অজানা রহস্যপথে সীমা হতে অসীমের ধাপে, অব্যক্ত এষণা করে ক্ষুদ্রকায় কণা নিয়ে বাইরে ও ঘরে, চিরদিন খেলা সব বহুরূপে, আনন্দের সাথে।
এ সংসারে সত্য যা, তার নাম দুঃখ বলে জানি, মায়াচ্ছন্ন মনোভূমে চৈত্যমাঝে চলে নিত্যলীলা সারাহৃদয়ে…
প্রাণময় কামনায় ঘুরছি কেন তবে পাগলের মতো? এ মন ব্রহ্মে হবে কবে সমাহিত!— ভাবরসে স্তব্ধ হবে বাণী?
আত্মার প্রকাশে ক্রমিক প্রগতি, নব নব অভিজ্ঞতা, ব্যষ্টিসত্তা হচ্ছে উদিত জনম-আবর্তনে।
জীবন-বাসনাবীজ ছড়িয়েছি যুগে যুগে…আশার স্পন্দনে, বিচিত্র ফসল নিয়ে আজ জানাব প্রণতি কার পায়ে?
আত্মচৈতন্যের পরাজ্ঞানে ভূমা ক্ষণে ক্ষণে দেয় দোলা, অতীন্দ্রিয়ে পরিশেষে অনন্তের গূঢ় অভিপ্রায়ে— দূরের বাঁশি যেন ওঠে বেজে হৃদয়প্রচ্ছায়ে। না-দেখা আলো ঘুরে, ঝরে হাজারো রশ্মি হয়ে, ওরা করে কেন আমায় আত্মভোলা?