(৫) মানবচেতনার ভেতরে এই দুই স্রোতের উপস্থিতি: আমাদের মনও মহাশক্তির প্রতিরূপ। যখন আমরা কল্পনা করি, ভাষা সৃষ্টি করি, বা কোনো ভাব প্রকাশ করি—তখন কালী আমাদের মধ্যে প্রকাশধারায় সক্রিয়। আর যখন আমরা নীরবে আত্মবিমুখ হয়ে ভাবটিকে উপলব্ধি করি—তখন বিমর্শধারায় সেই ভাব আবার চেতনার গভীরে ফিরে যায়।
উদাহরণ: একজন কবি কবিতা লিখছেন। প্রথমে অন্তরে অনির্বচনীয় এক অনুভব জাগে (বিমর্শ)। তারপর সেটি শব্দে ফুটে ওঠে (প্রকাশ)। আবার পাঠক যখন সেই কবিতা পড়ে নিজের মধ্যে একই অনুভব খুঁজে পায়, তখন সেই প্রকাশিত শব্দ আবার বিমর্শে রূপান্তরিত হয়।
“সপ্তদশী কলা” কেবল কোনো আধ্যাত্মিক সংখ্যা নয়—এটি সেই স্তর যেখানে সৃষ্টি ও লয়ের ছন্দ একে অপরের মধ্যে মিশে যায়। শেষ পাঁচ অক্ষর—হ্রীং, ক্লীং, সৌঃ, অইং, ওঁ—এই চূড়ান্ত স্পন্দনের প্রতীক, যা ধ্বনিরূপে প্রকাশিত হয়ে আবার নিস্তব্ধতায় ফিরে যায়—যেমন কালী স্বয়ং সৃষ্টির পর আবার সবকিছুকে নিজের মধ্যেই লয় করেন।
প্রকাশ ও বিমর্শের দ্বিবিধতা কোনো বিভাজন নয়, বরং এক চেতনার লীলার দ্বৈত ছন্দ। কালী এই দুই ছন্দেরই প্রতীক—তিনি প্রকাশে মহাকাল, বিমর্শে মহাশক্তি; তিনি একদিকে আলো, অন্যদিকে সেই আলোর আত্মবোধ; তিনি সৃষ্টির উৎস, আবার লয়ের পরম গতি। তাই তাঁকে বলা হয়, “কালিকা তু পরং ব্রহ্ম”—কারণ তিনিই সেই ব্রহ্ম, যিনি নিজের দীপ্তিতে জগৎ সৃষ্টি করেন এবং নিজের নিস্তব্ধতায় সবকিছুকে লয় করেন।
সপ্তদশী কলা বলতে বোঝায় চেতনার এমন এক দীপ্ত অবস্থা, যা ষোড়শ কলার পূর্ণতার পরেও অতিক্রম করে যায়। ষোড়শ কলা পর্যন্ত চেতনা তার সমস্ত রূপ, শক্তি ও প্রকাশ সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করে—অর্থাৎ সৃষ্টির সব স্তর তখন পূর্ণ। কিন্তু সপ্তদশী কলা সেই পূর্ণতার পরের অবস্থা—যেখানে চেতনা নিজেকে আবার নিজের উৎসরূপে উপলব্ধি করে। এটি কোনো সীমিত স্তর নয়, বরং এক অতিপূর্ণতা—যেখানে প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত, স্থিতি ও গতি, একসাথে এক চিরন্তন দীপ্তিতে মিলিত থাকে।
এই সপ্তদশী কলা কোনো যুক্তিনির্ভর বা চিন্তাজাত প্রক্রিয়া নয়, কারণ যুক্তি তখনই কাজ করে যখন “আমি” আর “এটা” এই বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সপ্তদশী কলা সেই স্তরে অবস্থান করে, যেখানে এই বিভাজন এখনও জন্মায়নি বা বিলীন হয়ে গেছে। তাই একে বলা হয় অযৌক্তিক বা alogical—যেখানে যুক্তির নিয়ম প্রযোজ্য নয়, কারণ যুক্তিরও জন্ম এখান থেকেই। একে আবার বলা হয় অধি-অভিজ্ঞতামূলক (meta-empirical), কারণ এটি সাধারণ অভিজ্ঞতার বাইরে—এখানে বিষয় আর বস্তু আলাদা নয়, অভিজ্ঞ ও অভিজ্ঞতাও একাকার। এখান থেকেই বোঝা যায়, কীভাবে চেতনার অদ্বৈত উৎস থেকেই যুক্তি, মন, অভিজ্ঞতা, এমনকি দ্বৈততার জগৎ পর্যন্ত জন্ম নেয়।
