ভেতরের দরজা খুলে



: জেনে খুশি হবেন, আমি শেষমেশ আপনার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি।

: আমার ভেতরে যে ‘আমি’ নেই, সে-ই বাস করছে প্রতিনিয়ত। আমাদের মাঝে কোনো সংঘাত নেই—হয়তো সেই কারণেই, আপনি তাঁকে আমার অন্তরে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছেন?

: নিশ্চয়ই। আপনি যত বার তাঁকে জড়িয়ে ধরেছেন, আপনার ভেতরটা তত বারই দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

: আপনি এত কিছু জানলেন কীভাবে? এত অনুভব তো আমি নিজেকেও প্রকাশ করতে পারিনি, বার বার গোপন রেখেছি। আমার সঙ্গে এটা কেন ঘটছে?

: আপনি নিজেই গভীরভাবে আমায় চেয়েছেন—তাই আমায় আসতেই হয়েছে। এখন আপনি চাইলেও আর হঠাৎ করে একা হয়ে যেতে পারবেন না।

: কেন জানি না, আমার খুব শীত করছে। আপনি যতটা বলেছেন, তা হয়তো আমার প্রশান্তির জন্য যথেষ্ট; তবুও, আমার এ বিশেষ অনুভূতির কোনো ব্যাখ্যা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। আমায় সাহায্য করুন।

: হা হা, এই উত্তর আপনাকেই খুঁজে নিতে হবে। আপনি নিজেই ‘নিজ-আত্মায়’ তাঁর উপাসনা করেছেন।

: আমি তাঁর অনুভব থেকে মুক্তি চাই না, বিশ্বাস করুন।

: হা হা, আপনি কখনোই তাঁর অনুভব থেকে মুক্ত হতে পারবেন না। আর এখন থেকে আমিও আপনাকে সে পথে এগিয়ে নিতে অপারগ।

: অন্ধকার আমার ভীষণ প্রিয়। যদিও তাঁর ভয় ছিল অন্ধকারে, তবু আমার সাথে সেই অন্ধকারে, তিনি তাঁর আত্মাকে আমায় ছুঁয়ে থাকতে দিয়েছিলেন।

: তাই কি তাঁকে ছেড়ে আসতে গিয়ে আপনি এতটা ভেঙে পড়েছেন?

: আপনি কী মনে হয়? আমি তাঁকে ‘ভালোবাসি’—তা তিনি কতটা বুঝতে পেরেছেন?

: বোঝানোর প্রয়োজন নেই। যে আপনার আত্মার এতটা কাছাকাছি বসবাস করে, তার প্রতি আপনার ভালোবাসার গভীরতা আন্দাজ করার স্পর্ধা আমার নেই—ক্ষমা করবেন।

: আপনার হৃদয়ে আমার পদার্পণে, আপনার ক্লান্তি কমে গেছে।
Content Protection by DMCA.com