ভাবনা: এক হাজার ষোলো
………………………………………………………………
এক। আমি কোনো কবি নই, তবুও হলফ করে বলতে পারি, একটি সফল কবিতা লেখাশেষে কলমের খোঁচায় সর্বশেষ যতিচিহ্ন দিয়ে যে-তৃপ্তি নিয়ে কবি তার কবিতার গায়ে হাত বুলোয়, তুই আমার সেই তৃপ্তিটা!
দুই। Why do I feel so insufficient?
You know, dear... Love is a funny thing...
You can be all impressive... Have a good grade... Have all the high-value skills, a good career even...
Talents... Singing... Writing... Dancing...
But you are still not good enough for being loved...
তিন।
: আপনাকে আমার জিন জিন লাগে।
: আপনাকে আমার মানুষ মানুষ লাগে।
চার। আচ্ছা, এটা কি তোমাকে মনে পড়া হবে, যদি বলি, আমি তোমাকে যে অসংখ্য বার্তা পাঠিয়েছি, সেগুলো মনে পড়ছে, আর নিজের নিরুদ্বেগ ভালোবাসার প্রকাশ নিয়ে নিজেরই মায়া লাগছে আমার প্রেমিকসত্তার উপর?
খুব খুব কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু আমি…
বাদ দিই!
জানো, একা থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে…কিন্তু তুমি তো কাল্পনিক…
আমি কী করলাম…এতদিন?
পাঁচ। I am so tired to undo my life like this...Undo what I love...Undo whom I love...Undo my passion...
I feel like an emotional prostitute every day...
ছয়। শোনো, ভালোবাসার অপর নাম ঘৃণা নয়, তাই উদাসীন হলেম তোমার প্রতি। ঘৃণা কিন্তু ভালোবাসার থেকেও পবিত্র, নিখাদ।
অনুভূতি বা ভালোবাসার মধ্যে অনেক যৌনতা মেশানো থাকে, তাই উদাসীনতাই তোমার প্রাপ্য; যা তোমার ভালো লাগবে না, এ-ও জানি। এটাই আমার প্রতিশোধ।
সাত। When you fall in love with a player...tell them and show them how much you love, act out your crazy love, then...get married to some rich guy, have some kids, enjoy your life to the fullest...keep him guessing...confuse that motherfucker...
Now you've got every right to show him your wealth he can hardly dream of having.
আট। আমি রান্নাটাও করতাম মন দিয়ে, যদি তুমি খেতে। আমার সব পেরে যাওয়ার এক অদ্ভুত জাদুর কাঠি তুমি।
নয়। এ জীবনে তোমায় পেলে কি আমি তখন ভালো হয়ে যেতাম?
দশ। আপনার যদি কখনো অনেক টেনশন হয়, কষ্ট হয়, যা কিছুতেই কমছে না, তাহলে আঙ্কেল-আন্টি'র কাছে ঘুমোবেন বা তাঁদেরকে স্পর্শ করবেন। হাত ধরবেন, নখ কেটে দেবেন, হাত-পা টিপে দেবেন। দেখবেন, পৃথিবীর কোনো কষ্টই স্পর্শ করতে পারবে না। বাবা-মা'য়ের স্পর্শ এমনই।
বাবা-মা'কে বেঁচে থাকতে ছোঁয়া উচিত। না থাকলে সেদিন চাইলেও ছোঁয়া যাবে না আর!
