অ্যাই ছেলে, আমি তোমাকে সতর্ক করে দিচ্ছি,
তুমি আমাকে এমন অনুভূতিহীন
‘শুভ সকাল - দুপুর - বিকেল - সন্ধ্যা…’ লিখে আর পাঠাবে না।
এইসব দেখলে আমার রাগ হয়, আর কী হয়, তা তোমাকে বলা যাচ্ছে না আপাতত।
আমি অনেক অস্থিরতা নিয়ে,
কখন তোমার সাথে দেখা হবে, সেই অপেক্ষায় আছি।
ভালো আছি, না খারাপ আছি, না দুটোর কোনওটাই নেই, বুঝতে পারছি না।
সারাদিনে তোমার সাথে আমার কয়েক সেকেন্ড মাত্র কথা হয়,
আর সেখানেও তুমি রিপ্লাই করো একদিন পর পর!
আবার বলো কিনা ‘শুভ ডট ডট ডট…’!
একটা সুসংবাদ দিই। মন দিয়ে শোনো, এরপর
একটা লার্জ-সাইজ কিটক্যাট কিনে সোজা আমার কাছে চলে আসো।
আজ আমাদের বাসায় অনেক মেহমান এসেছেন, এবং
আমার বিবাহের কথা ফাইনাল! তোমার সাথে আমার ভালোবাসার ইনিংস শুরুর আগেই শেষ!
আমাকে প্রথম কনগ্রাচুলেশনসটা তুমিই জানিয়ে যাও!
হাঁ করে বসে আছো যে? দ্রুত দোকানে ছুটো কিটক্যাট কিনতে!
এখন আসি আসল কাহিনিতে।
আমার মতো এমন রেডিমেড বদের হাড্ডিকে বিয়ে করার সাহস কার!
বিয়ে দেওয়ারই-বা সাহস কার…তা-ও, আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে!
আর আমার ইচ্ছে হলো,
এই জন্মের পরে আরও যদি জন্ম থাকে, সেসব জন্মেও বিয়ে না করা।
মাঝে মাঝে নিয়ম করে বাসার সবাই দল বেঁধে এসে...
যতটুকু সম্ভব, বিবাহ-সংক্রান্ত মানসিক নির্যাতন করেটরে চলে যায়।
প্রথম দিকে ভীষণ কষ্ট হতো, এখন অবশ্য সহ্য করতে পারি।
কালকে যখন ওরা এটা ওটা বুঝাচ্ছে,
আমার তখন কেবলই তোমার কথা মনে পড়ছিল।
আর তোমাকে ভাবতে ভাবতে…ওরা কে কী বলেছে, তার কিছুই আমি শুনতে পাইনি!
অন্যসময় ওরা চলে যাওয়ার পর,
কয়েক দিন কাটে খুব বিরক্ত হয়ে,---
ওরা যা-কিছু বলে, ওসব মাথায় ঘুরতেই থাকে।
তখন আমি অনেকটা অস্বাভাবিক আচরণ করি, অস্থির লাগে,
অথচ কাল তোমাকে অনুভব করতে করতে…ওরা কী বলেছে, মাথায়ই ছিল না!
বিয়ে মানেই তো একটা ভালোবাসাহীন অভ্যস্ততার জীবনে ঢোকার সহজলভ্য পাসপোর্ট!
কী দরকার! ভালোই তো আছি!...আমার জীবনে আসার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।
আচ্ছা, আমরা যদি সারাজীবনই এমনি করে ভালোবাসায় ডুবে থাকি,
আর বিয়েকে বলি…কাবাডি কাবাডি…কাবাডি কাবাডি…
তবে…ছোট্ট একটাজীবন…কাটবে না?