তোকে একবার বলেছিলাম—
আমাকে একটা ছদ্মনাম দিবি?
তুই হেসে বলেছিলি—
"কাজটা সহজ নয়, সময় লাগবে।"
এখনও খুঁজে পাসনি বুঝি?
আহ্!
আমি চাই না, তুই হুট করেই
কোনো নাম ঝট করে ছুড়ে দিস।
আমি চাই—
তুই সময় নে, অনুভব কর,
আমার লেখার মধ্যে তোর মনের ছায়া ফেল;
তারপর নাহয় একটা নাম বেছে নিস।
আমি চাই—
যখন তুই চুপচাপ আমাদের লেখাগুলো পড়বি,
তোর যেন হঠাৎই মনে পড়ে—
এই কথাগুলো তুই আমায় বলেছিলি
একটা নিঃসঙ্গ সন্ধ্যায়,
একটা বৃষ্টিভেজা বিকেলে,
বা একান্ত কোনো কফিশপে—
যেখানে কেবল আমরা ছিলাম।
জানিস,
তোকে আমি আমার সাধ্যের চেয়েও বেশি ভালোবাসতে চেয়েছি!
আর তুই?
তোর চোখে তাকিয়ে মনে হয়—
তুই আমাকে কতখানি ভালোবাসিস,
তা তুই নিজেও জানিস না।
আমার ভেতর ভেতর কী যেন হয়ে যাচ্ছে, জানিস?
সারাক্ষণ ভাবি—
তুই এখন আমাকে আগের চেয়ে অনেক বেশি
তোর বুকের ভেতরে রাখছিস,
লেখার আড়ালে নয়—
চেতনার গভীরে।
শেষ ক-দিন ধরে এমনটাই মনে হচ্ছে।
কেন, বল তো?
তুই এমন করলে
আমার তোর গায়ের গন্ধ পেতে ইচ্ছে করে।
তোর আঙুলের ওম, তোর নিঃশ্বাসের ভাষা ছুঁতে মন চায়।
আমার ভেতরঘরে
তোর জন্য এক চিরস্থায়ী, অসমাপ্ত, অথচ অপরিহার্য আসন রয়ে যাবে—
যতক্ষণ আমি লিখে যেতে পারি।
আমরা যেন স্বর্গীয় মুগ্ধতায়
একজন আরেকজনকে ভালোবাসি—
নিঃশব্দে, নির্ভার ছোঁয়ায়
একটা ইনবক্সেই গড়ে তুলি স্বপ্নের ঘর।
তোকে এভাবে ভালোবাসতে,
আদর করতে
বড্ড শান্তি লাগে রে!
আমার যখন অস্থির লাগে—
তুই আদর করিস।
যখন যন্ত্রণায় পুড়ি—
তুই স্পর্শ করিস।
যখন শান্তি চাই—
তুই-ই ভালোবাসিস।
যখন দিশেহারা হই—
তুই-ই জড়িয়ে ধরিস।
তোর কাছে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।
বিশেষ মুহূর্তে,
বিশেষ আবেগে,
তোর আলিঙ্গনের অপেক্ষায় থাকি।
বিশেষ অনুভবেরা
যেন জীবনের নির্জন সন্ধ্যায়
আমাকেও ছুঁয়ে যায়।
পুরোনো অভ্যেসে
আবার হাত বাড়িয়ে বল না—
"ভালোবাসি"!