অন্তর্বর্তী ভাঙচুর

শুরুটা সুন্দর হয়। শেষটা কেন নয়?
জানি, কিছু প্রশ্নের উত্তর হয় না।
অবশ্য, দিনের পর দিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকলে প্রশ্নগুলো একসময় থিতু হয়ে আসে।
আমাদের জরুরি সব প্রশ্ন...উত্তরে নয়, আগ্রহের অপমৃত্যুতে শেষ হয়।

জীবনে একটি বার খুব চেষ্টা করে এই নিয়মের সামান্য হেরফের ঘটাতে পারলেও জীবনভর মনে একটা শান্তি থেকে যেত। চাইকী নতুন গোছের একটা আত্মবিশ্বাসও কি তৈরি হয়ে যেতে পারত না?
পারলাম আর ক‌ই! কেউ কি পারে?
বাদ দিই, পারতে হয় না আসলে!

অন্তবর্তী ভাঙচুরের এই বিক্ষত প্রহরেও অনেক কিছু বিস্ময়কর।
পৃথিবীর তাবৎ জিনিসই কোনো কোনো মুহূর্তে আজব, অদ্ভুতুড়ে...এমনকী আমিও!

এভাবেই বেঁচে থাকা হয়ে যায়। আমরা, তারা সকলেই বেঁচে থাকি কিংবা বাঁচা আমাদের ঠিক‌ই হয়ে যায়।
শেষমেশ বেঁচে থাকতে পারলে তো খারাপ না, কী বলো?

ভেতরে কিংবা বাইরে, কোথায় কীভাবে এগোব বোঝাই দায়।
যা-ই বলতে চাই, কলমের ডগায় গিয়ে কেমন জানি জ্ঞানপাপী মাতালের প্রলাপের বীজ হয়।
আমার আলাপ এগোবে আর কীভাবে!

হাজারো ভাঙচুরের ধ্বংসস্তূপে কী নিয়ে বলব, সেটাই একটা মূর্তিমান সমস্যা।
কিন্তু চুপ করে থাকলে সমস্যা দেখছি আরও বাড়ে!