এগারো। কে লাইভে সু*সা*ড করল, কে উপরতলা থেকে বাচ্চা ছুড়ে মারল, কে কাকে ডিভোর্স দিল, এসব ভিডিয়ো বা ছবি, প্লিজ, ফেইসবুকে শেয়ার দেবেন না। এতে কেবল ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছুই হয় না। আর নতুন এক জুটেছে আমাদের ‘রাসেল ভাই’। একেক জনের অভিজ্ঞ স্ট্যাটাস দেখে মনে হচ্ছে, সবাইকেই রাসেল ভাই নিজের চাচাত ভাই না বানিয়ে ছাড়বেন না।
ভাই, নিজে ভয় পান, খুব ভালো কথা। অন্যকে ভয় দেখানোর জন্য বানোয়াট নিউজ শেয়ার দিয়েন না। সবাই সব কিছু সহজভাবে গ্রহণ করতে পারে না। আমরা ফেইসবুকে আনন্দ পেতে আসি, একটু রিল্যাক্স করতে আসি, ভয় পেতে কিংবা ভয় দেখাতে না। তবে আপনারা অনেকেই আসেন এসব করতে।
আমার পরানের ভাই ও বোনেরা, আপনার ইচ্ছে করলে নিজে ভয় পান না, নিজের সারাউন্ডিং নেগেটিভিটি দিয়ে ডুবিয়ে রাখুন না! নাশতার সাথে নেগেটিভিটি গিলুন, ডেজার্ট হিসেবে মিষ্টির বদলে আপনার টেবিলে আতঙ্ক নামের ডিশ অবশ্যই রাখুন। দিনেদুপুরে পিকনিক করে রাসেল ভাইকে খান, কোনো সমস্যা নেই তো! কিন্তু এসব একা একা নিজেই খান। অন্যকে ফেইসবুকে কিংবা বাসায় দাওয়াত দিয়ে নেগেটিভিটি, ভয়, হতাশার কথা পরিবেশন করবেন না; এমনিতেই আশেপাশে বাজে কথা টেপ-রেকর্ডারের মতো বাজানোর লোকের অভাব নেই। আপনি একাই নেগেটিভিটিতে পিএইচডি করুন, আমরাও গোপনে প্রাউড ফিল করব।
এটা সম্পূর্ণটাই বাংলায় লেখা; আশা করি, হিব্রু কবিতা কিংবা উর্দু শায়েরি লিখে আবার বুঝিয়ে দিতে হবে না।
বারো। জানিস, যখন না ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে আসে, ইচ্ছে করে, তোর কোলে মাথা রেখে টানা ছ-ঘণ্টার একটা ঘুম দিয়ে উঠি।
যখন খুব আনন্দ আসে জীবনে, তোকে জড়িয়ে ধরে খুব যত্ন করে আদর করে দিতে ইচ্ছে হয়।
আবার খুব যন্ত্রণায় ছটফট করি যখন, তোর মুখখানি কল্পনাতে আমার লাগেই লাগে।
কল্পনা করলেই আমি সেরে উঠি।
যখন হেরে যাই, শুধু তোর কাঁধটাই খুঁজি, পাই না যদিও…তবুও খুঁজি…
আর জিতে গেলে তো মেডেলগুলো তোর নামেই তুলে রাখি।
ওইদিন এক প্যাকেট মিষ্টি নিয়ে তোর অফিসে গেলাম। তোর চেয়ারটা ঠিক কত উঁচুতে, তা তো জানতাম না। সেদিন দেখলাম, অফিসের বড়ো স্যাররাও তোকে স্যার বলে। এ দেখে আমি চুপচাপ বাড়ি চলে এলাম।
তোকে দেখা আর হলো না। তোর চেয়ারটাও দেখা হলো না। যাক, ভালোই হয়েছে। আমি যখন তোকে প্রথম ভালোবাসি, প্রথম চুমু খাই, তুই তো সেদিন খুব ছোট্ট এক চাকুরে ছিলি। আজ এত বছর পর বড়ো চেয়ারে বসবি, এটাই তো হবার কথা। আমি ওই বাচ্চা ছেলেটিকেই ভালোবেসেছি তো, তাই অফিসের বড়োবাবু হয়ে-যাওয়া লোকটার সামনে যেতে অস্বস্তি হলো। ভাবলাম, যদি বিরক্ত হোস!
