১. প্রিয়ার নূপুরের ধ্বনি---প্রেমিকের চোখে সে তো এক অপরূপ ঐকবাদন,
তার সুরের মূর্ছনাতে নিপুণ ভাঙে, হয় চৌচির সাধকের জন্মান্তরের জন্মসাধন!
২. যদিওবা তাকে দেখতে না পাই, ভাবতে তো পারি---সেখানেই সুখ!
ভিখিরির ঘর করতে আলো মোমবাতি ভাল, আরো যে ভাল গূঢ় চাঁদকূপ!
৩. এ হৃদয় হলো মুসাফির ভালোবাসাটা খুঁজতে গিয়ে, মুসাফিরই থাক!
ভালোবাসায় পুড়ল জীবন; জ্বলুক, পুড়ুক, হলে হোক ছাই হয়ে খাক!
৪. লোকে কেন ভাবে, বেঁচে থাকি খুব, যদি দেহে থাকে মন!
আমি তো ভাবি, ভালোবাসা থাকলে তবে বেঁচে থাকে জন!
৫. প্রিয়ার আঘাতে হই মুর্দা কী হাসিতে, ভুলে জখমও!
হাসছি কেন? অত মোলায়েম হয় কি সোহাগও!
৬. বিদেশিনী প্রিয়া কী ভাষা বলে, বুঝি নাতো তা!
সে ভাষা কেন হল না আমার, প্রিয়া বলে যা!
৭. ওরা বলে, বাড়লে বয়স, ভাঙলে শরীর, ভালোবাসাটা ঠিক আসে না!
আমি বলি, রাখলে প্রেমের হিমেল আগুন, অমন কথা ভাবতেও মানা!
৮. এ জন্মে মরার আগেই স্বর্গ পেলাম,
যখন এ ঘর ছেড়ে ও ঘরে গেলাম!
৯. তোমার চোখ বলছে, ঘুম হয়নি; সত্যি বলো, সারারাত ছিলে কার বাহুডোরে?
তোমার নেশামাখা ঠোঁট ছিল কার ঠোঁটে, যার ভালোবাসা বাঁধে আরো জোরে?
১০. আমার এ চোখের মায়া যদি না টানে আগের মতো,
র’বে বাঁধা চোখে তোমার দুয়ারে ধুলো আছে যতো!
১১. যে রাতে প্রিয়া জাগল না আর ঘুমের ঘোরে,
আমিই নাকি ছিলাম দূরে, বলল সে ভোরে!
১২. আমি যেদিন তুমি হলাম, তুমি হলে আমি, সেদিন আমি দেহ হলাম, তুমি হলে মন,
যেন কেউ না বলে, দুইটি দেহ, দুইটি আত্মা, আমি তো আমি, তুমি তো অন্য-জন!