প্রিয় মেঘ, একটা সময়, আমার কিছু বলার ছিল।
বলার বড্ড সাধ ছিল, বলার মতো সময়ও ছিল, সে সময়জুড়ে তুমিই ছিলে।
সবই ছিল, শুধু তুমি ছিলে না।
তোমার চাহনি থেকে…আমারও কিছু চাওয়া ছিল।
সে চাওয়ার ভিড়ে তোমাকে চাওয়ার অনেক অনেক চাওয়া ছিল।
তোমায় গ্রহণ করার চোখও ছিল, সে চোখে তোমার জন্য কাজল ছিল।
দুচোখে কাজল ছিল, কাজলের সবটা জুড়ে তুমিই ছিলে।
সবই ছিল, শুধু তুমি ছিলে না।
মেঘ, তোমার আঙুলে আঙুল পেঁচিয়ে ঘাসের উপর দুকদম হাঁটার বড়ো ইচ্ছে ছিল।
ইচ্ছে ছিল, তোমার ঘাড় বেয়ে…নেমেচলা চুলের ভাঁজে…সাতরঙা স্বপ্ন বাঁধি, অনেক অনেক গল্প গাঁথি…।
তোমায় নিয়ে ইচ্ছেমতো ইচ্ছেপূরণ…আমার এমন কিছু ইচ্ছে ছিল।
সবই ছিল, শুধু তুমি ছিলে না।
আমারও ভীষণ ইচ্ছে ছিল, আমাদের ঘরটা হবে চড়ুইপাখির---দোদুয়ারি।
তোমাকে নিয়ে সাগরপারে ঢেউয়ের তালে দৃষ্টিছোড়ার ইচ্ছে ছিল।
ইচ্ছে ছিল, দুজন মিলে ইচ্ছেমতো ইচ্ছেঘুড়ি উড়িয়ে দেবো যেখানে খুশি।
মেঘ, আরও অনেক অনেক ইচ্ছে ছিল বুকের ভেতর!
সবই ছিল, শুধু তুমি ছিলে না।
আমার অনেক কথা ছিল, তোমাকে বলার গল্প ছিল, সব গল্পে তুমিই ছিলে।
ইচ্ছেদুপুর নদী ছিল, নদীর পাড়ে ঘরও ছিল, সেই ঘরটায় তোমার আমার আজন্মের বাঁধন ছিল।
সবই ছিল, শুধু তুমি ছিলে না।
আমার একটা আকাশ ছিল, সে আকাশটা…তোমার নামেই লেখা ছিল।
সেই আকাশের জলের ছাপে তোমার ছবিই আঁকা ছিল।
আমার পুরোটা জুড়েই আকাশ ছিল, আকাশজুড়ে তুমিই ছিলে!
মেঘ, একটা সময়, আমার সবই ছিল, শুধু তুমি ছিলে না।
মেঘ, আমার এখন আছে অনেক কিছুই…!
তোমার নামে ব্যথা আছে, দুটি চোখের কোণে…একসমুদ্র জলও আছে।
তোমার জন্য প্রতীক্ষা আছে, কান্নামাখা অধীর অনেক প্রহর আছে।
আমার, এখনও, ছুঁতে না-পারা...এক মনকেমনের ‘তুমি’ আছে…!