স্মৃতির বিস্তৃতি জুড়ে



মনের সাথে দীর্ঘ এক বোঝাপড়ার শেষে,
সে আমায় প্রশ্ন করে বসল—
তোমার কাছে আমার প্রয়োজনীয়তা কতখানি?

প্রত্যুত্তরে আমার অজানা ভঙ্গিমায় পাশ-কাটানো প্রস্থানের দৃশ্যে—
ভেতর ঘরের মানুষটা কেমন উঁকি দিয়ে উঠল!
আচমকা স্পষ্ট হলো—
আমার হৃদয়ে তোমার স্থায়িত্বের সুদৃঢ় রূপটি।
বস্তুত, আমি কখনোই তোমার সমীপস্থ ছিলাম না—
কেবল তুমিই ছিলে আমার ভেতরটা জুড়ে।

মন চাইছে তোমায় ছুঁতে,
ভালোবাসা পেতে—
মনটাকে শান্ত করলাম;
বোঝালাম, তোমায় ছেড়ে যেতে আমাকে হবেই।

ঠিক ওই মুহূর্তে ভেতরের মানুষটা
অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে;
ওদিকে দৃষ্টি দিতেই—
আমার চোখ অন্ধ হয়ে গেল।

অসমাপ্ত স্বীকারোক্তি কানে ভাসছে—
যেন এক জাগ্রত আত্মচৈতন্যের চিৎকার,
যাতে রাখা তোমারই উচ্ছ্বাস।

স্মৃতির বিস্তৃতি জুড়ে সম্মোহিত—
তোমার দৃষ্টির পক্ষপাত,
এ থেকে আমার নেই পরিত্রাণ।