যাব না আর সামনে। আমি দূরে চলে যাব।
কিন্তু জানিস, আমার বুকভরা খালি তুই, আমার বুকভাঙা ঢেউয়েও খালি তুই।
তুই, তুই আর তুই। এই তুইটা আমার একার, আমার খুব আদরের, যত্নের, মায়ার।
কেন সামনে গেলাম না ওইদিন? অ্যাদ্দিন পর যদি বলিস, তোর এখন মেমসাহেব আছে কিংবা গিন্নি! আমি কেন মানব? এরা কোথায় ছিল, যখন আমি তোর জীবনে এসেছিলাম?
আমি ওসব মানব না। কাউকে ভাগ দেবো না। প্রয়োজনে নিজেকে ভাগ করে জলে ভাসিয়ে দেবো, তবুও তোর ভাগ দেবো না। তুই যে আমার…
হ্যাঁ, তুই, তুই, তুই শুধুই আমার।
ভাবনা: এক হাজার সতেরো
………………………………………………………………
এক। একটা কলগার্লও, যদি কাউকে একবার ভালোবেসে ফেলে, সেই মানুষটার পাশে অন্য কোনো মেয়েকে সহ্য করতেই পারে না।
দুই। একান্ত নিজের একটা মানুষ বলতে যা বোঝায়, তার ভাগ মানুষ কখনও কাউকে দেয় না। অথচ একান্ত নিজের যে-সময়টা, সেটা অনেকে যাকে-তাকে দিয়ে বসে থাকে। ওরা দুঃখ পাবে না তো কে দুঃখ পাবে? কিছু অবসর নিজের জন্য থাকা খুব দরকার। ওই সময়টা সবচাইতে কাছের মানুষটিকেও দিতে নেই। ঈশ্বর এবং আপনি নিজে বাদে আর কেউই আপনার মনটাকে সারাতে পারে না।
তিন। আপনারা কেউ কেউ খেয়াল করেছেন, আমার অফিসে দাপ্তরিক প্রয়োজন ছাড়া অন্য প্রয়োজনে এলে আমি সাধারণত দেখা দিই না। এর মূল কারণটা বলছি। অফিসের কাজে আমাদের অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। (এটা বলার মতো কিছু নয়, সবাইকেই এমন ব্যস্ত থাকতে হয়।) তাই পড়াশোনা, লেখালেখি বা অন্য যে-কোনো ভালোলাগার কাজ করতে হয় অফিসের সকল ধরনের চাপ সামলানোর পর বা পাশাপাশি। আমি সৃষ্টিশীলতার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাই। সৃষ্টি করার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। পড়তে ও লিখতে প্রচুর ধৈর্য ও শ্রম খরচ করতেই হয়। এর জন্য প্রায়ই আমি ঠিকমতো ঘুমোতেও পারি না। এবং, এটা আমি মেনে নিয়েছি। এখন আপনিই বলুন, আপনার ফ্রাস্ট্রেশন, ক্যারিয়ার, প্রেমভালোবাসা, পড়াশোনা, ইনডিসিশন, পারিবারিক সমস্যা ইত্যাদি ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সময় দেবার আগ্রহ আমার কেন হবে?
