সান্ধ্যাভিসার



: চোখ বন্ধ করে আছ কেন?
: তোমায় নিয়ে একটা সুন্দর স্বপ্নের ঘোরে আছি, তিথি।
: আজ খুব ভালোবাসতে পারবে আমায়?
: এসো।
: পারবে আমার শরীরে জুড়ে থেকে সব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে?

: তোমাকে কতদিন পর স্পর্শ করলাম, তিথি!
: সেদিনের পর থেকে শুধুই ভেবেছি, আমাদের হয়তো আর কখনও কথা হবে না; তোমায় পাওয়া না-পাওয়ার দ্বিধায় কত রাত যে নিদ্রাহীন কেটে গেছে, বুঝতেই পারিনি।
: তোমায় ভুলে থাকতে চাইনি, তিথি।
: আহ্, আমাকে তোমার ভীষণ কাছে নেবে, নীড়? তোমাকে খুব কাছে রাখতে ইচ্ছে করছে, কী করে বোঝাব তোমায়? খুব অসহায় লাগছে, অতটা বোঝাতে ব্যর্থ আমি।
: আমি আছি তোমার বুকের মধ্যে, শান্ত হও।
: নাহ্, শান্ত হতে পারছি না, আমার তোমার ভালোবাসা লাগবে, নীড়; শুধু তোমাকেই লাগবে এই প্রহর জুড়ে, আমার সবটা জুড়ে।

: এসো, ভালোবাসার শুদ্ধতম অনুভূতিতে আবদ্ধ করি নিজেদের।
: তোমার ঠোঁটের উষ্ণতায় আমার ঠোঁট ছোঁয়াও; তোমার নিঃশ্বাস আমার শরীর স্পর্শ করেছে গভীরভাবে; আমি তোমাকে ছেড়ে কখনও যেতে পারব না, নীড়।
: ইস্, এমন পাগলামি করছ কেন, তিথি! তোমার আলিঙ্গন, আর আমার বুকের লোমকূপে তোমার দীর্ঘশ্বাস আমার ভেতরটা তোলপাড় করে দিয়েছে, তিথি।
: আমাকে খুব বেশি ভালোবাস, নীড়, আজ শুধুই তোমার ভালোবাসা দাও আমায়।
: আহ্, তিথি! অস্থিরতায় শেষ করে ফেলেছ নিজেকে। আমি তোমার মধ্যে মিশে গিয়েছি, অনুভব করতে পারছ?
: চুপ! কথা বোলো না; আমি তোমাকে ভীষণভাবে অনুভব করতে পারছি।

: কখন ঘুম ভেঙেছে তোমার?
: আমায় এত ভালোবাসো কেন, তিথি?
: তোমার খুব কাছে যেতে পারি না বলেই হয়তো, তোমাকে খুব প্রবলভাবে ভালোবাসতে পারার ক্ষমতা ঈশ্বর আমাকে দিয়ে দিয়েছেন।
: জানো, তিথি, তোমাকে ছুঁয়ে থাকতেই ভীষণ অন্যরকম এক অনুভূতি আমাকে ঘিরে ফেলে প্রতিবার।
: তুমি যে কখনও আমার শরীর ছুঁয়ে দেখোনি, নীড়; সবসময় আমার আত্মাকে ছুঁয়েছ। তুমি চিরহরিৎ।
: যে-রঙে পৃথিবী রঙিন, তা তোমার কাছে শুধুই বিবর্ণ কেন, তিথি?
: দরজার ওপারে দাঁড়ালে সবই আঁধার, সবই কালো; মুছে দাও আকাশের নীল, চাঁদের আলো নিভে গেলেও প্রসারিত থাকবে ভালোবাসা।
Content Protection by DMCA.com