সবই কি বৃথা, না কি নয়?
কে জানে!
স্ব-সৃষ্ট, ছায়াহীন ছায়া—
“নেই আর কেউই”...কে জানে!
এই ছায়ার আছে
না কোনো সত্তা,
না কোনো আধার,
না কোনো জ্ঞান,
না কোনো অজ্ঞান।
তবু এই আধারহীন প্রতিধ্বনি ছাড়া
না হয় জ্ঞানের প্রকাশ,
না হয় অজ্ঞানের উদ্ভাস।
আমি
অর্থহীনের উৎস,
সকল অর্থের উৎস—
এবং, এদের উৎসহীনতাও!
যখন আমি বিলীন হই
আমারই ভিতহীন ভিত্তিতে,
আমার নিজের সেই অনুপস্থিতিতে
থাকে না কিছুই—
এবং, সেই কিছুহীনতাও।
আমার অনস্তিত্বে
না থাকে কেউ, যে অর্থের প্রতিষ্ঠা করে;
না থাকে কেউ, যে অর্থের বিলোপ করে।
অর্থ ও অর্থহীনতা—
এ সবই আমার শূন্যত্বের প্রক্ষেপণ,
আমারই অ-বস্তুর আরোপ—
এবং, নয় তা-ও।