: আয় না, তোকে আরও একবার ছুঁয়ে থাকি।
: তোর সময় জুড়ে রেখেছি আমাদের স্মৃতির হারিয়ে যাওয়া উপকথা।
: তোর কাছেই রাখা আছে থেমে-যাওয়া মুহূর্তগুলোর অগণিত আবেগ।
: নিখোঁজ সেই দিনের অশ্রুসিক্ত চোখ—আজও দেখেছি দরজার ওপারে।
: শত অভিমানের আড়ালেও তোকে রেখেছি যন্ত্রণার কোলাহলে।
: ভুলে যাব—কীভাবে ভাবছিস?
: তুই কখনোই কি ভুলে থাকতে পেরেছিস আমাকে?
: মনে রাখতে চেয়েছিলি কি কখনো?
: তুই আমার দৃষ্টির সীমানায় সেই যে একদিন এসেছিলি...
: আমি কি কোনো নিয়মে তোকে বাঁধতে পেরেছিলাম?
: না।
: তুই তো আমার সব নিয়মের বাইরে-রাখা এক মায়াবী অনুভব।
: তোকে ছাড়া কি আমার অশ্রুগুলো সব অতৃপ্ত?
: তোর শূন্যতায় কীসের আমার প্রাপ্তি?
: ভালোবাসা কি তবে শুধু অপ্রাপ্তির এক বেহিসেবি খড়কুটো?
: রঙিন মুহূর্তগুলোও বুঝি জানে—তোর স্পর্শ ছাড়া একাকিত্ব কতটা কষ্টের!
: তুই এসেছিস?
: আজ তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।
: জানতে মন চায়, তোর কণ্ঠে ভালোবাসার সেই তৃষ্ণা আজও কি আছে আমার জন্য?
: নিঃশব্দে সরে-যাওয়া অনুভূতির রেশ, আজও বলে যায় তোর কথা।
: নিশ্চুপ সে ক্ষণে থেমে গেছে আমাদের ভালোবাসা।
: ব্যর্থ কেন আমি—এতটা বলতে পারিস?
: এই অন্ধকারাচ্ছন্ন অনির্দিষ্ট সময়ে আমাকে কেন পেছন থেকে ডেকেছিলি তুই, বলতে পারিস?
: তোকেই তো আমার খুব আপন লাগে।
: প্রত্যাশার দেয়াল ভেঙে তুই-ই প্রথম আমার কাছে এসেছিলি।
: যদি কোনোদিন ভুলে যেতে চাস—স্মৃতির বাতাসে মিশিয়ে দিস আমায়।
: ভুলে যাস সেই ঠিকানাও, যেখানে তোর নামে পুড়ে-যাওয়া আমার শত ভুলের অনুশোচনা রাখা আছে।
: বড্ড বেখেয়ালি অবহেলায় তছনছ এই বুকের ভেতরটা; কে কবে রেখেছে তার খোঁজ?
: তুই-ই তো এসেছিলি সেই অগোছালো স্বপ্নের বুননে নিজেকে আটকে রাখতে।
: কী করে ভুলি তোকে?
: ফিরে দেখ, অচেনা সময়ের ব্যবধান কীভাবে কমিয়ে এনেছে আমাদের দূরত্ব।
: সত্যিই কি তবে আমরা কাছাকাছি থাকতে পারব?
: তোকেই তো জড়িয়ে রাখতে চাই—এই অস্থিরতায় ব্যাকুল হয়ে আমার দীর্ঘশ্বাসে।
: তোকে আমি কতটা ভালোবাসি—তা তো আমার নিজের কাছেই অপ্রকাশিত।
: জীবনের অপূর্ণতাতেই ভালোবাসা সবচেয়ে গভীর!
: একাকিত্বের সময়েও কারও স্মৃতি বয়ে বেড়ানো—সে তো ভালোবাসাই।
: তোকে নিয়ে এক কল্পনাবন্দি মুহূর্তের আদরে হারিয়ে যেতে চাই অনন্তকাল...
: রাখবি তোর বুকের মাঝে আমায়?
: আর যদি বলি—এই কল্পনাবন্দি মুহূর্তের পুরোটা জুড়েই তুই শুধুই আমার...
: তবে...?