অবিদ্যা-তত্ত্ব-দীপিকা: তেত্রিশ



৫. মিথ্যাত্বের (Mithyātva) অবস্থা এবং জ্ঞানতাত্ত্বিক সংশোধন: আলোচনাটি পরম অনস্তিত্ব থেকে মিথ্যাত্ব (Mithyātva)-এর বিশ্লেষণে স্থানান্তরিত হয়, যা Atyantābhāvaḥ থেকে ধারণাগতভাবে স্বতন্ত্র। মিথ্যাত্ব এমন একটি সত্তাতাত্ত্বিক অবস্থাকে বোঝায়, যা পরমভাবে বাস্তব (satya) নয়, আবার পরমভাবে অনস্তিত্ব (asat)-ও নয়, বরং নির্ভরশীল বা খণ্ডনযোগ্য। "আকাশকুসুম"-এর মতো পরমভাবে অনস্তিত্বশীল বস্তু কখনোই অভিজ্ঞতার বিষয় হতে পারে না, কিন্তু মিথ্যাত্ব এমন কিছুকে বোঝায়, যা বিদ্যমান বলে মনে হয়, কিন্তু পরে খণ্ডন বা বাতিল করা হয়।

এই সংশোধন প্রক্রিয়াটিকে বাধম্ (Bādham) (খণ্ডন/বাতিল) বলা হয়, যা একটি পূর্বের জ্ঞান, বিশ্বাস বা বোঝাপড়াকে পরবর্তী, আরও প্রামাণিক এবং নির্ভুল জ্ঞান দ্বারা অবৈধ, বাতিল বা স্থানচ্যুত করে। বাধম্, বাস্তব এবং নিছক উপস্থিতি বা বিভ্রমের মধ্যে কঠোরভাবে পার্থক্য করার জন্য সমালোচনামূলক জ্ঞানতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া হিসাবে কাজ করে, যার ফলে বাস্তবতার বোধগম্যতা পরিমার্জিত হয় এবং বিভ্রান্তি রোধ হয়। সমস্ত দাবি যার বিরুদ্ধে মূল্যায়ন করা হয়, সেই সত্যেই প্রতিষ্ঠিত বাস্তবতাকে আলাদা করার জন্য বাধম্ অপরিহার্য।

দ্বিতীয় অংশ: জ্ঞানতাত্ত্বিক সংশোধন এবং অনুমিতিগত ব্যর্থতা

৬. বৈধ অনুমিতিগত যুক্তির জন্য পূর্বশর্ত (Anumāna): অনুমান (Anumāna), ন্যায়-এ উপলব্ধির পাশাপাশি, তুলনামূলক বিশ্লেষণ এবং সাক্ষ্য প্রমাণ-এর সাথে নির্ভরযোগ্য জ্ঞানের মাধ্যমগুলির (pramāṇa) মধ্যে অন্যতম প্রাথমিক এবং সবচেয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিকশিত মাধ্যম হিসাবে স্বীকৃত। অনুমানের প্রয়োগ পাঁচ-সদস্যযুক্ত ন্যায় অনুমান (pancavayva)-এর কাঠামো অনুসরণ করে, যা নিয়মতান্ত্রিকভাবে থিসিস থেকে সিদ্ধান্তে সরে যায়। এই অনুমিতিগত কাঠামোর সাথে জড়িত মৌলিক উপাদানগুলি সতর্কতার সাথে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে:

পক্ষ (Pakṣa) (বিষয় বা অপ্রধান পদ): অনুমিতির স্থান (যেমন, পাহাড়)।
সাধ্য (Sādhya) (প্রোবান্ডাম—মূল দাবি বা সিদ্ধান্ত, যেটি যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করতে হবে বা প্রধান পদ): অনুমিতির মাধ্যমে প্রমাণ করার জন্য যে গুণ বা বৈশিষ্ট্য (যেমন, আগুন)।
হেতু (Hetu) (কারণ বা মধ্যম পদ): সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে, এমন প্রমাণ বা চিহ্ন (যেমন, ধোঁয়া)।
দৃষ্টান্ত (Dṛṣṭānta) (উদাহরণ বা Udaharana): সেই দৃষ্টান্ত, যা হেতু এবং সাধ্যের মধ্যে ধ্রুব সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।
ব্যাপ্তি (Vyāpti) (অবিচ্ছেদ্য সহচার): হেতু এবং সাধ্যের মধ্যে মৌলিক যৌক্তিক ব্যাপকতা (যেমন, যেখানে ধোঁয়া আছে, সেখানে আগুন আছে)।

