আমার কেউ নাই… কেউ নাই রে আমার। মোটা মোটা সব বইপত্র ছুড়ে দিয়ে একদৌড়ে কারুর বুকে লুটিয়ে পড়ব— আমার এমন কেউ নাই। আমার সব আছে—যা যা মানুষের প্রয়োজন—আমার তার চেয়ে ঢের বেশি আছে। তবুও সারাটা দিন, সারাটা রাত…শুধু কী যেন নেই, কী যেন নেই লাগে। যেই বুকে প্রসাধন মাখি, মখমলের ফিটিং ব্লাউজ পরে যার ওপরে বিশাল মালা চাপাই, আমার সেই বুক ভেতরে ভেতরে এতটা ফাঁকা, এতটাই ফাঁকা যে… আস্ত একটা শহর আমি সেই বুকে ঢুকিয়ে ফেলতে পারব। কিন্তু এই যে সাতাশ থেকে আটাশ হতে চলল, কখনও টের পাইনি এটুকু যে… খালি হতে হতে আমার বুক ক্রমশ নেতিয়ে পড়ছে। বিশ্বাস করো, আমার নিজের কেউ নেই, কোনো কাকপক্ষীটাও নেই। আমার দিকে একটু চোখ মেলে ভালো করে তাকিয়ে দেখবে, এমন কাউকে ঈশ্বর পৃথিবীতে পাঠাননি। এমন কোনো অনিমেষ নেই আমার, যাকে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলতে পারব, চোখ বড়ো বড়ো করে প্রশ্ন করতে পারব… আমার ব্লাউজের নিচে স্তন ছাড়া যে আর কিছুই নেই—আমার জীবনের এত বড়ো সত্যিটা আমার আগেই তুমি…তুমি কী করে জানলে, অনিমেষ!