আচ্ছা প্রিয়, তোমার বাড়ি কষ্টগাড়ি এখন বুঝি আর আসে না?
আমার মতোই কষ্টে কাঁদো যখন তোমার সকল প্রিয় দূরকে ডাকে আপন ভেবে?
উদাস চোখে তোমায় দেখে
মনের হেলায় তোমায় বাঁধে
সুখ খেলে যায় তোমার দুঃখে--
এমন হলে বাঁচতে কীসে?
তাদের কাছে কেমন তুমি? আমার মতোন? তুচ্ছ এমন?
তোমার মনের হাজার ডাকে ভুল করেও দেয় না সাড়া?
তোমার দারুণ যন্ত্রণাতে তারাও যখন ভীষণ হাসে অবুঝ বোধে, কেমন লাগে?
পৃথিবীটা ধরলে চেপে, চারপাশটায় আঁধার নামে?
নিঃশ্বাসটুকু আটকে গেলে বাঁচতে ভীষণ ইচ্ছে করে?
তুমিও কি রাস্তা ভুলে ভুল রাস্তায় হাঁটতে থাকো?
রোজ বিকেলে আকাশ চিড়ে আকাশ খোঁজো? আকাশ ফুঁড়ে আকাশ বোঝো?
অস্থিরতায় দিন কেটে যায়? সেকেন্ড ফুরোয় বেহিসেবে? গুনতে থাকো বাঁচছো কতো?
আনন্দ সব রঙটা হারায় দুঃখ ডেকে?
বন্ধু হয়ে হাতটা বাড়ায় কষ্ট এসে?
তুমিও কি কান্না গেলো? রক্তে মেশে যন্ত্রণারা?
শরীর পুরো নীল হয়ে যায় এক পলকেই?
বুকের মাঝে কষ্টনদী রাত জেগে রয়?
কষ্ট বেড়ে পাহাড় হয়ে ঝর্ণা ঝরায়?
স্মৃতির রাশি নতুন তেজে কষ্ট জাগায়?
জ্ঞান হারালে যখনতখন, কে ডেকে দেয়?
ভালোবাসার শব্দগুলো কাগজ খুঁজে মুখ গুঁজে দেয়--দাও পুড়িয়ে?
বুকের মধ্যে আগুন জ্বলে? ছাই হয়ে যায় অনুভবের উষ্ণ চাদর?
রাতের পরে রাত কেটে যায়...ঘুম আসে না?
চোখ কাঁদে না মন কেঁদে যায় অভিমানে?
ইচ্ছে কি হয়, ‘নেই’ হয়ে যাই হঠাৎ করে?
সকালসাঁঝে ঘোরের মাঝে ডাকো কাছে সব প্রিয়কে?
এমন কি হয়, কেউ আসে না মিথ্যে করেও?
তোমার প্রিয় আসলে কাছে মনের ভুলে, দাও ফিরিয়ে?
ছুটতেথাকা বাস থামিয়ে চড়তে থাকো?
কাতর চোখে ক্লান্তি ভুলে রাস্তা খোঁজো?
ভালোবাসার কঠিন ফাঁদে এমনি বোধহয় জীবন কাঁদে।
স্বার্থ যতোই দূরে সরাই,
ভালোবাসা হায় ততোই পোড়ায়!