একান্ত ঘরের মানুষ



প্রায়শই...আমার কাছে তোমাকে ভীষণ খামখেয়ালি স্বভাবের মনে হলেও—তোমার ভেতরটায় আমাকে করা যত্নের কোনো কমতি পাইনি। তোমার অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা আমাকে কখনও বিভ্রান্ত করেনি। আমাকে তুমি ভীষণ রকমের বুঝতে পারো...কী করে, আমি জানি না। তবে, তোমার লেখা শব্দগুলো পড়ে আমি নিশ্চিত—তুমি আমাকে ভয়ংকর রকমের ভালোবাসো।

তুমি আমাকে সারাক্ষণ তোমার কাছেই রাখতে চাও—যেটা অসম্ভব। কার‌ও সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই...তাকে ভালোবাসাটা একরকমের আত্মবিধ্বংসী পরিকল্পনা। তোমার কাছে সারাক্ষণ থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আবার তোমার লেখাগুলো ছুঁয়ে থাকার অভ্যেসটাও বদলাতে পারছি না। তোমাকে যে ভালোবাসব...সেটাও পারছি না।

আমি তোমাকে কাছে টানতে চেয়েছিলাম, আর তুমি...কী করলে? তোমার যে অজুহাতের কোনো শেষই নেই। কাছে আসতে চাও না—সে কথাটা স্পষ্ট করে বলে দিলেই পারতে, এত ভণিতা করার তো দরকার ছিল না।

তুমি যত বার আমার সাথে দেখা করেছ, আমাকে যন্ত্রণা ছাড়া আর কী দিতে পেরেছ?

মানুষ বড়ো বিচিত্র, এই আজকে—যাকে ভালো লাগছে না, যার স্পর্শ আমাকে কষ্ট দিচ্ছে, সেই মানুষটা ছেড়ে গেলে নিশ্চয়ই ভালো লাগার কথা? কিন্তু না—আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।

তোমাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে, বলতে ইচ্ছা করছে—আমি তোমাকে নিয়ে আমার বাকিটা জীবন পার করতে চাই। এসব উপলব্ধি আমার হঠাৎই আসেনি কিন্তু। যে-মুহূর্তে আমি জেনেছি...তোমার সকল অজুহাতের পেছনেও একটা কারণ আছে, তোমার সব লেখার মাঝে আমাদের একসাথে কাটানো স্মৃতিটুকু আছে, আমার জন্য তোমার বুকের গভীরে একটা নিঃশব্দ ঘর আছে—সেই মুহূর্ত থেকে আজ অবধি আমি তোমাকে একমুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারিনি।

এ জীবনে তোমার চেয়ে বেশি...আমাকে আর কেউই কক্ষনো পায়নি।
Content Protection by DMCA.com