শহরের পথে পথে গাড়িগুলো ছুটে যায়।
ছোট্ট ছোট্ট পথ; নদীর উপর সেতু, গাছ, ধূসর আকাশ।
একটা বাড়ি, রান্নাঘরের অর্ধেক-খোলা জানালা।
বেড়ালছানাটা নিজের নখ নিয়ে খেলছে।
আমার ছোট্ট মেয়ে—সবে টু-তে উঠল।
পড়ার টেবিলে আমার দাদির ছবি—আমাকে ভীষণ ভালোবাসতেন।
টেবিল, কফির ধোঁয়া, ফোনে আঙুলের ক্রমাগত স্পর্শ।
লিখছি, পড়ছি...
গাড়ির শব্দ, প্রতিবেশীর চেঁচামেচি, নুড়িপাথর-পেষা পায়ের আওয়াজ, বেড়ালের মিউ।
চিন্তার স্মৃতি।
চিন্তা নয়, কেবলই স্মৃতি,
একটা অচিহ্নিত অনুভূতি।
না বাইরে, না ভেতরে।
না কোনো স্থান, না কোনো সময়, না আমি—খুব স্পষ্ট করেই।
না কোনো তত্ত্ব, না কোনো হিসেব, না কোনো মাপজোখ।
না কোনো নিয়ম, না কোনো রহস্যময় শক্তি, না কোনো সর্বজনীন সূত্র।
না মেঘের ওপরে কোনো দেবতা।
না তুমি।
সব স্পষ্ট।
দেখছে যা, তা চোখ নয়।
না হৃদয়ও, না আর কিছু।
শুধু জানি—কিছুই আলাদা নয়।
কোনো অদৃশ্য বাঁধনে জড়িত নয় এ জগৎ,
বরং বিভাজনের অনুপস্থিতিতে...কিছুই যেন নেই।
আর এই শূন্যতা, এই তীব্র অনুপস্থিতিই সব কিছুর চাবিকাঠি।
সব কিছু—কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু বা কোনো সত্তা নয়।
না সচেতন, না অচেতন।
না প্রক্রিয়া, না ঘটনা, না কোনো ধারণা।
শুধু তা-ই—যা আছে, অথবা যা ঘটছে বলে মনে হয়।
মুক্তি এই এখানেই।