মেয়েটি কবিতা লিখত। বইয়ের মলাটে, খাতার ভাঁজে গুঁজে রাখত টুকরো টুকরো কবিতা।
কিছু কবিতা ন্যাপকিন-টিস্যুতে লেখা, কিছু কবিতা কাগজের ঠোঙায় লেখা, বাকিগুলি ছেঁড়া কাগজে।
তখন আমি নিজের সঙ্গে যুদ্ধরত এক সৈনিক। ক্লান্ত নই, নই নির্ভারও... ঠিক এমন সময়ে সেই মেয়েটির সঙ্গে দেখা, যার কবিতা লেখার তাগিদ ছিল, গুছিয়ে রাখার গরজ ছিল না।
প্রথম দেখাতেই তার প্রথম কথাটি ছিল, তোমার হৃদয়টা দেখাও।
উত্তরে বললাম, ওটা নেই, হারিয়ে গেছে!
: এরকমও হয় নাকি!
: যোদ্ধাদের হৃদয় থাকে না, কেবলই স্বপ্ন থাকে।
: যোদ্ধাদের হৃদয় থাকে না, কেবলই স্বপ্ন থাকে।
: ওদের হৃদয়টা তবে যায় কোথায়?
: কেন, তোমাদের কলমে!
দেখলাম, আমার কথা শুনে মেয়েটি ভীষণ ব্যস্ত হয়ে বইয়ের আর খাতার ভাঁজ ঘেঁটে ঘেঁটে জীবনে এই প্রথম বারের মতো তার সৃষ্টিগুলিকে জড়ো করতে লাগল।
সিদ্ধান্ত নিলাম, বাকি জীবনটা আমি ওর সঙ্গেই কাটিয়ে দেবো।