ভালোবাসার অজুহাতে

আমি যাকে চোখ দিয়ে ছুঁই, সে আমায় ছুঁয়ে ফেলতে চায় কিনা হাত দিয়ে!
তার এমন ছেলেমানুষি দেখে আমি হাসি আর হাসতেই থাকি।
কিন্তু যখন ঠান্ডা মাথায় ভাবতে বসি, তখন মনে হতে থাকে, এসব ছেলেমানুষের কাজই না, এসব আসলে অমানুষের কাজ।
 
হায়… এসব ব্যাপারকে আমি হালকা করে দেখেছি শুধুই ভালোবাসার অজুহাতে!
ওই মানুষটা নিজে কি কখনও জানতে পারবে না যে, সে একজন অমানুষ?
 
আমি তো আমার নারীত্বকে ছাড়িয়ে, খোলস ভেঙে, প্রবলভাবে মানুষ হবার তাড়না-বাসনা-অনুশোচনায় লোকটিকে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলাম।
অথচ ওই লোকটার মধ্যে মানুষ হতে চাওয়ার কোনো আগ্রহই নেই, আছে শুধুই উদগ্র কামনা!
 
এবার তাহলে কী করব?
পালিয়ে যাব?
কিন্তু পালানো তো কখনও আমার ধাতেই ছিল না।
 
আমার কি তবে প্রেমিককে কলার চেপে ধরে মানুষ বানাতে হবে?
যদি রাজি না হয়? যদি হুংকার দিয়ে নিজেকে পুরুষ বলে দাবি করে, আর বলে…আমিই মানুষ, আমিই পুরুষ। কামনাই পুরুষের আদি ও একমাত্র বৈশিষ্ট্য। কামনাই পরম সত্য!
…তখন আমার উত্তরটা কী হবে?