এই শরীরটা ছুঁয়ে ছুঁয়ে তুমি আমায় পবিত্র করো। আমার সারাটা মন স্পর্শ করে আমার সতীত্বটুকু তুমি ফিরিয়ে দাও আমায়। পাড়াসুদ্ধ লোকের সামনে আমার দুগালে আবির মেখে তুমি আমায় কলঙ্কিনী...দাও, করে দাও! ও গো, আমার এ শরীরের প্রত্যেকটি ভাঁজ দুচোখ ভরে দেখে দেখে এবেলা তোমার পুণ্য একটু কমিয়ে ফেলো। বেঁচে থাকবার প্রয়োজনে একঝুলি পাপ এ-ফাঁকে আমিও কুড়োই! আমি এত পুণ্যি দিয়ে করবটা কী, যদি তোমার ওই দুটো হাত এ শরীরটাকে একটুও না ছোঁয়? আমি কুমারিত্ব রাখব ধরে, বলো, কীসের লোভে? ওরা সবাই মিলে আমায় পুজো করবে? কুমারী পুজো? ওসবের ধারটা আমি ধারি না গো! কুমারী আমি, মানছি এটুক; সাথে আমার পরিচয়টা--- এক তোমারই আমি, সে তুমি আমায় যা-ই করো না! আমরা দুজন পরস্পরের চোখের জলে ভিজেছি…! তোমার চোখের জলে ভিজেই গেছে আমার শাড়ির আঁচল, আমার চোখের জলে ভিজেছে তোমার বুকের সবকটা লোম! ওই বুকে মাথা রাখতেই মনে হয়েছে, যেন গঙ্গায় স্নানটা সেরে এলাম এইমাত্রই! নাও, আমায় জড়িয়ে ধরো। আমি আমাকে তোমায় দিতে এসেছি! যা-কিছু আমার ছিল, যা-কিছু আমার আছে, তার সবই তোমার! আমায় তুমি নাও জড়িয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে! আমাকে তোমার সাথেই মেখে ফেলো, তোমার ঘাম ছুঁতে দাও, আমার সাথে তোমার দেহের, এবার একটা জটলা বাধাও! এসো, দুজনের মনের মধ্যে ভীষণ রকমের তালগোলটা, এবেলা পাকিয়েই ফেলি!