সময় এক বার দিলেও বিপদ আছে। যাকে সময় দিই, সে বন্ধুদের কাছে গিয়ে আমার এতটাই প্রশংসা করে যে, দু-দিন যেতে না যেতেই আমার অফিসে সাক্ষাৎপ্রার্থীর চেয়ারে সিসি ক্যামেরায় ওর বন্ধুদের দেখতে পাই। কিছুদিন আগে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের খুবই চমৎকার একটা ছেলেকে অফিস-টাইমের পর প্রায় দুই ঘণ্টা সময় দিই। (এটা আমার জন্য অনেক অনেক অনেক সময়!) স্বাভাবিকভাবেই, আমার সাথে কথা বললে যে-কেউই সব ধরনের ফ্রাস্ট্রেশন ভুলে নতুন করে বাঁচতে চাইবে। আমি মানসিকভাবে মৃতপ্রায় একজন মানুষকে অসীম শক্তির অধিকারী করে দিতে পারি। এই আশ্চর্য ক্ষমতাটি আমার সত্যিই আছে। সেই ছোটো ভাইটি আমার কথায় এতটাই অনুপ্রাণিত হয়েছে যে, এখন সে প্রতি সপ্তাহেই আমার সাথে দীর্ঘসময় নিয়ে আলাপ করতে চায়। আমি বুঝতে পারি ওর আবেগ, ওর ভালোবাসা, ওর আন্তরিকতা। কিন্তু ভীষণ ব্যস্ততার কারণে আমার অবসর সময়টা আমি কাউকে দিতে পারি না। ইদানীং পারতপক্ষে কারও ফোনও আমি ধরি না। (আমাকে আপনি কখনও চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দেখবেন না। আড্ডা দিতে আমারও তো ইচ্ছে করে।)
আমাকে এত বেশি মানুষ (নিজের প্রয়োজনেই) ভালোবাসেন যে, অফিসের কাজের বাইরে যেটুকু সময় পাই, তা যদি আমি লোকজনকে দিতে থাকি, তাহলে আমার ব্যক্তিগত জীবন বলে আর কিছু থাকবে না। কেবল এ কারণেই, আমি রাস্তাঘাটে কারও সাথে দেখা হলে বেশিরভাগ সময়ই ভালো বা ফ্রেন্ডলি আচরণ করি না; আমি চাই, সবাই ছড়িয়ে দিক, ভার্চুয়াল জগতে ভালো হলেও বাস্তবে আমি একজন খারাপ মানুষ, ভুল করেও আমার কাছাকাছি যাওয়া যাবে না। যে-কাজটি করার জন্য আমি ঘুমের মতো এত বড়ো একটা সুখকে স্যাক্রিফাইস করি, সেই কাজের সময়টা আমি আপনাকে দেবো? কিন্তু কেন? আমি রাজনীতি করি না, আমাকে বই বিক্রি করতে হয় না, আপনার পয়সায় আমার সংসার চলে না। আমার জায়গায় আপনি হলে দিতে পারতেন অতটা সময়? আপনিই বলুন।
চার। একটা সিক্রেট শেয়ার করি।
আপনারা যে যা-ই বলুন না কেন, আমি সবসময়ই ধর্মের পক্ষে।
ধর্ম জিনিসটা ম্যাজিকের মতো। কোনো কারণে পেইজের রিচ কমে গেলে ধর্ম নিয়ে একটা পোস্ট দিলেই কাজ হয়ে যায়। তাই আমি ধর্মকে ভালোবাসি।
লোকে ধর্ম ভালো খায়,
আমি ধর্ম ভালো পাই।
মার্ক জাকারবার্গ জাতিতে ইহুদি হলেও তিনি সকল ধর্মের মানুষের পরম বন্ধু।
পাঁচ। ধর্ম জিনিসটা অক্সিজেনের মতো—নিজে জ্বলে না, কিন্তু অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে।
(ধর্ম নিজে সার্কাস না হলেও বেশিরভাগ মানুষকেই সার্কাসের জোকার বানিয়ে ফেলে।)
ছয়। ধর্ম শ্রেষ্ঠ হওয়ার চেয়ে ধর্মের অনুসারীরা শ্রেষ্ঠ হওয়া জরুরি। ইতিহাসের দিকে তাকালে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। মানুষ কর্ম ও তার ফল বা অর্জন দেখে সমীহ করে, ধর্ম দেখে নয়। তাই এসব নিয়ে কেউ জোর খাটালে তার বক্তব্য এবং তাকে নিয়ে সন্দেহ হয়।
সাত। উপেক্ষা করতে শেখো এবং নিজের কাজ নিয়ে আরও ব্যস্ত হয়ে ওঠো। এতেই সব শান্তি।
আট। শুনছ?
জানো, তোমার কাছে আমি কেমন ফিল করি?