যে-কোনো বৈধ অনুমিতির জন্য pramāṇa-এর প্রতি কঠোর এবং অবিচল আনুগত্য হলো মৌলিক পূর্বশর্ত—এটি প্রমাণ করার জন্য যে, গুণ বা বৈশিষ্ট্য (Sādhya), কারণ (Hetu), এবং উদাহরণ (Dṛṣṭānta) অবশ্যই বৈধ, যাচাইযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য জ্ঞানের উপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। এই আনুগত্য যৌক্তিক ভ্রান্তি (hetvābhāsa বা ‘হেত্বাভাস’ শব্দটা এসেছে Hetu (কারণ/যুক্তি) + Ābhāsa (ছায়া/প্রতিচ্ছবি) থেকে; অর্থাৎ “যে-কারণ আসল কারণের মতো মনে হলেও আসলে ভ্রান্ত বা অকার্যকর”।) রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় বুদ্ধিবৃত্তিক কঠোরতা নিশ্চিত করে। এই প্রতিশ্রুতি একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানতাত্ত্বিক ফিল্টার হিসাবে কাজ করে, যা যৌক্তিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই সমস্ত পদের প্রাথমিক সত্যতা প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক করে তোলে। সুতরাং, ন্যায় অনুমানের বৈধতা কেবল যৌক্তিক সম্পর্ক (Vyāpti)-এর উপর নির্ভর করে না, বরং এর উপাদান অংশগুলির প্রমাণ-এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী যাচাইযোগ্যতার উপরও নির্ভর করে।

৭. অনুমিতিতে নিয়মতান্ত্রিক ব্যর্থতা—অসিদ্ধি ভ্রান্তি (Asiddhi Fallacies): Asiddhi (অসিদ্ধি) মানে “প্রমাণিত নয় / প্রতিষ্ঠিত নয়”। কোনো প্রমাণ (hetu/কারণ) যদি ঠিকমতো প্রমাণিত না হয়, তাকে বলে অসিদ্ধি ভ্রান্তি। অর্থাৎ inference (অনুমান)-এর যে-“কারণ” (hetu) ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি যদি সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত না থাকে, তাহলে পুরো যুক্তি ভ্রান্ত হয়ে যায়। অনুমানের pramāṇa প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দাবি পূরণে ব্যর্থতার ফলে নির্দিষ্ট ধরণের যৌক্তিক ত্রুটি দেখা দেয়, যা সম্মিলিতভাবে হেত্বাভাস (hetvābhāsa) নামে পরিচিত। এখানে বিশেষত অসিদ্ধি (Asiddhi) (অপ্রমাণিত) শ্রেণীর ভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, যা ঘটে, যখন অনুমিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নিজেই অপ্রতিষ্ঠিত বা অনস্তিত্বশীল হয়। এই নির্ভুল ব্যর্থতার ধরনগুলি দার্শনিক বিতর্কে যুক্তিগুলির দৃঢ়তা এবং অখণ্ডতা নিশ্চিত করে। নিম্নলিখিত তিনটি ভ্রান্তির বিশ্লেষণ অনুমিতিগত ভাঙনের একটি শ্রেণিবিন্যাস প্রকাশ করে, যা বিষয়ের বাস্তবতাকে অন্য সব কিছুর উপরে অগ্রাধিকার দেয়।

৭.১. আশ্রয়ের ব্যর্থতা—আশ্রয়াসিদ্ধি-দোষ (Āśrayāsiddhi-doṣa): অনুমানমূলক প্রমাণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাব্য মারাত্মক সমস্যাটি হলো বিষয় বা আশ্রয় (Pakṣa)-এর ব্যর্থতা। আশ্রয়াসিদ্ধি-দোষ (Āśrayāsiddhi-doṣa) (অপ্রতিষ্ঠিত আশ্রয়) ঘটে, যখন অনুমান করা হচ্ছে যে, এমন বিষয়-সত্তা, ধারণা বা প্রস্তাবনা যথাযথ-জ্ঞান দ্বারা সঠিকভাবে এবং প্রকৃত অর্থে উপলব্ধ হয় না। এই ভ্রান্তিটি দেখা দেয়, যখন যুক্তিটি যার উপর সতর্কতার সাথে নির্মিত হয়, সেই ভিত্তি, আধার বা ভিত্তি (āśraya) নিজেই দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় না, বা তা বিভ্রমাত্মক বা ধারণাগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ (asat) বলে প্রমাণিত হয়।

