- এনে দেবে না আমায় শরতদিনের প্রথম শিউলি ফুলটা? - আহা, কেন দেবো না? বলো তার আগে, কোথায় তোমার সবুজ রংয়ের ঝুমকো কানের দুলটা? - আছে ওটা, পরিনি তো আজ, নাহয় অন্য একদিনই পরব? - আমি তো ভেবে রেখেছিলাম আজকেই তোমায় পূর্ণ চোখে দেখব! - ওমা, আমায় কি দেখাচ্ছে তবে বিচ্ছিরি খুবই, বলো? - ঘোমটা তোলো, টিপটা একটু ঠিক করে দিই। অবশ্য ‘পূর্ণ চোখে’ মানে, থাকবে না কোনও সাজগহনা, আমি এমনিই তোমায় দেখব, আসবে যখনই চাঁদ ফুঁড়ে আলো! - জনাব, ওসব ভাবনা কেবল পকেটে ভরেই রাখুন! দুষ্টুমিটা ছেড়ে এবার সভ্য হয়েই থাকুন! - দুনিয়ার কোনও প্রেমিকই সভ্য কিছুতেই নয়! যদি প্রেমিকই হবে, তবে আবার সভ্য কী করে হয়! চলো, এবার ছাদেই চলো। চাঁদের সাথে আমার চাঁদের দেখা আজই হোক! - আরে যাব তো, হাতটা ছাড়ো না! তুমি কেমন আজব লোক! - কাপড়টা এবার সরিয়ে ফেলো, ওই চাঁদকে একটু দেখাই? - কী বলছ এসব? - আহা, ভাবছ কেন? আমি তো আছি, পর্দা হয়েই দাঁড়াব নাহয়। তুমি শুধু তোমার পিঠের খাঁজ আর বুকের লাল তিলটা ওকে দেখাও। - দেখালাম, যাও! আরও দেখাই তবে…আমার আছে যা-কিছু? - না গো, না! আঁচল দিয়ে এবার ঢাকো নিজেকে, অতটা উদার আমি শিখিনি এখনও হতে! ভালোবাসি তো তোমায়। তুমি আমার যেহেতু, সেহেতু তুমি আর নও শুধু ঠিক তোমারই। তুমি আমার, আমার এবং আমারই!