সেইফ; বাবাকে জড়িয়ে ধরলে যেমন সেইফ লাগে, তেমন সেইফ।
ভাইয়ের পেছনে যে-ভরসায় দাঁড়াই, তোমার কণ্ঠে আমি সেই ভরসা পাই। মায়ের কাছে যে-শান্তি পাই, তোমার গন্ধে আমি তেমন শান্তি পাই। আয়নায় নিজেকে যেমন দেখি, তোমাকে আমি ততটাই প্রগাঢ়তা নিয়ে দেখি।
কিন্তু আমি কখনোই চাই না, তুমি আমাকে আগের মতো করে চাও, মিস করো।
পাশে একজন থাকতে বুকের কাছে অন্য কারও অভাববোধ বড়ো যন্ত্রণার, আমি দেখেছি।
নয়। কিছু মানুষের ভালো কথায় কাজ হয় না, ধরা খাওয়া লাগে, তারপর কাজ হয়।
আর কিছু মানুষের ধরা খাইলেও কাজ হয় না, বার বার ধরা খাওয়া লাগে, তারপরও কাজ হয় না।
এই দুইটার মধ্যে আপনি কোনটা?
দশ। পৃথিবীতে সবচেয়ে জঘন্য রকমের ভুল কাজটি হচ্ছে: নিজের থেকে অন্যকে বেশি ভালোবাসা এবং গুরুত্ব দেওয়া!
এগারো। ছেলেরা গার্লফ্রেন্ড বা বউয়ের টাকায় চললে কেমন জানি ছাগল ছাগল লাগে।
মেয়েরা নিজের বা বাপের টাকায় ছেলেদের চালালে কেমন জানি বেকুব বেকুব লাগে।
এবং, এ ধরনের কেইসে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, শেষমেশ, মেয়েরাই চরম বাজেভাবে ধরা খায়।
(ব্যক্তিগত অভিমত)
(আমার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে চাইলে তাড়াহুড়ো করবেন না। পড়ে গিয়ে ব্যথা পাবার আশঙ্কা আছে। ধীরে ধীরে উদ্ধার করুন, কোনো তাড়া নেই। নিজে উদ্ধার করুন, অন্যকেও উদ্ধার করার সুযোগ করে দিন।)
বারো। আমি তোমাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করি বলে আমাকে 'অন্ধ' প্রমাণ কোরো না।
তেরো। অনেক আগে তাহসানের একটা নাটক দেখেছিলাম। যতটুকু মনে পড়ে, তাহসান পাত্রী দেখছিল।
বেশ কয়েক জন পাত্রী দেখার পর সে একটা খুব ইন্টারেস্টিং মেয়ের সাথে দেখা করল। পাত্রী হিসেবে মেয়েটা খুব গুণী। চলনে-বলনে খুব স্মার্ট, কথা বলে খুব শ্রুতিমধুরভাবে। দেখতে ভালো, পড়াশোনাও ভালো জায়গা থেকে করেছিল। গান গাইতে পারে। সব মিলিয়ে খুব ইম্প্রেসিভ।
তাহসানকে তার মা-বাবা জিজ্ঞেস করলেন, “কী রে, পাত্রী পছন্দ হয়েছে?” তাহসান উত্তর দিল, “এককথায়—ইম্প্রেসিভ!”
মা-বাবা খুব খুশি হয়ে বললেন, “তাহলে বিয়ের আয়োজন করব?” তাহসানের উত্তর: “না।” আরও বলল, “মা, মেয়েটার সব গুণই আছে, কিন্তু আমি যাকে ভালোবেসেছিলাম, তার মতো আমার মনে ধরেনি।”
নাটকটার নাম ভুলে গেছি। কেউ সাহায্য করতে পারবেন?
চৌদ্দ। এলে বিয়ের পালা,
পালা...ছুটে পালা!
