ভীষণ যন্ত্রণা সয়ে সয়েও নিজেকে আমি সুন্দর শাড়ির ভাঁজে লুকিয়েছি।
চোখে কাজল দেবার আগ অবধি ওই চোখজোড়া কতটা জল ফেলেছে, সে খবরটা আমি কাউকে জানতে দিইনি।
আমি সবটা সত্য জেনেও শেষ অবধি কোনও সাক্ষ্য দিইনি।
আমি আধপেটা খেয়ে পরীক্ষা দিতে গেছি, কাউকে কখনও অভিযোগ করিনি।
আমার প্রেমিক আমাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে অপেক্ষায় রেখে দিত, কখনও অভিমানটুকুও করিনি।
আমার বাড়ির ছিদ্র-হওয়া টিনের চাল চুঁয়ে চুঁয়ে পানি পড়ল আজীবন, কখনও অভিযোগ করিনি।
আমার ভীষণ দরকারের সময় প্রিয় বন্ধুটা ফোন ধরেনি।
আমার একটা ভালো শাড়ি ছিল না বিধায় বড়োলোক আত্মীয়ের বিয়েতে যাবার সাহস করিনি।
আমি ক্ষুধা নিয়ে অপেক্ষা করে গেছি, তবুও মায়ের কাছে একথালও ভাত চাইনি।
আমার সুখের সময় খিলখিলিয়ে হাসতে গেলেও এমন কাউকে খুঁজে পাইনি, যে আমার হাসিতে তাল মেলাবে।
আমি চাইতে পারি না, মুখ ফুটে বলতে পারি না, অভিমান, অভিযোগ করতে পারি না।
সবাই তো আর সব পারে না!
আমি পাখি হয়ে উড়ে যেতে চাই কোথাও। এই মনুষ্যজীবন বয়ে বেড়াতে বেড়াতে আজ আমি ক্লান্ত।