যদি এই ধরনের একটি মৌলিক ত্রুটি বাদ দেওয়া হয়, তবে যৌক্তিক যুক্তির দৃঢ়তা সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়, কারণ "সমস্ত যুক্তি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে" এবং সম্পূর্ণরূপে যৌক্তিক শক্তি ছাড়া থাকবে। এই ব্যর্থতাটিকে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বলে মনে করা হয়, কারণ এটি বাস্তবতার প্রতি মৌলিক অধিবিদ্যক অঙ্গীকার লঙ্ঘন করে—যদি বিষয়টির অস্তিত্ব না থাকে, তবে অনুমিতির জগতে এর কোনো বাস্তব স্থান নেই। উদাহরণ স্বরূপ, "আকাশ-কুসুম সুগন্ধযুক্ত, কারণ এটি একটি ফুল"—এই যুক্তিটি আশ্রয়াসিদ্ধি-দোষ দ্বারা বাতিল হয়ে যায়, কারণ "আকাশ-কুসুম" (Pakṣa) একটি অনস্তিত্বশীল, বিভ্রমাত্মক সত্তা।

৭.২. গুণবাচকতার ব্যর্থতা—অপ্রসিদ্ধ-বিশেষণত্বম্ (Aprasiddha-viśeṣaṇatvam): এই ভ্রান্তিটি অনুমিতিতে প্রমাণ করার জন্য যে বস্তু বা গুণকে লক্ষ্য করে—অপ্রসিদ্ধ-বিশেষণত্বম্ (অপ্রতিষ্ঠিত গুণবাচকতা) দেখা দেয়, যদি প্রমাণ করার জন্য যে-গুণ (sadhyam), তা একটি বৈধ জ্ঞান লাভের মাধ্যম (pramāṇa) দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত না হয়। সাধ্য (Sādhya) হলো সেই উপসংহার বা গুণ, যা অনুমিতিকে প্রমাণ করার লক্ষ্য রাখে। যদি এই গুণটি নিজেই যাচাইকৃত না হয়, নির্ভরযোগ্য না হয় বা বৈধ উপায় দ্বারা বাতিল হয়, তবে অনুমিতি যৌক্তিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে না বা একটি সত্য সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, প্রমাণ করার চেষ্টা করা যে, "আগুন ঠান্ডা।"; সাধ্য (ঠান্ডা) এমন একটি গুণ, যা কোনো স্বীকৃত pramāṇa দ্বারা আগুনের জন্য প্রতিষ্ঠিত করা যায় না, ফলে অনুমানটি অসংগত হয়।

৭.৩. স্বরূপের ব্যর্থতা—স্বরূপাসিদ্ধি (Svarūpāsiddhi): এই ব্যর্থতাটি বিশেষভাবে অনুমিতির প্রমাণ বা সংযোগকারী পদটিকে লক্ষ্য করে। স্বরূপাসিদ্ধি (অপ্রতিষ্ঠিত স্বরূপ) ঘটে, যদি অনুমিতির কারণ (Hetu) pramāṇa দ্বারা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত না হয়। Hetu হলো সেই যৌক্তিক ভিত্তি বা মধ্যম পদ, যার উপর পুরো অনুমিতিটি নির্ভর করে। যদি Hetu নিজেই যাচাইকৃত না হয়, অনস্তিত্বশীল হয় বা ধারণাগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ হয়, তবে এটি অনুমিতির জন্য একটি বৈধ বা নির্ভরযোগ্য ভিত্তি হিসাবে কাজ করতে পারে না; অধিকন্তু, এর মধ্যে রয়েছে বিষয়ে কারণের উপস্থিতির ব্যর্থতাও (Pakṣa-sattva শর্ত)। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ যুক্তি দেয়, "পাহাড়ে আগুন আছে, কারণ তাতে ধোঁয়া আছে"; কিন্তু পরবর্তী পরীক্ষা প্রমাণ করে যে, পাহাড়ে কোনো ধোঁয়া নেই, তবে Hetu (ধোঁয়া) Pakṣa (পাহাড়)-এ অপ্রতিষ্ঠিত, যার ফলে স্বরূপাসিদ্ধি হয়।

এই ভ্রান্তিগুলির বিশ্লেষণ অনুমিতিগত ভাঙনের একটি শ্রেণিবিন্যাস প্রকাশ করে, যা বিষয়ের বাস্তবতাকে অন্য সব কিছুর উপরে অগ্রাধিকার দেয়। তিনটি আসিদ্ধি (Asiddhi) ভ্রান্তি, যা অনুমিতিতে নিয়মতান্ত্রিক ব্যর্থতার স্থান নির্দেশ করে, সেগুলিকে ব্যর্থ-হওয়া উপাদানগুলির উপর ভিত্তি করে সংক্ষিপ্ত করা যেতে পারে:

আশ্রয়াসিদ্ধি-দোষ (Āśrayāsiddhi-doṣa) (অপ্রতিষ্ঠিত আশ্রয়): এই ব্যর্থতাটি পক্ষ (Pakṣa) (বিষয়/অপ্রধান পদ)-কে লক্ষ্য করে। অন্তর্নিহিত ত্রুটিটি হলো আশ্রয়/বিষয়টির অস্তিত্ব না থাকা, বা সত্যটাই জানা না থাকা, যার ফলে অনুমিতির বাস্তব জগতে কোনো স্থান থাকে না; এটি মারাত্মক বলে বিবেচিত হয় এবং যুক্তিটিকে অপ্রাসঙ্গিক করে তোলে।

অপ্রসিদ্ধ-বিশেষণত্বম্ (Aprasiddha-viśeṣaṇatvam) (অপ্রতিষ্ঠিত গুণবাচকতা): এটি সাধ্য (Sādhya) (প্রোবান্ডাম/প্রধান পদ)-কে লক্ষ্য করে। ত্রুটিটি হলো, প্রমাণ করার জন্য যে-গুণটি, তা প্রমাণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হতে ব্যর্থ হয়, যার অর্থ হলো, যে-সিদ্ধান্তটি চাওয়া হয়েছে, তা অধিবিদ্যক বা জ্ঞানতাত্ত্বিকভাবে যাচাই করা হয়নি।

স্বরূপাসিদ্ধি (Svarūpāsiddhi) (অপ্রতিষ্ঠিত স্বরূপ): এটি হেতু (Hetu) (কারণ/মধ্যম পদ)-কে লক্ষ্য করে। ত্রুটিটি হলো, বিষয়ে কারণ (প্রমাণ)-এর অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে প্রমাণ এবং যুক্তির বিষয়ের মধ্যে সংযোগটি অনস্তিত্বশীল বা যাচাই করা হয়নি বলে বোঝায়।

ন্যায়-বৈশেষিক দর্শনের জটিল দার্শনিক কাঠামো সত্তাতাত্ত্বিক বাস্তববাদ এবং জ্ঞানতাত্ত্বিক কঠোরতার প্রতি দ্বৈত অঙ্গীকারের উপর নির্মিত। এই ব্যবস্থাটি কেবল কী বিদ্যমান (pramāṇa-এর মাধ্যমে), তা প্রতিষ্ঠা করার জন্যই নয়, বরং কী বিদ্যমান নয়—তা-ও নির্ভুলভাবে সংজ্ঞায়িত করার জন্য সুনির্দিষ্ট উপায় সরবরাহ করে। Atyantābhāvaḥ-এর ধারণাটি একটি স্থির অধিবিদ্যক সীমা হিসাবে কাজ করে, যা প্রতিযোগিত্ব (pratiyogitva)-এর অন্তর্নিহিত সম্পর্কীয় গুণের মাধ্যমে শাশ্বত অনস্তিত্বকে সংজ্ঞায়িত করে। সুতোর মধ্যে কাপড়ের অনুপস্থিতির কঠোর বিশ্লেষণ দেখায় যে, ন্যায় কীভাবে অস্তিত্বকে শর্তসাপেক্ষ এবং সত্তাতাত্ত্বিকভাবে সীমাবদ্ধ করার জন্য অনুপস্থিতির অত্যন্ত প্রযুক্তিগত সংজ্ঞা ব্যবহার করে।

জ্ঞানতত্ত্বের ক্ষেত্রে, যথার্থ-জ্ঞান-এর দাবিকে একটি অনুমিতির প্রতিটি পদের জন্য প্রমাণ প্রতিষ্ঠার কঠোর আনুগত্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করা হয়। তিনটি আসিদ্ধি ভ্রান্তি—Āśrayāsiddhi-doṣa, Aprasiddha-viśeṣaṇatvam, এবং Svarūpāsiddhi—অনুমানমূলক ব্যর্থতার একটি ব্যাপক শ্রেণিবিন্যাসকে উপস্থাপন করে। প্রমাণ (Hetu) বা সিদ্ধান্তের (Sādhya) উপর ভিত্তি (Pakṣa)-র সত্যতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে, ন্যায় এই যুক্তিটি প্রতিষ্ঠা করে যে, বিষয়ের অধিবিদ্যক বাস্তবতা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। একটি অনস্তিত্বশীল বিষয় পুরো প্রক্রিয়াটিকে অবৈধ করে তোলে, যা নিশ্চিত করে যে, যৌক্তিক সংগতিকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত সত্তাতাত্ত্বিক সত্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করতে হবে।