আজ দুপুরবেলায় ঝুল ঝাড়তে গিয়ে ব্যক্তিগত ডায়েরিটা হাতে পেলাম। সতেরো সালের লেখা। কত আবেগ, কত মায়া, কত আস্থা! যার যার কথাই লিখেছিলাম, সবার জন্যই কত গুরুত্ব, কত শ্রদ্ধা, কত বিশ্বাস! পাতা ওলটানোর সাথে সাথে আমার হাসিও পাল্লা দিয়ে দিয়ে জোরালো হচ্ছিল। ঝুল ঝাড়া বাদ দিয়ে কি আজ তাহলে এ-ই করব? আচ্ছা, একটা দিন নাহয় সেধেই নষ্ট করলাম। যা পড়ছি, পড়ে তো সেই হাসি পাচ্ছে; তাহলে তো আর ট্রিগারড হবারও ভয় নেই। ভাবলাম, তাহলে একটু আরাম করে বসে বসেই পড়ি। ডায়েরিটার আরও সামনে এগোতে এগোতে দেখলাম, মে মাসের আটাশ তারিখে লিখেছিলাম, “তোমাকে ভালোবাসি। আমি অনেক খারাপ মানুষ, আমার অনেক বদভ্যাসও আছে; কিন্তু তুমি তবুও আমার সাথে থেকে যেয়ো, প্লিজ!” এইটুকু পড়ে সাথে সাথে ডায়েরিটা বন্ধ করে ফেললাম। ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে। ছ-বছর আগে যা লিখেছিলাম ডায়েরিটাতে, আজকে লিখতে বসলেও তো এই কথাই লিখতাম। আমি যে তাকে আগের মতনই ভালোবাসি, অমন করেই মিস করি, এই কথাটা তাকে জানানোর সুযোগ আর নেই। অনেক দেরি হয়ে গেছে। মানুষ যে বলে, সময় গেলে সব পালটে যাবে, আমিও ভুলে যাব, এসব মনে করে হাসি পায়। আচ্ছা, আমি কাঁদছি কেন? আমি কোন পৃথিবীতে বেঁচে আছি এতদিন ধরে? মানুষ আমাকে ভুল বোঝায় কেন?