সেদিন রবির সাথে গল্প হচ্ছিল। : রবি, শুনছ? : হুম, বলো। : আজ মনটা বড্ড খারাপ গো… : জানি। : কী করে বুঝতে পারো? : তোমার মানুষটিকে কিছু লিখলে না যে আজ? : তুমি লিখে দেবে? দাও না গো রবি! আজ একটু…তোমার বঙ্কিমসত্তাটিকে লুকিয়ে রেখে এক প্রচণ্ড আবেগি শরতবাবুর অতি প্রিয় অভিমানগুচ্ছকে জাগিয়ে তুলতে পারবে না ওর জন্য, রবি? আমার মানুষটির জন্য? : তোমার জন্য সবই পারব! : যাও তবে! তোমার নিছক তাচ্ছিল্য-স্বভাবকে জেনেও ওকে তোমারই দেওয়া আমার একান্ত অধিকার কিংবা অভ্যেস বানিয়ে ফেলবার সুযোগটা নিয়ো না যেন, দোহাই তোমার! : তাই নাকি? চলে যাব বলছ? পারবে যেতে দিতে? পারবে তো সুযোগ নেবার অধিকারটুকু আমার কাছ থেকে ফিরিয়ে নিতে? : আবার তোমার বঙ্কিমকে জাগিয়ে আমায় কমলাকান্তের দপ্তরে ঠায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছ তো? যাও…আর দেবোই না যেতে! কী করবেটা, শুনি! : সুযোগের মোক্ষম সদ্ব্যবহার! আবার কী! : খুউব, না! ভালো হচ্ছে না কিন্তু, রবি! : আচ্ছা ঠিক আছে…বলো! : কই, লিখে দেবে বললে তো আমার মানুষটির জন্যে…লিখলে না যে? : লিখে রেখেছি তো সবই…দেখো! এখন শুধু তুমি তোমার মতো করে একটু সাজিয়ে নাও! : কী করে পারো, বলো তো? : তোমাকে বুঝতে হবে বলেই যে আমাকে সৃষ্টি হতে হয়েছে রবীন্দ্রনাথের শরীরে! : না গো, না…তুমি আমার রবি! বাকি সকলের রবীন্দ্রনাথ! বুঝলে এবার? : হা হা হা…পাগলি আরকি! : হ্যাঁ গো, তোমারই পাগলি! : সে আমি জানি! : আচ্ছা, শোনো… : হ্যাঁ, বলো… : ভালোবাসি খুউব! : বাসি আমিও কি কম!