: এই আপেক্ষিকতার জমকালো ভিড়ে, তুমিই প্রথম বলেছিলে—নিজেকে যেন সবসময় ভালো রাখি।
এভাবে নিঃসঙ্গতায় আর কতদিন কাটিয়ে দেবে?
কষ্ট হয় না তোমার—এভাবে একা বাঁচতে?
আক্ষেপ হয় না—দায়িত্বের ভারে দীর্ঘশ্বাসগুলো আড়াল করে রাখতে?
নিজের বলে মেনে-নেওয়া মানুষগুলোও কি তবে সত্যিই নিজের নয়?
সবচেয়ে কাছের মানুষটা হারিয়ে গেলে, আর কি কাউকে আপন করে নেওয়া যায় না?
তোমার আবেগ বুঝি আর কেউ স্পর্শ করতে পারে না?
এভাবে একা থেকে, দীর্ঘস্থায়ী সুখের সন্ধান কীভাবে মিলবে?
নিজেকে একবার প্রশ্ন করো—সত্যিই কি এই জীবনটাতে একা একা বাঁচা যায়? বুকের ভেতরটা কখনও ফাঁকা লাগে না তোমার, বলো?
অনেক হয়েছে শাস্তি—এবার থামো!
: কে বলেছে তোমায়—আমি একাকী আছি?
আমি নিজেকে নিয়ে বেশ ভালো আছি, অন্য কোথাও, অন্য কোনো গানে।
শুধু নিজের সঙ্গে থাকতে পারলেই, পৃথিবীর অন্য কোনো মানুষের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি তোমাকে একা করতে পারে না—পারার কথাও নয়।
পৃথিবীতে কোনো মানুষই অপরিহার্য নয়—এই সহজ সত্যটা মেনে নিতে দ্বিধা কই?
সুখ খুঁজিনি, বরং কষ্টকেই সবচাইতে আপন করে নিয়েছিলাম—ওটাই আমার সুখ।
: সত্যিই কি তোমার হৃদয়ে কারও জন্য একবিন্দুও জায়গা নেই?
এতটা নিষ্ঠুর তো আগে ছিলে না তুমি!
তোমার ক্ষতের গভীরতা আন্দাজ করার ধৃষ্টতা আমার নেই।
তোমার জীবনবোধ অনেক বড়ো, তোমার অভিজ্ঞতার কাছে আমি অজ্ঞ।
যে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়ার দৌড়ে কখনও মৌনী থাকে না—তার প্রশংসা তো করতেই হয়!
তবু কখনো জানতে চেয়েছ নিজের কাছে—শেষ সময়টায় কারও হাতে নিজের হাত রেখে চোখ বন্ধ করতে ইচ্ছে হবে না তো?
: অন্য কারও নির্ভরতায় বাঁচতে চাইনি তো।
নিজের সঙ্গে থাকতে থাকতে, নিজেকেই আমার আমিতে আত্মসমর্পণ করে চোখ বুজতে চাই।
এই প্রাণ যদি চলে যায়, তবুও আমি মিশে থাকব—আগন্তুক কারও চোখের গভীর দৃষ্টিতে।
কোনো কিছুই আঁকড়ে ধরতে নেই, পিছুটান কেন রাখতে চাইছ?
চলতি পথে যা-কিছু গ্রহণ করেছি, সবই তো কেবল একাধিক তুচ্ছ অভিজ্ঞতার অংশমাত্র।
: ভালোবাসতে চাওনি?
: না, শান্তি চেয়েছি।
আমাকে যা বাঁচিয়ে রেখেছে—ওতে পৃথিবীর কোন মানুষের কী ক্ষতি হয়েছে, বলো?
ভালোবাসার পথে হাঁটতে চাও? শান্তি যদি না পাও, তবে এমন ভালোবাসার প্রয়োজন আমি অনুভব করি না।
: শোনো, তোমার কখনো কি আমাকে মনে পড়েছে?
: সবসময়ই মনে পড়ে।