যখন এই একাত্ম চেতনা নিজের মধ্যে আত্মবিমর্শন করে, তখনই দ্বৈততার সূচনা হয়। এক চেতনা যেন নিজেকে দু-ভাবে দেখে—প্রকাশ ও প্রতিফলন, শিব ও শক্তি, আলো ও ছায়া হিসেবে। এই বিভাজন আসলে সত্যিকারের ভেদ নয়, বরং চেতনার আনন্দময় খেলা, নিজেরই রূপের সঙ্গে নিজের নৃত্য। অদ্বৈত চেতনা এইভাবে নিজের মধ্যে দ্বৈততার আভাস তৈরি করে, যাতে নিজের সৌন্দর্য ও আনন্দ নিজেরই সামনে প্রকাশ পায়। কিন্তু যেখান থেকে এই বিভাজন শুরু হয়েছে, সেখানেই আবার তার লয়—যেমন ঢেউ সাগর থেকে উঠে আবার সাগরেই মিশে যায়। এক থেকেই অনেক, আর অনেক থেকেই আবার এক—এই চক্রাকার গতি সপ্তদশী কলারই লীলা।
এই চেতনার গতি বা স্পন্দনই হলো স্বতঃস্ফূর্ত—অর্থাৎ কোনো কারণ বা প্রয়াস ছাড়াই উদ্ভূত। তাকে বলা হয় স্বভাবিক স্পন্দ (svābhāvika spanda)। এই স্পন্দনের ফলে কখনো সৃষ্টি ঘটে, কখনো বিলয় ঘটে, কিন্তু দুটো আলাদা নয়। সৃষ্টি মানে চেতনার নিঃশ্বাস নেওয়া, আর বিলয় মানে তার প্রশ্বাস। এক নিঃশ্বাসে জগৎ প্রকাশিত হয়, আর পরের নিঃশ্বাসে তা আবার লীন হয়। তাই সৃষ্টি ও সংহার কোনো বিপরীত প্রক্রিয়া নয়; তারা একই চেতনার চিরন্তন শ্বাস-প্রশ্বাস—একটিতে জগৎ জেগে ওঠে, অন্যটিতে সে ফিরে যায় নিঃস্তব্ধতায়।
এই চেতনার ছন্দ, এই চিরন্তন শ্বাস-প্রশ্বাসের নৃত্য, রূপ নেয় দেবী কালী হিসেবে। কালী সেই শক্তি, যিনি নিঃশব্দ শিবচেতনার নীরবতা থেকে আলোড়িত হয়ে জগৎকে জাগ্রত করেন, আবার সেই দীপ্তির মধ্যেই সব কিছু লীন করে দেন। তিনি যেমন সৃষ্টি, তেমনি বিলয়; তিনি আলো, তেমনি অন্ধকার; তিনি উৎস, তেমনি অন্ত। সপ্তদশী কলার মধ্যেই কালী সর্বার্থে চিরন্তন—নিজের মধ্যেই সৃষ্টি, স্থিতি, সংহার, তিরোভাব ও অনুগ্রহের পাঁচটি ক্রিয়া ধারণ করে আছেন।
সপ্তদশী কলাকে বোঝানো যায় এক মহাশ্বাসের প্রতীকে—একটি শ্বাসে চেতনা জগৎকে জন্ম দেয়, আর পরের শ্বাসে সেই জগৎকে নিজের মধ্যে ফিরিয়ে নেয়। যেমন ঢেউ সাগর থেকে উঠে এসে আবার সাগরেই মিশে যায়, তেমনি কালী নিজের দীপ্তির তরঙ্গে সমগ্র মহাবিশ্বকে উদ্ভাসিত করেন, আবার নিজের গভীর নীরবতায় সবকিছু লীন করে দেন। তিনি একইসঙ্গে শিবের নীরবতা ও শক্তির গতি—চেতনার সেই মহা-নৃত্য, যেখানে একতা ও বহুত্ব, স্থিরতা ও গতি, সৃষ্টি ও লয়—সব এক অখণ্ড প্রবাহের মধ্যে মিলিত। সপ্তদশী কলা আসলে সেই চিরন্তন দীপ্তি, যেখানে শূন্যতা ও পূর্ণতা একই নিঃশ্বাসে নৃত্যরত—একই সঙ্গে সৃষ্টি, সংহার ও আনন্দের অবিরাম স্পন্দন।
তান্ত্রিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রবেশ করলে বোঝা যায়, ক্রমপন্থা (Krama) কাশ্মীর শৈববাদের শুধু একটি “শাখা” বা “উপপন্থা” নয়—এটি আসলে শৈব ও শাক্ত দর্শনের অন্তর্লীন ঐক্যতত্ত্বের জীবন্ত প্রকাশ। অর্থাৎ, যেখানে শিবতত্ত্ব ও শক্তিতত্ত্ব, চেতনা ও স্পন্দন, জ্ঞান ও আনন্দ—সব এক অপরের মধ্যে প্রবাহমান হয়ে থাকে, ক্রমপন্থা সেই চেতনারই ধীর, ধাপে ধাপে উন্মোচনের নীতি।
