: আসুন, আপনাকে আমার অশ্রুর ব্যাকুলতা পড়তে শেখাই।
আপনার মনের গভীরটা ছুঁয়ে যেতে
নিজেকে চিনতে বহুসময় লেগেছিল একাকিত্বে।
আজ তবে আপনার অনুভবে নিজেকে কিছুক্ষণ বাঁচতে শেখাই।
: এতটা খুঁজেছেন আমায়?
: আপনি যতটা যন্ত্রণায় পুড়ে অবশেষে
যৎসামান্য ফিরে এসেছেন,
তাতে, আমার দীর্ঘশ্বাসের উন্মত্ত, পুঞ্জীভূত অন্ধকারেই তো আপনার বসবাস।
: আমরা তো কখনও বিচ্ছিন্ন হতে চাইনি!
এক অদ্ভুত যোগসূত্রে আমরা আবদ্ধ হয়েছিলাম,
তবে সংশয় কীসে?
: বাস্তবতার রঙ্গমঞ্চে আমরা আজ বিচ্ছিন্ন হতে চলেছি—
এ কারণ নিশ্চয়ই এই মুহূর্তে আপনার অজানা নয়?
: কিছুই যে কার্যকারণ ছাড়া ঘটে না,
সে বাস্তবতায় তো আমরা নেই আর।
গভীরভাবে ছুঁয়ে দেখুন আমায়।
কী অনুভব করছেন?
: অনতিবিলম্বে আপনার স্বজ্ঞার নিরপেক্ষ দাবি গ্রহণ করুন।
নির্দ্বিধায়, আমিই আপনার অনুচিন্তার একমাত্র প্রতিভূ।
আপনার হৃদয়ের ক্ষতের বিলোপে
আমার স্পর্শ হয়ে উঠেছে অনিবার্য।
: আপনার আকস্মিক উপলব্ধিতে
আমার নিয়তি আজ বিলাপে প্রমত্ত।
আপনার দূরদৃষ্টি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
যে-পথে আমাদের অনুভূতি নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল—
সে পথেই আবার হাঁটতে চাইছেন আপনি?
: নিশ্চয়ই!
এই পথ যে শুধুই আমাদের,
তা অন্য কারও জানার কথা নয়।
: যে-উপত্যকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য এখনও আপনার দৃষ্টিগোচর হয়নি,
তার তীক্ষ্ণতায় সংশয়াপন্ন হব কী উপায়ে?