বর্ষণমুখর সন্ধেবেলার মানে বোঝো? সেই সন্ধে, যেই ক্ষণে স্বপ্নগুলো পায় শরীর খুঁজে কোনও এক অদৃশ্য ছোঁয়ায়, তুমি তা খুঁজে দেখেছ কখনও? আলোছায়ায় বৃষ্টিমাঝে মেঘের কান্না, খোঁজোনি বুঝি? না কি খুঁজেও ছিলে? শুধু আমায় দাওনি ছুঁতে! চাহনির সীমানা আটকে দিয়েছ...তোমার ওই চশমার ফ্রেমেই! দেখেছ কি আদৌ? শূন্য আঙিনায় গৃহবধূর দিশেহারা সেই দৃষ্টি, ঝুড়িভরা মল্লিকাদের শুকনো মালার অর্থ যে কী...বলতে কি পারো? মনে পড়ে আজ...? সেদিন দুপুরবেলায় গোলাপের কুঁড়িটা ছুঁয়ে বলেছিলে, ওগো সখি, ফুল দিয়ো না, কাঁটা যে বড্ড বিঁধে... শুকনো মালার অর্থ...আর তুমি... এ যে নিছক বিলাসিতাই হায়! আচ্ছা, বলো তো, অপরাজিতার নীলবেদনার, আর অশ্রুস্নাত নীলঝুড়িটার খবর জানো? ওদের তুমি দেখেছ শুধুই, পুজোর নৈবেদ্যের সাজে তার রাখোনি তো খোঁজ... বিসর্জনের বিদায়ক্ষণে! আঘাতের চিহ্ন এঁকে, শেষপ্রহরেই ঝরে পড়ে ঠিক জুলাইয়ের পয়লা তারিখে, মাঝপথে বাধ, বলেছিলে সেধে শুভ পয়লা জুলাই! সে বিশেষ কী, মশাই? ওমা জন্মতিথি...! সে কী আবার? কালনিদ্রার প্রহর তবে, টপকে গেলাম আরও একটা ধাপ! অপরাজিতার বিসর্জনে... দুচোখের এই উঠোনে তোমায় আমি না-ইবা পেলাম! তোমার ওই একলা উঠোন জুড়ে... জন্মতিথির কোনও লগ্নে ডায়েরির কিছু পুড়ে-যাওয়া পাতা... ওদের শব্দের পায়ে ভর করে করে... দেখো...তুমি আসবে ঠিকই অতীতের পদচিহ্ন এঁকে ফেলতে! তারই সাথে কিছু ঝলসে-যাওয়া স্বপ্ন এসে আবারও তোমায় ছুঁয়ে যাবে ঠিক! কত কী যে আসে, শুধু তুমি আসো না! আমার একাকী চাঁদের সঙ্গ দিতে... তোমার কাছেই তো নিয়েছি শিখে বড্ড স্বার্থপরটা হয় কী করে!