: যতই লিখি তোমার প্রলাপ, তার মাঝে শুধু আমিই রই। তোমাকে নিয়ে লেখা সেই কবিতায় তুমিও কি আমায় প্রথম ভালোবেসেছিলে? অনন্ত আগুনে পুড়ছে তোমার ছেড়ে-যাওয়া অনুভূতির প্রকাশ। তোমার শীতল-কণ্ঠের কুয়াশায় ভিজে যায় আমার চোখ, সুতীব্র উল্লাসে দেখি আমি তোমার প্রতিচ্ছবি। দগ্ধ ডায়েরির হাজারো পৃষ্ঠা আজও তোমার গুঞ্জনে মুখরিত।
তাকিয়ে আছি মৃত্যুর আলিঙ্গনে। দেখছি, বিবর্ণ আলোতে হাসছে সবই, তবু্ও ফিরে আসি আবার, নিভৃতে বুনি তোমার স্মৃতি। আমার বিবেক পোড়ে তোমারই স্মৃতির লাশের সুতীব্র ঘ্রাণে। তোমার শরীরের ছায়ায় থেকে যায় আমার অভিমানের বিনিদ্র রজনী, তবু কেন অমন দূরে পালাও আমার থেকে?
: আমি তোমার কাছেই আছি। যদি বলি, তোমার অনুভূতির তীব্র স্পর্শে বসবাস আমার?
: তোমার মনের এককোনায় রাখবে আমায়? পড়ে থাকতে দিয়ো ডাকবাক্সের ধুলো-জমতে-থাকা শেষ-চিঠির মতো। একসমুদ্র শব্দের উপকথা লিখতে চাই তোমায় ছুঁয়ে।
তোমাকে বলা হয়নি কখনও, একদিন খুব করে চেয়েছিলাম, তোমার বুকের গভীরের নদীর ঢেউ আছড়ে পড়ুক আমার চোখে তাকিয়ে। আমার অনুভূতির অভিধান ছিঁড়ে আমি তোমাকে নিয়ে লিখতে চাই জীবনের শ্রেষ্ঠ কথামালা।
: কাঁদছ কেন? তোমার স্থবিরতা আমাকে ভীষণ ভাবায়।
: তুমি আমাকে প্রত্যাশা থেকে সরে যেতে বলছ! তোমার স্পর্শ ছাড়া আমি কিছু লিখতে পারছি না, সম্ভব নয়!
: কী হয়েছে তোমার?
: যদি হঠাৎ তোমায় খুঁজে বেড়ায় এই মুহূর্তের সুরে জ্বলে-ওঠা বিবর্ণ শিখা—নির্জন রাস্তার জনমানবহীন শ্মশানে ছুটে-চলা আবেগ নিয়ে, তুমি বুঝি আমার ভালোবাসার ফিরতি পথে রক্তাক্ত-হওয়া আবেগের লোনাজলের তোয়াক্কা করবে না?
: করেছি প্রতিমুহূর্তে, তুমি এড়িয়ে গিয়েছ! নিজের সাথে কথা বলে দেখো, জানতে পারবে, আমার শান্তির সংগোপনে একমুহূর্তে বন্দি ছিল তোমার দীর্ঘশ্বাসের জমানো পাথর। আমি নিস্তব্ধ এ পথের সীমানায় তোমাকে খুঁজেছিলাম ঠিকই, তবে চাইতে পারিনি তোমার ভালোবাসা।
: আমি সেই পথিক নই, ভালোবাসার সুখ আমার জন্য নয়।