বিশ্বাস

বিশ্বাস! সব মিলিয়ে মোটে তো ওই চার বর্ণই,
আর তার মাঝে একটিমাত্র যুক্তাক্ষর!
…এইটুকু শব্দেরও এত ক্ষমতা!!!


কখনও হয়তো শত ঝড়কেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সম্পর্কটা গড়েই তোলে,
আবার কখনও, প্রচণ্ড একটা নেশার মতো ভালোবাসায় এক হয়ে বেঁচে-থাকা
দুটো মানুষকে চোখের পলকেই আলাদা করে দুইটি ভিন্ন পথের মানুষ বানায়!


বিশ্বাস! সে যে ভয়ংকর রকমের এক শৌখিনতা!
যদি একবার কোনও উপায়ে ঠিক ভেঙে দেওয়া যায়,
তবে পৃথিবীর সব শক্তি মিলেও তাকে জোড়া লাগানোর ক্ষমতা রাখে না!


যে প্রিয়তমা তার প্রিয়তমর প্রতিটি কথাই একসময় বেদবাক্য মানত,
সেও একদিন প্রিয়তমর কথার স্রোতে আবেগে ভেসে যেতে অস্বীকৃতি জানায়!


যে প্রিয়তমা প্রতিমুহূর্তেই তার প্রিয়তমকে একসময় চোখে হারাত,
সেও একদিন প্রিয়তমর চলে যাবার খবরে শোকটুকুও করতে বেমালুম ভোলে!


কেন?...শুধুই এই শৌখিন বিশ্বাসের অভাবে!
আহা, বিশ্বাস! সে এক উভমুখী, প্রচণ্ড ক্ষমতাধর নিয়ন্তা!
সাম্য একটি অবস্থার দিকে এগিয়ে নিয়ে ভালোবাসার জোয়ারে যদি ভাসিয়ে নেয় তো,
ঠিক পরমুহূর্তেই আবার, এর বিপরীত দিকেও একধাক্কায়
স্বপ্নের সবকটা সৌধ ভেঙে চুরমার করে একেবারে নিঃস্ব করে দেয়!
এমন উভমুখী ঝড় সামলানোই যে বড্ড দায়!


বিশ্বাস! তাকে একটি কথায় নাম দেওয়া যায়---সর্বনাশা!
নদীর দুপাড়েই সে সর্বনাশের ঢেউ তুলে দেয়!
নদীর এপাড়ে ভালোবাসার মিলনে এক নতুন গড়ে তো,
অন্যপাড়ে মর্মন্তুদ বিচ্ছেদের সুরে পুরনোকেই সে ধ্বংস করে!


বিশ্বাস! সে সত্যিই বড়ো রহস্যে ঘেরা!