এই ক্রমপন্থার কালী কোনো সীমিত দেবী নন; তিনি হলেন পরম চেতনার প্রতীক—যিনি সমস্ত রূপ ও নামের আড়ালে থাকা এক, অভিন্ন সত্যকে ধারণ করেন। বিভিন্ন তান্ত্রিক ধারায় তাঁকে নানা নামে ডাকা হয়েছে, কিন্তু সেই নামভেদ কেবল দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য, তত্ত্বগত কোনো ভেদ নয়।
বামাকেশ্বর প্রথা কাশ্মীর শৈববাদের এক গুরুত্বপূর্ণ তান্ত্রিক ধারা। এটি কেবল একটি শাখা নয়, বরং শৈব ও শাক্ত দর্শনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ঐক্যতত্ত্বের জীবন্ত প্রকাশ। “বামাকেশ্বর” শব্দটি দুটি অংশে গঠিত—“বামা” ও “ঈশ্বর”। “বামা” মানে শক্তি, অর্থাৎ দেবীর বামদিকের অবস্থান, যা শিবের অন্তর্নিহিত শক্তির প্রতীক। আর “ঈশ্বর” মানে শিব, যিনি চেতনার স্থির, নীরব ও নিঃসঙ্গ দিক। তাই “বামাকেশ্বর” বা “বামেশ্বর” মানে হলো শিব ও শক্তির অবিচ্ছেদ্য মিলন—যেখানে শক্তি ও চেতনা একে অপরের মধ্যে অদ্বৈতভাবে বিদ্যমান।
এই প্রথার মূল দর্শন হলো—সৃষ্টি কোনো বাইরের ঘটনা নয়; এটি চেতনার নিজস্ব বিকাশ, নিজের আনন্দে নিজের প্রকাশ। এখানে দেবীকে কেবল সৃষ্টিকর্ত্রী নয়, বরং সেই চেতনা হিসেবে দেখা হয়, যিনি নিজের দীপ্তির মধ্যে জগৎকে প্রকাশ করেন এবং পুনরায় নিজের মধ্যেই লয় ঘটান। তাই বামাকেশ্বর প্রথা মূলত এক অদ্বৈত শাক্ত তত্ত্ব—যেখানে উপাসনা মানে নিজের মধ্যেই দেবীর উপলব্ধি।
এই প্রথায় দেবী ত্রিপুরসুন্দরী রূপে পূজিতা হন। “ত্রিপুর” শব্দটি বোঝায় তিনপুরী বা তিন চেতনা-স্তর—জাগ্রত, স্বপ্ন ও সুষুপ্তি। দেবী ত্রিপুরসুন্দরী এই তিন স্তরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত চেতনার ঐক্য, যা সব অবস্থাকে একসূত্রে বাঁধে এবং অবশেষে তুরীয় বা চতুর্থ অবিচ্ছিন্ন চেতনায় পৌঁছে দেয়। তিনি জাগ্রত অবস্থায় বহির্জগতের সৌন্দর্য, স্বপ্নে কল্পনার রূপ, আর সুষুপ্তিতে নিস্তব্ধ চেতনা—তিন অবস্থাতেই এক ও অভিন্ন।
বামাকেশ্বর প্রথায় ত্রিপুরসুন্দরী সেই দেবী, যিনি তিন অবস্থার সীমা অতিক্রম করে তুরীয় অবস্থায় বিরাজমান। এই তুরীয়ই পরম সৌন্দর্য—যেখানে দ্বৈততা নেই, বিভাজন নেই, কেবল এক দীপ্ত, শান্ত, আনন্দময় চেতনা। তাই তাঁকে “সুন্দরী” বলা হয়, কারণ তাঁর সৌন্দর্য বাহ্যিক নয়; এটি চেতনার অন্তর্গত দীপ্তি, যা জগৎ, মন ও আত্মাকে একত্রে আলোকিত করে।
বামাকেশ্বর প্রথা কাশ্মীর শৈববাদের ক্রম ও কৌল প্রণালীর সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। ক্রমপন্থায় চেতনার ধাপে ধাপে উদ্ভাসন ব্যাখ্যা করা হয়, আর কৌল প্রণালী দেখায় কীভাবে সেই চেতনা প্রত্যক্ষভাবে আনন্দরূপে উপলব্ধ হয়। বামাকেশ্বর প্রথা এই দুই ধারার মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করে—এখানে উপাসনা মানে ধীরে ধীরে অভ্যন্তরীণ উপলব্ধির পথে এগোনো, যতক্ষণ না সাধক বুঝতে পারেন, “আমি-ই সেই দেবী, আমি-ই ত্রিপুরসুন্দরী।”
