিতি নেই। এটি এক প্রকার আপেক্ষিক অনস্তিত্ব (relative non-existence)—যা বাস্তবতার পূর্ণতাকে অস্বীকার না করে, বরং তাকে সীমাবদ্ধতার আলোয় স্পষ্ট করে তোলে।
“নিঃসঙ্গ নাস্তিকতা” মানে এমন এক চরম নেতিবাদ, যা সব কিছু অস্বীকার করে—যেখানে বলা হয়, কিছুই নেই, সবই মায়া, সবই মিথ্যা। কিন্তু জৈন দৃষ্টিকোণে “স্যাদ নাস্তি” কোনো অবস্থাতেই সেই নৈরাশ্যবাদী অস্বীকৃতি নয়। এখানে “নেই” মানে সম্পূর্ণ শূন্যতা নয়, বরং শর্তনির্ভর অনুপস্থিতি—এক প্রেক্ষিতে নেই, অন্য প্রেক্ষিতে থাকতে পারে। “স্যাদ নাস্তি” তাই কোনো জিনিসের বাস্তবতাকে পুরোপুরি অস্বীকার করে না, বরং বলে—এই রূপে, এই স্থানে, এই মুহূর্তে তা নেই, কিন্তু অন্য রূপে, অন্য স্থানে, অন্য সময়ে তা থাকতে পারে। এইভাবে এটি নাস্তিকতার নিঃশেষ অস্বীকৃতি নয়, বরং সীমিত বাস্তবতার সজাগ স্বীকৃতি।
একইসঙ্গে এটি “অন্ধ বাস্তববাদের আসক্তি”ও নয়। অন্ধ বাস্তববাদ মানে, যা চোখে দেখা যায় বা হাতে ধরা যায়, সেটাই সত্য—এর বাইরে আর কিছু নেই। কিন্তু জৈন দর্শন জানে, সত্য কখনও কেবল দৃশ্যমান নয়; অনেকসময় যা অদৃশ্য, যা সম্ভাবনা হিসেবে গোপনে আছে, তা-ও বাস্তবতার অংশ। তাই “স্যাদ নাস্তি” কোনো কিছুকে কেবল না-থাকা হিসেবে দেখে না; বরং বোঝে, অনস্তিত্বও একরকম উপস্থিতি—শুধু অন্য স্তরে, অন্য অবস্থায়।
এইভাবে “স্যাদ নাস্তি” এক সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে—যেখানে “আছে” ও “নেই” পরস্পরবিরোধী নয়, বরং একে অপরের পরিপূরক। “আছে” প্রকাশের দিক, “নেই” সীমারেখার দিক; “আছে” সম্ভাবনা, “নেই” সেই সম্ভাবনার পরিধি। “নেই” মানে মিথ্যা নয়, বরং সেই অঞ্চল, যেখানে অস্তিত্বের প্রয়োগ নেই। এভাবেই “স্যাদ নাস্তি” হয়ে ওঠে আপেক্ষিক অনস্তিত্বের এক প্রজ্ঞা—যা অস্তিত্বকে তার সীমানায় সংজ্ঞায়িত করে, এবং আমাদের শেখায়, জগৎ কেবল যা আছে, তা-ই নয়, বরং যা নেই, তার দ্বারাও নির্ধারিত।
জৈন চিন্তায় “স্যাদ নাস্তি” তাই বাস্তবতার বিপরীত নয়, বরং তার পটভূমি, যার উপর “স্যাদ অস্তি”-র প্রকাশ সম্ভব। অস্তিত্ব তার পরিধি পায় এই অনস্তিত্বের সীমায়। যেমন একটি রেখা তার আকার পায় সীমারেখার মধ্যেই, তেমনি “আছে”-এর সত্যও তখনই স্পষ্ট হয়, যখন আমরা বুঝি, কোথায় এবং কখন তা “নেই”। এভাবে “নাস্তি” কোনো নেতিবাচক শূন্যতা নয়; বরং এক নিরপেক্ষ সচেতনতা, যা অস্তিত্বের প্রয়োগক্ষেত্রকে নির্ধারণ করে।
