শুরুতেই কী বলে সম্বোধন করব, বুঝতে পারছি না! আপনার সব লেখা হঠাৎ করেই পড়ে ফেলার ইচ্ছা হয়, কিন্তু শেষ করতে চাই না—ইচ্ছাকৃতভাবেই! কেন জানি না, আপনার লেখার শব্দগুলো ছুঁয়ে থাকার লোভ হয়। আপনার লেখা আমাকে এক অচেনা সময়ে ভীষণ শক্তি দিয়েছে, কিন্তু কখনও আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর চেষ্টা করিনি।
"যে আপনাকে ভালো রেখেছে, সেই অনুভূতিই সজোরে বলে যায় লেখাগুলোর অনুরণন।"
"আপনার হৃদয়ের কথা থেমেছিল যতটা এই কীবোর্ডের স্পন্দনে, আপনার অস্তিত্বের জানান দিয়েছিল কত শত লেখার ঝড়—তার অনুভব নিশ্চয়ই আপনার কাছে অসামান্য?"
হা হা হা, না, আমি যেমনটা ভেবেছি, ঠিক তেমনটা নয়! আপনাকে ছুঁয়ে জেনেছি—এটি শুধুই একজন লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি নয়, বরং এতে মিশে আছে আপনার সুদৃঢ় অস্তিত্বের ভাবনার প্রবল স্রোত। তা উপেক্ষা করার উপায় একেবারেই নেই।
আপনার সঙ্গে এ পথে হাঁটার দুঃসাহস আমার কখনোই ছিল না, আজও নেই। আপেক্ষিক ভালো থাকায় নিজেকে বেঁধে রাখতে পারেননি বুঝি আপনিও!
কাঁদছি কেন? আমার অশ্রুর বেহিসেবী কণা যে কখনও আপনার দৃষ্টিসীমায় পৌঁছোয় না।
জানেন, "আজ শুধু পাতাজুড়ে লিখেছি—তোমাকে খুব বেশি ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে! নিজেকে সামলে নিতেও আজকাল বড্ড ক্লান্ত লাগে।"
আপনাকে ছুঁয়ে দেখার দুঃসাহস আমার নেই, প্রিয় মানুষের খুব কাছে যেতে না পারার আফসোসও নেই। আপনি সম্ভবত আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ।
"প্রিয় মানুষকে দূর থেকেই ভালোবাসা যায়, খুব কাছে থেকে ভালোবাসার সৌভাগ্য হয়তো সবার হয় না।"
আপনাকে ছুঁয়ে দেখার সাধ্য আমার কখনোই ছিল না। "আপনাকে ভীষণ সাহস করে যে-দিন ডাকবাক্সে পাঠিয়েছিলাম একটা শব্দের সেই সম্বোধন, তখন কি বুঝেছিলাম যে আপনাকে ভাবনায় আনতে না পারলে শ্বাস নেওয়াটাই এতটা কষ্টের হয়ে উঠবে?"
সেই ফোনালাপের স্মৃতি, প্রত্যুত্তরে আপনাকে স্পর্শ করতে পারার অনুমতি, বিচ্ছেদের এই শহরে আপনার চোখে থেকে যাওয়ার আকুলতা—এসবের মাঝে প্রথম বার খুঁজে পেয়েছিলাম অপেক্ষার সমাপ্তি।
ভালোবাসো?
অপ্রত্যাশিত ভালোবাসার আলিঙ্গনে হার মেনেছিলাম আমিও। এই মুহূর্ত পর্যন্ত তোমাকে কতটা ভালোবাসি, তা আমার নিজের কাছেই অজানা।
'তুমি' বলে ডাকতে বলেছিলে, কাছে আসতে চেয়েছিলে, পারিনি বোধ হয় সেভাবে! তোমার চোখে তাকিয়ে এক অদ্ভুত প্রশান্তি অনুভব করেছিলাম। কেন, জানা নেই!
বিশ্বাস করো, এই মুহূর্তে, হ্যাঁ—ঠিক এই মুহূর্তের অনুভূতি ঘিরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এই মানুষটাই আমার জন্য সঠিক। তোমাকে এই জীবনে কখনও ভুলে থাকতে পারব না, আমি চাইও না।
তোমার পায়ের কাছে বসে থাকতে দেবে আমায়?
তোমার বুকের গভীরের সে জায়গাটা আমার জন্য নয়, সে যোগ্যতাও আমার নেই।
অপ্রস্তুত এক পথে থেমে যেতে হয়েছে আমাকে, তবুও তোমার হাতটা শক্ত করে ধরে আছি। মন চাইছে, জীবনের শেষ অবধি তোমাকে বুকের মধ্যে খুব যত্নে বেঁধে ফেলি।
এমন করে তাকিয়ে কী বলতে চাও, তা-ও আমার অজানা নয়।
"জানো, তোমাকে ছুঁয়ে এক অনন্ত ভালোবাসার পিপাসায় মগ্ন হয় মন, শরীর, সবটা জুড়ে কেবল তুমিই অবস্থান করো।"
"তোমাকে জড়িয়ে ধরার মুহূর্তে যখন বন্ধুর মতো কাছে ডেকেছিলে, মনে আছে?"
বলেছিলে, সবাই ভালোবাসলেও, সম্পর্কে থাকলেও বন্ধু হতে পারে না।
আমাকে 'তুই' বলে ডাকার উচ্ছ্বাসময় ভিড়ে তোমার বুকের গভীরে টেনে নেওয়াই বলে দিয়েছিল—সে মুহূর্তটা ছিল শুধুই আমাদের!
জানিস, আজ ভেবেছি, শুধু লিখেই যাব। যদি এই সময়টা পার হয়ে গেলে আর লিখতে না পারি, থামব না!
তোর দৃষ্টির প্রাখর্যে আমি অনুতপ্ত।
তুই ভালো থাকিস, আমার যেতে হবে!
চলে এসেছিলাম ঠিকই, তবে এবার বুঝলাম—আমার আত্মায় তোর অস্তিত্ব লেখা।
ভীষণ বেদনার রঙেও আমার বুকের ভেতরটা জুড়ে এখন শুধু তুই।
"বুঝতে পারলাম, ভালোবাসা মুহূর্তে বাঁচে, অনুভবে বাঁচে।"
শোন, অনুভূতির খেয়ালে আজও তুই শুধুই আমার।