পনেরো। বেঁচে থাকা মানেই
বেচে থাকা—নিজেকে।
যে বেচতে পারে না, সে বাঁচতে পারে না।
ষোলো। তুমি কি আমার সাথে সত্যিই কথা বলবে না? আমার এখন ঝগড়া করারও শক্তি নেই। ঝগড়া করে কী লাভ? তুমি তো কথাই বলো না! আমারই লস ঝগড়া করে! তার চেয়ে বরং ঘুমোই . . . আমাকে অনেক বড়োলোক হতে হবে। ইদানীং আমার প্রধান সমস্যা দারিদ্র্য। আমার মধ্যে প্রেম-ভালোবাসার কোনো অভাব নেই, আমার কেবলই টাকা-পয়সার অভাব। আমাকে ধনকুবের হতে হবে যাতে তুমি কখনও বলতে না পারো যে, আমি গরিব বলেই তুমি আমাকে পাত্তা দাও না। আমাকে ভালো না বাসো, কিছু এসে যায় না; কিন্তু আমার দারিদ্র্য দেখে আমাকে ঘৃণা কিংবা করুণা করার সুযোগ আমি তোমাকে দেবো না।
সতেরো। চোখ বুজে থাকলেও, অর্ধেক ঘুম।
আঠারো। তুই ছাড়া আর কাউকেই আপন লাগে না। পর পর লাগে, ঘেন্না ঘেন্না লাগে। নিজেকেও পর পর লাগে, অন্যের মতন লাগে। দোহাই লাগে, তুই কখনও আমার মতন হয়ে যাস না।
উনিশ। বিশ্বাস করো, আমি অসুন্দর নই; আমি গরিব। আমার কাছে পার্লারে যাবার টাকা থাকলে সুন্দর হয়ে তোমাকে সিডিউস করতাম।
বিশ। Let's not speak about my ugly jealousy. Let's not ruin this moment. I'm sorry.
ভাবনা: এক হাজার আঠারো
………………………………………………………………
এক। এত আপন হয়েও রক্তাক্ত করতে বাধে না তোমার! একটুও বিঁধে না কোথাও! আমিই পারি না! তোমার জন্য বেঁচে আছি বলেই তো প্রতিদিন মারতে পারো! তোমারই জয়জয়কার!
দুই। You're the only sin I find heavenly.
তিন। শিমুল,
মন খারাপ, তাই লিখতে বসলাম তোকে। আচ্ছা, এবার ইদটা, ইদের ছুটিটা এত লম্বা কেন, বল তো? কাটতেই চাইছে না। আগে তো কখনও এরকম হয়নি।
আমার কি তবে বয়স বেড়ে গেল? আমি কেন ইদ, পুজো, বৈশাখ ভয় পাই, বলতে পারিস? আমি তো কখনোই অসামাজিক মানুষ ছিলাম না। ইদের আগের রাত্রে কখনোই আমার ঘুম হতো না খুশিতে।
আমি বুঝি না আজকাল আর নিজেকে। আমি শিখলাম, আমরা যেমন করে সময় কাটাতে চাই, তেমন করে কিছুই ঘটাতে না পারাকেই জীবন বলে। এজন্যই এখন আর খেপি না। শান্ত, স্থির নদীর মতন আকাশি-নীল শাড়িটা পরে জানালা দিয়ে অসময়ের বৃষ্টি দেখি।
আগের অস্থির আমি-টা হলে লেখালেখি ছেড়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ছুটে যেতাম। আর এখন! শাড়ি নষ্ট হবে, চুল এলোমেলো হবে, রাতে জ্বর এসে যাবে, পা পিছলে পড়ে যাই যদি…! এত এত কিছু মাথায় একসেকেন্ডেই চলে আসে। একেই কি বড়ো হয়ে যাওয়া বলে রে?