এই আপেক্ষিক অনস্তিত্বের ধারণা জৈন দর্শনের সূক্ষ্ম মানবিক বোধকেও প্রকাশ করে। এটি শেখায়, অস্তিত্ব সর্বজনীন নয়, বরং প্রেক্ষাপটনির্ভর; যা এক জায়গায়, একসময়ে, এক রূপে আছে, তা অন্যত্র নেই—এবং এই “নেই”-এর স্বীকৃতিই অস্তিত্বের সীমানাকে অর্থপূর্ণ করে তোলে। তাই “স্যাদ নাস্তি” মানে অনুপস্থিতির অন্ধকার নয়, বরং সীমার আলো—যেখানে আমরা বুঝতে পারি, জগৎ কেবল যা আছে, তা-ই নয়, বরং যা নেই, তার দ্বারাও গভীরভাবে নির্ধারিত।
এইভাবে “স্যাদ নাস্তি”-র দর্শন এক শান্ত সমতা স্থাপন করে: অস্তিত্ব ও অনস্তিত্ব পরস্পরবিরোধী নয়, বরং পরস্পরনির্ভর। “আছে” প্রকাশের দিক, “নেই” তার পরিমিতি; “আছে” সম্ভাবনা, “নেই” তার দিগন্ত। দুটিকে একসঙ্গে বোঝার মধ্য দিয়েই সত্য সম্পূর্ণ হয়, এবং জৈন দর্শনের এই আপেক্ষিক বোধ আমাদের শেখায়—জগৎ কখনও পরম নয়, বরং সম্পর্কের, সীমার, ও পরিবর্তনের এক অসীম সংগীত।
জৈন যুক্তিবিদ্যার দৃষ্টিতে “স্যাদ নাস্তি” এক গভীর মানবিক শিক্ষা দেয়। এটি আমাদের শেখায়—যা আমরা দেখি, জানি বা অনুভব করি, তা সবসময়ই একটি সীমিত প্রেক্ষাপটে ঘটে; আমাদের উপলব্ধি কখনও সর্বজনীন নয়, বরং নির্দিষ্ট স্থান, সময়, অবস্থান ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভরশীল। তাই যা আমার চেতনার ক্ষেত্রের বাইরে, তাকে আমি “নেই” বলে ভাবলেও, সেটি অন্য কারও চেতনায় বা অন্য কোনো অবস্থায় “আছে” হতে পারে।
জৈন দর্শনের দৃষ্টিতে এই উপলব্ধিই বাস্তবতার গভীর সত্য—সত্য এক নয়, বহুপ্রেক্ষিক; বাস্তবতা এক নয়, বহুস্তরীয়। আমার অভিজ্ঞতা আংশিক, তোমার অভিজ্ঞতাও আংশিক; কিন্তু এই সমস্ত আংশিক দৃষ্টিগুলির সমষ্টিতেই গড়ে ওঠে পূর্ণ বাস্তবতা। যে-বস্তু আমার জন্য “নেই”, তা অন্যের অভিজ্ঞতায় “আছে”—কারণ সত্য কখনও এককভাবে প্রকাশিত হয় না; তা সর্বদা দৃষ্টিকোণের পরিবর্তনের সঙ্গে নতুনভাবে রূপ পায়।
এইভাবেই জগৎকে দেখা হয় এক বহুদৃষ্টিকোণী (anekānta) প্রক্রিয়া হিসেবে, যেখানে “আছে” ও “নেই”—দুটিই সত্য, কিন্তু সীমিত প্রেক্ষাপটে। এই দর্শন আমাদের শেখায় সহিষ্ণুতা ও বিনয়—কারণ, যদি সত্য বহুপ্রেক্ষিক হয়, তবে অন্যের দৃষ্টিও সত্যের অংশ, মিথ্যা নয়। আমার চোখে যা অদৃশ্য, অন্যের চোখে সেটিই প্রতিভাত; আমার জ্ঞানে যা অনুপস্থিত, অন্যের জ্ঞানে সেটিই প্রকাশিত।
এইভাবে জৈন দর্শনের “স্যাদ নাস্তি” ও “স্যাদ অস্তি”-র যৌথ উপলব্ধি মানবচেতনায় এক গভীর বোধ সৃষ্টি করে যে, বাস্তবতা কোনো একমুখী ঘোষণা নয়, বরং বহু চেতনার সম্মিলনে বিকশিত এক জীবন্ত সত্য।
