উড়ি গো, উড়ি! পাখিকে উড়তেই যে হয়! যে পাখি ওড়ে না, বলো তো শুনি, সে পাখিটা ঠিক পাখি কী করে হয়? ভালোবাসায়, যা থাকে প্রতিশ্রুতি, তা থাকতেই কি হয়? ওতে কিছু হারিয়ে যায়ও যদি, তা জানতেই কি হয়? হারায়নি আজও কিছুই! ভালোবাসায় হারালো আবার কবেই-বা কী? আমার গাছটা আমারই তো আছে,--- ওটা যে আমারই ছিল, থাকবে অমনই, সে বাধ্যতাও আছে! কেড়ে নেবে তা, অত ক্ষমতা সাহস শক্তি সাধ্য রাখেই কে-বা! অনেক কিছুই হয় গো আসলে! তবু নকলটা আর নিই না বুঝে, আসলটাই কেবল আদায় করি...সুদে আসলে! আমার গান যদি সত্যি পোড়ায়, তবে তোমায় নাহয় এবার দেখাব নাচটা করে! পুড়ে পুড়েও ভালোবেসে যায় কী করে, এবার শেখাব সেটাই হাতে কলমে! স্মৃতি যা আছে, তা দেখতে না পেলেও, জানি, অনুভবটা ঠিকই করো, তবু কথার অত কাটাকুটি যে করো বৃথাই, আদরটা করেছ কখন একটুখানিও? কাঁদলে তুমি, ভিজে যায় তো চোখ আমারই! তাই ভয় পেয়ে যাই, কবে দেখে ফেলে কে, লুকিয়ে আছে কোথায় যে সে! সব রাতই নামে তোমার আমার দুজনের হয়ে। এত কীসের পরখ? সত্যটা তো জানিই আমি! তবে চলো, দুজনে করি আবার পুজো, নাহয় একাকিত্বেই বেঁচে থেকে যাই! এবার তবে হেঁটেই দেখি, শুনেই আসি মধ্যরাতের ঢং ঢং-আ ঢং, নীরবতার আওয়াজ কিংবা কিছু গুঞ্জন!