কখনও তুমি--- নীলাঞ্জনার মান ভাঙিয়েছ? সুচরিতার কথা শুনেছ? শুচিস্মিতার হাসি দেখেছ? প্রিয়ংবদার ভাষা বুঝেছ? যদি এসবের কিছুই তুমি জানো না, পথিক, তবে তোমায় ভালোটা বাসি কেমন করে, বলো তো, দেখি? দেখেছ কোনও ক্যামেলিয়াকে পাহাড়তলি? বুঝেছ কখনও রঙ্গবতীর নাচের মানে? বাজিয়েছ বাঁশি কখনও গিয়ে কদমতলায়? শুনেছ অনুযোগ কিছুটা সময় নিয়ে বিষ্ণুপ্রিয়ার? মনউঠোনের কিছুই তো তুমি বোঝো না হে পথিক, তবে তোমায় মনের ঘরে ঠাঁইটা এবেলা দিই বলো তো কেমন করে? সংকোচটা বুঝেছ, পথিক, লজ্জাবতীর? মায়ায় পড়েছ কৃষ্ণকলির কালো দুচোখের? প্রেম দেখেছ দুজোড়া চোখের অশ্রুধারার? দুই পা কখনও পিছলে গিয়েছে কথার ঢঙে? শোনো পথিক, যখন আজ অবধি ভাবোইনি এইটুকও, তবে তোমায় একরকমে ভালোলাগায় রাখিই-বা বলো কেমন করে? সাগরের নোনতা জলে ডুবে যেতে…শিখেছ? মরুভূমির তপ্ত রৌদ্রে পুড়তে কখনও…পেরেছ? দলা দলা কান্নাগুলো কষ্ট ছাড়াই গিলতে…জেনেছ? রাত নামলে আকাশ খুঁজে আকাশনীলার ছায়াটা…পেয়েছ? পথিক, এ কেমন কথা! এতদিনেও, দেখলে না কিছুই? তবে তোমায় মনের মানুষ সত্যি সত্যিই বানিয়ে ফেলি কেমন করে?