অদ্বৈত বেদান্তে যেমন “মায়া” দ্বারা বাস্তবকে একপ্রকার আপাত ছায়া হিসেবে দেখা হয়, জৈন দর্শনে “স্যাদ নাস্তি” সেই আপাততাকে একধরনের স্পষ্ট স্বীকৃতি দেয়—তা ভ্রম নয়, বরং বাস্তবতার আংশিক অপ্রকাশ। এভাবেই “স্যাদ নাস্তি” জগৎকে দ্বন্দ্বহীন করে তোলে; কারণ এতে “নেই”-ও এক সত্য, এবং সেই “নেই”-এর মধ্য দিয়েই “আছে”-এর পরিসীমা স্পষ্ট হয়। এইভাবে জৈন দর্শনের দ্বিতীয় ভঙ্গ “স্যাদ নাস্তি” আমাদের শেখায়—অস্তিত্ব ও অনস্তিত্ব একই সত্তার দুই ছায়া, যাদের একত্রে না দেখলে সত্যের পূর্ণতা ধরা দেয় না।
এখন যদি এই দুই দৃষ্টিকোণ একত্রে ধরা হয়, তবে দেখা যায়—ঘটের উপাদান অর্থাৎ মাটি নিত্য, কিন্তু ঘট-রূপ অনিত্য। উপাদান আছে, রূপ পরিবর্তনশীল। তাই বলা যায়—“ঘট আছে এবং নেই”—এটাই তৃতীয় অবস্থান, অস্তি-নাস্তি (syād asti ca nāsti ca—অর্থাৎ, "হয়তো আছে এবং হয়তো নেই" বা "কোনো এক দিক থেকে বিদ্যমান এবং অন্য দিক থেকে বিদ্যমান নয়")। এই দ্বৈত সত্য একত্রে একটি বৃহত্তর বাস্তবতাকে প্রকাশ করে—যেখানে নিত্য ও অনিত্য, রূপ ও উপাদান, অভিন্নতার মধ্যে যুক্ত হয়েছে।
“স্যাদস্তি চ নাস্তি চ”—এই ক্ষুদ্র কিন্তু গভীর উক্তিটি জৈন দর্শনের অন্যতম সূক্ষ্ম দার্শনিক উপলব্ধি। শব্দগুলো দেখতে সহজ, কিন্তু এর মধ্যে নিহিত আছে সত্যের বহুমাত্রিকতা ও চিন্তার অহিংসার এক গভীর ঐতিহ্য। “স্যাৎ” মানে কোনো নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে—সম্ভবত, হয়তো, আপেক্ষিকভাবে। “অস্তি” মানে আছে, আর “নাস্তি” মানে নেই। সুতরাং “স্যাদস্তি চ নাস্তি চ” মানে, কোনো এক দৃষ্টিকোণ থেকে বস্তুটি আছে, আবার অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে নেই।
এই ভাবনাটি সপ্তভঙ্গী নয়-এর তৃতীয় ভঙ্গ—সত্যের সাতটি সম্ভাব্য বিশ্লেষণের মধ্যে অন্যতম। জৈন আচার্যরা বলেছিলেন, কোনো বস্তুর প্রকৃতি একমাত্রিক নয়; সেটি বিভিন্ন অবস্থায়, বিভিন্ন দৃষ্টিতে, ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়। যেমন একটি মাটির কলসি—মাটির রূপে তা নিত্য, কিন্তু পাত্ররূপে অনিত্য; তাই বলা যায়, “স্যাৎ অস্তি”—কলসি আছে, আবার বলা যায় “স্যাৎ নাস্তি”—কলসি নেই, কারণ তার রূপ পরিবর্তনশীল। কিন্তু যখন আমরা বলি “স্যাদস্তি চ নাস্তি চ”, তখন আমরা স্বীকার করি উভয়কেই—এটি মাটির দিক থেকে আছে, কিন্তু পাত্ররূপে অনিত্যতার দিকে নেই। এক দিক থেকে এটি বাস্তব, অন্য দিক থেকে আপাত।