– আপনার অলপক অন্তর্দৃষ্টি প্রত্যাহার করে দিতে প্রস্তুত আমার বিমোহিত চিত্তকে।
বিশেষ এ স্বরূপ অন্বেষণে আপনার অন্তরাত্মা সদাজাগ্রত থেকেছে—
তা প্রতিহত করার সাধ্য নেই স্বয়ং আমার 'কষ্ট' নামক বিশেষায়িত অনুভূতিরও।
অনন্তকালের সন্নিকটে এই কক্ষের বিস্তৃতি—
যা কেবলই আমার চিন্তনের উদ্বেগকে করেছে বিস্ফারিত।
আপনার সম্যক উৎকণ্ঠা এই কক্ষে প্রকাশিত হতে চলেছে ক্ষণিকের ইতিবৃত্তে,
যা ত্যাগে নয়, সম্ভোগেই মহীয়ান স্বর্গসুখ।
মহাকালের অপক্ষপাতে টিকে থাকবে
আপনার এই প্রজ্জ্বলিত অনুভূতির সর্বশ্রেষ্ঠ স্বত্বত্যাগ।
আপনার পূর্ণব্যাপ্ত ঐশ্বরিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত—
আমার অন্তরাত্মার অপ্রাপ্তির নিঃশব্দ এক সংবেদন।
– বুদ্ধি হতে অভিন্ন এবং সর্বপ্রাণস্বরূপে পরিতুষ্ট অন্তিম অবিনাশী এই মহা-আত্মস্বরূপের দর্শন—
সে-ই কেবল সমৃদ্ধ করেছে আপনার প্রণয়ের বিশেষায়িত অনুভূতিকে।
সর্বত সর্বসাক্ষী আত্মায় নিজের স্বরূপভূত প্রকাশ্যের উপলব্ধি-বলেই প্রতীত হন আপনি।
এই কক্ষের ঐশ্বরিক স্বরূপের অধিষ্ঠিত রূপ—
শুধু আপনারই সম্মুখে সম্পূর্ণভাবে দৃশ্যমান হতে চলেছে।
– উপাসনার এই প্রহরে আপনার অন্তর্দৃষ্টি হয়েছে প্রখর।
হে অতীন্দ্রিয়, সূক্ষ্ম, অব্যক্ত, অচিন্ত্য সৌভাগ্যের আধার!
আপনার স্বতন্ত্র অভিব্যক্তির দরুন এই কক্ষে আমার বিশেষায়িত অনুভূতি 'ভালোবাসা'—
যা প্রতিহত করতে পেরেছে মহাপ্রলয়ের তীক্ষ্ণ ক্ষণকেও।
এই হৃদয়-পদ্মাকাশের সমীপে উপস্থিত হয়ে
আপনার মহিমান্বিত চিত্ত বিশেষভাবে অবগত হয়েছে নিজের অন্তরাত্মার এই বিশেষ প্রকোষ্ঠের স্বরূপ বিশ্লেষণে।
এই অভিসন্ধি সুবিদিত হলে,
এই সমস্তই কি বিজ্ঞাত হয়?
অতঃপর?