বিস্ময়ে বাঁচা



কবে আমরা প্রথম WOW! হারালাম? হয়তো সভ্যতার দামে। কী ভয়ংকর অদলবদল—একটা লাল গুবরে পোকা শিশুর হাত বেয়ে ওঠার সময়ে হঠাৎ বিচ্ছুরিত শিশুসুলভ হাসি, বা কাদা-পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার আনন্দ—বদলে গেল মুখে আটকানো হাসি আর “মানিয়ে চলার” ভান-করা ভদ্রতার মধ্যে।

কখন শোবার সময় কপালে চুমু আর আলিঙ্গনের জায়গায় শুধু গুটিয়ে শোয়া হয়ে গেল নিয়ম? কখন আমরা “অন্যেরা কী ভাববে” দেবতার কাছে নিজেকে বলি দিতে শুরু করলাম? যদি এটাকেই বলে পরিণত হওয়া, তবে আমার দরকার নেই। আমার লাগবে একটা দুষ্টু লেডিবাগ (গুবরে পোকা) আর আমি এখনই র‌ওনা হচ্ছি কাদা-পানির দিকে।

সুখবর হলো—একটা সত্য আছে, যা আমাদের সব সামাজিক বাঁধন থেকে মুক্ত করে। যারা খুঁজে পায়, তারা সত্যিই ভাগ্যবান। আর যারা বলে “কিছু খুঁজে পাবার নেই,” হয়তো তারা কখনোই সমাজের চাপে দমে যায়নি। কিন্তু আমাদের জন্য সেই সত্যকে খুঁজে পাওয়া মানে এক মহামূল্যবান মুক্তো পাওয়া।

আসলে WOW! সবসময়ই আমাদের মনের বারান্দায় বসে থাকে—প্রজ্ঞা (Wisdom), আশাবাদ (Optimism), সুস্থতা (Wellness)। প্রতিটি শ্বাসে তারা নীরবে আমন্ত্রণ জানায়—ভয়ের আর সন্দেহের গর্জন থামাতে, আর আমাদের ফিরিয়ে নিতে জীবনের স্বাদে, Living @ WOW!

মাদার তেরেসা বলেছিলেন—“প্রার্থনা হলো ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলা, ধ্যান হলো ঈশ্বরের কথা শোনা।” কী সুন্দর!

কিন্তু ভয় আর সন্দেহের আঁধারে লুকিয়ে থাকলে ওই ক্ষীণ, সত্যভাষী কণ্ঠস্বর শোনা যায় না। শোনা যায় তবে কীভাবে?—সেই সামনের বারান্দায় বসে, দোলনায় হেলতে হেলতে, শ্বাসকে সহজ হতে দিয়ে।