কোনও এক ঝুমবৃষ্টির রাতে, ঘরভর্তি মানুষ, হইচই, ভিড়… তখনও তোমার হঠাৎ বড্ড একা লাগবে। কোনও এক জোছনাভরা পূর্ণিমারাতে, পৃথিবীটাকে তোমার কাছে বড়ো অন্ধকার ঠেকবে। ভীষণ কাজের চাপে পিষ্ট তুমি একদিন খুব একাকিত্বে হাঁপিয়ে উঠবে। বন্ধুদের সাথে নাচে গানে ভরা কোনও এক ব্যস্ত পার্টিতে রকগান শুনতে শুনতেও তুমি বেমালুম উদাস হয়ে যাবে। মধ্যরাতে চোখভর্তি ঘুম ভেঙেও, বুকের বাঁপাশটায় চিনচিন ব্যথা করে উঠবে। কোনও এক সকালে, ঘুমভেঙে দেখবে, চোখের কোনা জলে ভিজে গেছে অকারণেই। বুঝবে, তোমার চোখ কাঁদেনি সে-রাতে, কিন্তু মন ঠিকই কেঁদেছে সারারাত। আমার যে চোখজোড়া তোমার জন্য ভালোবাসায় ঠাসা ছিল, সেই চোখ দুটো তোমার ঘুমহীনতার কারণ হবে একদিন, দেখো। একদিন ভরদুপুরে হঠাৎ আবিষ্কার করবে, তোমার ব্যাংকভর্তি ব্যালেন্স আছে, আর সাথে আছে বুকভর্তি অসুখ। একদিন ঠিক বুঝে যাবে, তোমাকে আমার চেয়ে বেশি ভালোবাসে, এমন মানুষ এই সাড়ে সাতশো কোটি মানুষের ভিড়ে একজনও ছিল না, নেই আজও। মিলিয়ে নিয়ো, একদিন তুমি ঠিক বুঝে যাবে, যাকে অনায়াসে জীবন থেকে বাদ করে দিয়েছিলে, আদতে সে-ই তোমার জীবনের সব কিছু ছিল। তুমি বুঝবে, ভুলে যাবে যাবে করে যাকে ভুলে যেতে চেয়েছ প্রতিটি মুহূর্তে, আদতে তাকে তুমি ভুলে যেতেই একদম ভুলে গিয়েছ!