আমার ভেতরে যে কী অনুভূতি চলছে, সেটা আমি কীভাবে বোঝাই! আমি কিছুতেই কিছুই ব্যাখ্যা করতে পারছি না। ইচ্ছে করছে, কোনও জঙ্গলে গিয়ে একটু একা থাকি। আমার খুব কাছের কিছু মানুষ অসুস্থ, কিছু ভালো লাগছে না। তুমি ভালো থাকো, ভালো না থাকলেও ভালো থাকার অভিনয় করো, আর ভালো থাকলে সত্যিই ভালো থাকো। আমরা সবাই ভালো থাকি। এই যে আমি চুপ করে আছি, তুমি ভাবছ, আমি কথা বলছি না। কথা আমি ঠিকই বলছি, কিন্তু সেখানে শব্দ নেই। সব পরিস্থিতিতে শব্দরা কথা বলে না, কিছু সময় কথাদের শব্দহীন হয়ে যেতে হয়। একটা গল্প লিখবে আমার জন্য? দুটো হৃদয় এত পুড়ছে, এত অস্থিরতায় ভুগছে, দু-জন দু-জনকেই ঠিক বুঝতে পারছে, দু-জনকে ছাড়া দু-জনের সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে, সব থেমে যাচ্ছে, দু-জনেই পাগল হয়ে যাচ্ছে, অথচ কেউ কারও সঙ্গে কথা বলতে পারছে না, কাছে আসতে পারছে না... এর মধ্যে কী আছে? দ্বিধা, সংকোচ, ভয়, লজ্জা, ইগো, বাস্তবতা...না কি অন্য কিছু? এই গল্পের শেষ কোথায়? তুমি সত্যিই কি বোঝো না, আমি তোমাকে কেন লিখি! তুমি সবসময় আমার সঙ্গে এমনটাই করো! আমি আমার সমস্ত আবেগ নিয়ে যখন তোমার কাছে আসি, তুমি তখন এমন করে কথা বলো যেন তুমি অজানা কেউ! নিজেকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করি, আমি যা ভাবি, সেটা নিছকই আমার ভাবনা, তুমি অন্য কেউ, তুমি আমার রোদ্দুর নও। আমাদের স্বভাবে আকাশ-পাতাল তফাত; আমি তো অত্যন্ত আনস্মার্ট একটা মেয়ে, কী করে তোমাকে এমন ভাবি আমি! নিজেকে যতই গুছিয়ে নেবার চেষ্টা করি, কিন্তু কোথায় কে কলকাঠি নাড়ে জানি না, একটা সেকেন্ডের জন্যও রোদ্দুরকে না ভেবে থাকতে পারি না, ননস্টপ তার সঙ্গে কথা বলেই যাচ্ছি, তার সঙ্গেই থাকছি! আমার বিশ্বাস বলে, দু-জনের দু-জনকে ভীষণ প্রয়োজন! দু-জনেই বুঝি ঠিক ঠিক পাগল হয়ে যাব! আমরা রাগ আর অভিমানগুলো দেখাতে পারছি, কিন্তু ভালোবাসা আর অনুরাগ অদেখাই থেকে যাচ্ছে। এই ভালোবাসার পরিমাণ কতটা, সেটা শুধু আমাদের ঈশ্বর জানে! আমি নিরুপায় হয়ে ঈশ্বরকে বলেছি, হয় আমাদের দেখা করিয়ে দাও, নয় সব থামিয়ে দাও; আমি আর পারছি না। এবার তুমিই বলো, আমার এ ধারণাগুলো ঠিক, না ভুল? আর শোনো, তুমি একদিন বলেছ, আমি কষ্টের ফেরি করে বেড়াই। সেদিন সে কথার উত্তর দিইনি; আজ বলছি, আমি যতটা কষ্ট লুকিয়ে রাখতে জানি, ঈশ্বর ততটা কষ্ট সৃষ্টিও করেননি। আরও একটা কথা বলি, আজ আমি পুরো পৃথিবীর কাছে অভিমান করতে ভুলে গেছি, অথচ এক তোমার কাছেই আমার সমস্ত অভিমান!