তুমি সারাক্ষণই চুপ…কিন্তু, কেন?
আমি বুঝি খুব যন্ত্রণা দিই?
অমন হলে বকে দাও না কেন?
আচ্ছা, আমার তোমারই সাথে এত হাজারো কথা জমানো কেন?
অন্য কেউ এলেও তাকে দেখি না কেন একটু করেও?
তুমি কীসের টানে আমায় টানো এমন করে?
আমিও কেমন ছুটতে থাকি…পাগল হয়ে…
ঠিক যেন আত্মঘাতী!
কথা কিছু এগোতে থাকে,
তার পর আবার চুপ হয়ে যাও আগেরই মতো!
সেই নীরবতার কুঠুরিতে সত্যিই দম আটকে আসে…
আমি তো তোমার কোনও ক্ষতি করিনি!
আর তুমি তো আমার প্রিয় মানুষ,
অপ্রিয় যে, ক্ষতি তো আমি করিনি তারও!
তা হলে বলো, আমার ভাগ্যে এত কষ্ট কেন?
…তুমি আবারও চুপ? এই ছেলেটা! এত চুপচাপ থেকো না তো!
ভাগ্য ভালো, তুমি আমার বর নও!
নইলে তোমার এমন নীরবতা আমায় শেষ করত সেই কবেই কখন!
ঠিক আছে, এমনি করেই ভালো থেকো, প্রিয় চুম্বক আমার!
আমায় কেন অত বারণ কর?
এটা কোরো না, ওটা কোরো না,
কেন এমন বল?
যা করতে বারণ কর, তা করব আরও হাজারটাবার!
কী করবে তুমি?
আমায় খেয়ে ফেলবে?
খেতে এসো…তখন নাহয় ভেবে দেখব।
তুমিও খাবে…খেয়েই ফেলবে?
হাসালে বাবা! শুনেছ কখনও
কোনও হরিণ এসে বাঘিনীকে পেটের মধ্যে পোরে?
আহা বেচারা, আদুরে আমার হরিণছানা!