‘ভালোবাসা’ শব্দটিই, একটা সময়,
আমার জীবনে স্রেফ আগন্তুক ছিল।
আর, তুমি ছিলে…পরিচিত, বড়জোর শুভাকাঙ্ক্ষী।
দুজনের বসবাস ছিল ভিন্ন দুইটি ভুবনে।
তবে..আজ এতটা, যেন চিরচেনা কত…হলে কী করে?
নিষ্প্রভ, প্রয়োজনের মাপাফ্রেমে বাঁধা এই জীবনেও,
এমন সব অনুভূতির স্পন্দন অবশেষে জাগিয়েই দিলে,
যা একসময় ছিল বড়ো অকেজো, বড্ড বাতিল!
কখনও ভাবিই তো নি, এই আমিও,
চোখের এ-ফাঁকে ও-ফাঁকে...তোমার ছোঁয়ায় এতটা ব্যাকুল হব!
এই শিহরণটা, যা আগে ভাবতাম, কেবল অনর্থকই,
তা-ও আজ অমূল্য এত...!
এই পাথুরে দুচোখ, যা চিনত শুধুই শীতল ছোঁয়া,
সেখানেই কিনা শ্রাবণ নামালে তুমি হঠাৎ এসে!
অপলক সেই দৃষ্টিসাগর,
আজ ক্ষণে ক্ষণেই পলক ফেলে...তোমাকে ভেবে!
ভাবি, এ-ও বুঝি হবার ছিল?
এই ঠোঁটজোড়া আজ কাঁপে অবিরত…
যেন যন্ত্র কোনও!
আজ মৃদুহাসিতে, নীরবতার সমস্ত যাপন ভেঙে,
এক তোমারই যাপন আদ্যোপান্ত!
যে শরীর নুইতো শুধুই বইয়ের ভারে,
সে শরীরও এখন ভালোবাসার শোভাটা মাখে!
অবসাদে যে দুচোখে শুধুই ঘুম নামত,
সে দুটি চোখ আজ বিনাক্লান্তির স্বপ্ন দেখে!
পথে চেয়ে থাকা,…এই তিনশব্দে ছিল শুধুই বিরাগ,
ভালোবেসে আজ, সেই প্রতীক্ষাতেই হৃদয় বাঁধি!
এ নতুন আমি কেমন আমি!
আজ আমার এ কী হলো!
আমি কি তবে ভুলেছি নিজেকে?
না কি এরই নাম ভালোবাসা, প্রেম?