: একটা কথা বলব। রাখবে?
: হুম, বলো!
: তুমি আমায় তোমার ভেতরে বাড়তে দিয়ো। আজকের সকালটা তোমাকে দিয়ে শুরু হবে ভাবিনি; মানুষ যা ভাবতে পারে না, তা হুট করে পেয়ে যাবার অনুভূতিটা নিখুঁতভাবে আমি তোমাকে বোঝাতে পারব না। তুমি কখনও বুঝতে চেয়ো না, আমি তোমায় কতখানি ভালোবাসি!
: জানি আমি!
: তোমার জন্য আমার অনুভূতিগুলো ঠিক প্রথম দিনের মতোই আছে, জানো! কক্ষনো পুরোনো হবে না আমার কাছে—তোমার চোখ, তোমার আদরমাখা কণ্ঠে অপ্রকাশিত আক্ষেপ, আর তুমি। এই তিনটা জিনিস আমার বুকের ভেতরটা একদম তোলপাড় করে দেয়। জানো, আজ খুব মনে হচ্ছিল, তোমায় যদি আর কখনও জড়িয়ে ধরার সৌভাগ্য না হয় আমার, আবার যেতে চাই সেই বিশাল উচ্চতায়, যেখানে দিয়েছিলে তুমি আমায় শেষ স্থান।
আমার শরীরজুড়ে যে-যন্ত্রণা, ও নিয়ে আমি ভাবছি না। পারলে আমার মনটাকে আরও একবার সারিয়ে দাও তো দেখি! তুমি ছাড়া এ ভার আমি আর কাকে দেবো, বলো! যদি তুমি চাও, একরাশ অবসাদ মনের আকাশে মেঘ করে প্রতিবার।
তোমার কণ্ঠস্বর ভীষণ সুন্দর, এ কথাটা হয়তো তোমাকে প্রায় অনেকেই বলেছে। তুমি জানতে চেয়েছিলে, তোমার সাথে কথা বলার সময় আমার কেমন অনুভব হয়! আজ যখন তোমাকে ছুঁয়ে ছিলাম—হয়তো আমাদের মাঝে হাজার মাইলের দূরত্ব ছিল, কিন্তু মুঠোফোনের ওপারে-থাকা মানুষটার মনের ভীষণ কাছে ছিলাম আমি—ওই মুহূর্তে আমাদের মাঝে একটুখানিও ব্যবধানও ছিল না, তোমার নিঃশ্বাস আমাকে বুঝিয়ে দেয়, তুমি আমার কতটা কাছের।
তোমার কণ্ঠস্বরে প্রেম আসে, কবিতা আসে। তুমি এক চিরহরিৎ গাছের পাতা, তোমার অপেক্ষায় তো এই জীবনটা অনায়াসে কাটিয়ে দেওয়া যায় একদম কিচ্ছু না ভেবেই। আমি প্রথম দিকে ভাবতাম, তোমার স্পর্শ ছাড়া আমি হয়তো আর লিখে যেতে পারব না; আমার কবিতায় যে কেবল তুমি ই থাকতে পারো, আমার মনে যে কেবল তুমিই অবস্থান করো, আমার সবটাই আমি তোমাকে দিতে চেয়েছিলাম ঠিকই—তুমি তো জানো, আমার সামর্থ্য কম।
যদি তুমি চাও, একদম শুনশান মনের মাঝে ভর করে কবিতা; তুমি নও সেই দম্ভের পাহাড়, যা পেরিয়ে তোমার আবেগে পৌঁছতে পারবে না আমার কবিতা। তুমি আমায় এমনভাবে ছুঁয়েছিলে, তোমার স্পর্শ পেতেই আমার মনটা বড়ো শান্ত হয়ে যায়। কথা বলছ না যে?
: তোমাকে শুনছি!! তুমি কি জানো, আমি তোমার জন্য অপেক্ষায় থাকি? জানো না বোধ হয়!
: এভাবে বোলো না, প্লিজ! নিজেকে ভীষণ অপরাধী লাগে। আনমনে বসে দিন গুনি প্রতিক্ষণে, যত খুঁজেছিলে তুমি আমায় শেষ বার!