এই দর্শনের মূল কথা হলো—শক্তি ও শিব এক। রূপ ও রূপহীন, ভাবনা ও ভাবনার অতীত, সৃষ্টি ও নিস্তব্ধতা—সব একই চেতনার বিভিন্ন দিক। ত্রিপুরসুন্দরী, কালী, কৌলিকী বা মাতৃসদ্ভাব—সব নাম ও রূপ আসলে একই তত্ত্বের নানা দীপ্তি। বামাকেশ্বর প্রথা শেখায়, এই অভিন্ন চেতনার উপলব্ধিই মুক্তি। যখন সাধক এই ঐক্য অনুভব করেন, তখন আর শিব ও শক্তি আলাদা থাকে না; দু-জনেই এক হয়ে যায়, আর সেই একাত্ম অবস্থাই পরম জ্ঞান ও আনন্দের প্রকাশ—যেখানে চেতনা নিজেকেই উপাসনা করে, নিজেকেই চিনে নেয়, আর নিজেকেই উপলব্ধি করে।
ত্রিপুরসুন্দরী, কালী, কৌলিকী ও মাতৃসদ্ভাব—এই চার নাম শুনলে মনে হয় চার দেবী, চার পৃথক শক্তি; কিন্তু তান্ত্রিক দর্শনের গভীরে নামগুলো খুলে ধরলে দেখা যায়—সবই এক পরম চেতনার ভিন্ন ভিন্ন দীপ্তি।
চেতনা যখন নিজেকে সৌন্দর্য ও লীলারূপে প্রকাশ করে, তখন তিনি ত্রিপুরসুন্দরী—তিন চেতনা-স্তর, জাগ্রত, স্বপ্ন ও সুষুপ্তিকে একসূত্রে গেঁথে তুরীয়ের অভেদ আলোয় মিলিয়ে দেন। এই প্রকাশে জগতের রূপ, ভাব, অর্থ—সব এক অদ্বৈত সুষমায় জ্বলে ওঠে; আনন্দ যেন নিজেরই প্রতিচ্ছবি দেখে হাসে।
সেই একই চেতনা যখন সময়ের সীমা ভেঙে “উৎপত্তি-স্থিতি-প্রলয়”কে এক শ্বাস-প্রশ্বাসে বেঁধে ফেলে, তখন তিনি কালী—ধ্বংসের দেবী নন, ধ্বংসের আড়ালে আত্মপ্রকাশের গুহ্য নৃত্য। এখানে সংহার আসলে প্রত্যাবর্তন; রূপ তার উৎসে ফিরে যায়, শব্দ তার নীরবতায় বিলীন হয়, আর বহুত্ব একের গভীরে বিশ্রাম পায়।
চেতনা যখন নিজের মধ্যকার প্রবাহকে নিজেরই সত্য বলে চিনে নেয়, তখন সৃষ্টি ও লয়—এই দুই বিপরীত ভাব আর আলাদা থাকে না। তারা একটানা নিঃশ্বাসের মতো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। যেমন মানুষ একবার শ্বাস নেয়, আর একবার প্রশ্বাস ফেলে—দুই কাজই জীবনের এক অভিন্ন ছন্দের অংশ—তেমনি চেতনার ক্ষেত্রেও সৃষ্টি মানে বহির্মুখ হওয়া, আর লয় মানে অন্তর্মুখে ফিরে আসা। এই দুই-ই তার নিজের স্বভাব; কোনোটিই শুরু বা কোনোটিই শেষ নয়। এই অবস্থায় চেতনার গতি এক ছন্দময় প্রবাহ, যেখানে প্রকাশ আর প্রত্যাবর্তন, নীরবতা আর শব্দ—সব এক সুরে বাঁধা থাকে।
এই অবস্থাতেই দেবীকে বলা হয় কৌলিকী বা বিসর্গ। “বিসর্গ” মানে নিরন্তর প্রবাহ, অবিরাম নিঃসরণ—চেতনার সেই সঞ্চালন যা কখনও থামে না। এটি সেই দেবীশক্তি, যিনি শিবের নিস্তরঙ্গ চেতনা থেকে অবিরামভাবে প্রকাশিত হচ্ছেন, আবার সেই চেতনার মধ্যেই লীন হচ্ছেন। আর “কৌলিকী” শব্দটি এসেছে “কুল” থেকে, যার অর্থ হলো “একসূত্রে বাঁধা ঐক্য”—যেখানে সব ভিন্নতা এক হয়ে যায়। কৌলিকী মানে সেই শক্তি, যিনি শিব ও শক্তিকে, কর্তা ও ক্রিয়াকে, স্থিরতা ও গতিকে এক অদ্বৈত সত্তায় যুক্ত করেন।