নৈঃসঙ্গ্যের সামীপ্যে

বুকে আমার কথা যত,
ক্লান্ত হলেও শুনে নিয়ো।
জমানো এসব গভীর ক্ষত,
চুমে খেয়ে সারিয়ে দিয়ো।




কত সহস্র যাতনা আমার
লুকিয়ে রাখছি বহুদিন ধরে,
যাচ্ছি সয়ে উপেক্ষা তোমার,
দেখো, তবু তো যাইনি মরে!




শুনলে জানি উঠবে রেগে,
থামিয়ে দিতে চাইবেই মুখ,
থামাতে গেলে ওঠে আরও জেগে,
কাঙালের যে ওই একটাই অসুখ!




কী করে ছিলে আমায় ভুলে?
মনে পড়েনি এক বারও, তাই?
পাপ হবে খুবই একটু ছুঁলে?
শেষ এক বার ছুঁয়ে দিয়ে যাই?




মুখে মুখেই কত-কী বলেছ,
নোনতা জলের স্বাদ পাওনি তো কভু,
টুক করে হাত ছেড়ে দিয়েছ,
প্রেমের দুঃসাহস আমি করেছিই তবু!




প্রশ্ন আমায় করেছ তুমি নানাভাবে রোজ,
ব্যস্ত লোকের অমন প্রেমটাই-বা কীসের?
এক বেকারেরই থাকে ওসব যাতনার খোঁজ!
যাতনা, সে ক্ষতের যে নয়, কেবলই বিষের!