আচ্ছা, ছাড়। তোর কথা বল। ইদ কেমন কাটছে? বন্ধুদের খুঁজে পেলি? পেয়েছিস নিশ্চয়ই, নইলে আমাকে চিঠি দেবার কথা তো ভুলে যেতিস না। যা, ভুলে যা। তবুও ভালো থাক। ভুলতে তো হবেই, আজ নাহয় কাল। তো কাজ আগেভাগে গুছিয়ে নেওয়াই ভালো।
আমার না ইদানীং খালি কান্না পায়। এখন আবার পাচ্ছে। ভেবেছিলাম, বড়ো চিঠি লিখব, তা তো আর হলো না, চোখের জলে চিঠি ভিজে যাচ্ছে।
এটা আমার সতেরো নম্বর চিঠি। জানি, উত্তর আসবে না। তোকে লিখতে কী যে ভীষণ ভালো লাগে রে! এখন না কেমন জানি ইদ ইদ লাগছে আমার।
যাই রে, শিমুল। উত্তর পাবো না জেনেও অপেক্ষায় থাকি। অপেক্ষা ভালোই লাগে এখন।
ভালো থাকিস। ইদ মুবারক।
ইতি
তোর দীপা
চার। হেলমেট না পরে বাইক চালানোর অপরাধে ছেলেটা কিছুক্ষণ আগেই জরিমানা গুনল ২৫০০ টাকার। অল্প বয়স, কতই-বা হবে…২২ কি ২৩। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করল মাত্র ১ মাস ২৬ দিন আগে। দু-জন দু-জনকে পাগলের মতো ভালোবাসে। মেয়েটার বয়স ১৭, বাচ্চা মানুষ, আবেগ অনেক বেশি। বার বার ফোন করে নিজের প্রাণের চেয়েও প্রিয় মানুষটাকে জিজ্ঞেস করছে, আর কতক্ষণ লাগবে ফিরতে?
পুলিশের দৃষ্টিসীমানার বাইরে চলে যেতেই হেলমেটটা খুলে বাইকের পাশে ঝুলিয়ে স্পিডটা একটু বাড়িয়ে দিয়ে বাড়ির দিকে ছুটতে লাগল ছেলেটা। আহারে, বউটা তাকে কী যে মিস করছে! তার উপর যা গরম পড়েছে! কতক্ষণ আর হেলমেট পরে থাকা যায়!
দশ মিনিট যেতে না যেতেই পেছন থেকে একটা যাত্রীবাহী বাস (লালন পরিবহন) এসে বাইকটাকে ধাক্কা মেরে বেশ দূরে ছিটকে ফেলে দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই সব শেষ।
স্পটডেড! বেচারা আঘাতটা পেয়েছিল মূলত মাথায়। ডাক্তারের ভাষ্যমতে, হেলমেট পরা থাকলে হাসান হয়তো হাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হতো, তবে প্রাণে বেঁচে যেত।
হাইওয়ে পুলিশ অবশ্য বাসটাকে আটক করতে পেরেছিলেন, যদিও ওতে হাসানের মা, বাবা, স্ত্রী হাসানকে ফিরে পাননি।
পাঁচ। তোমার শরীর ছোঁবার পর, আর কারও মনও ছুঁতে পারছি না।
ছয়। যেখানে সম্মান পাবার সম্ভাবনা কম, সেখানে ভুল করেও যেয়ো না। বরং বাসায় বসে থাকো, একা একা পার্কে বা নদীতীরে ঘুরতে যাও। ভালো লাগে যা করতে, তা-ই করে ওই দিনটা কাটাও। ওদের অবাক করে দাও এটা বলে যে: "তুমি ওইদিন ব্যস্ত, যাবার সময় হবে না।" হোক তা মিথ্যে, মন খারাপ হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে মাঝে মাঝে মিথ্যে বলতে হয়। নিজের সম্মান খোয়ানোর পক্ষে কখনও কোনো অজুহাত দেখিয়ো না, দিনশেষে ক্ষতিই হবে।
ছয়। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তবে তাঁর কোনো মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নেই। চাইলে বৈধভাবেই আমি সার্টিফিকেট জোগাড় করে কোটা সুবিধা গ্রহণ করতে পারতাম। বাবাকে যখন এই সুবিধা গ্রহণ করার বিষয়টি বোঝাতে গেলাম, তখন বাবা খুব বিরক্ত হয়েছিলেন।
লেখাটি পড়ুন, একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয় পাবেন।
সাত। আপনার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে চলতে হবার মতো খারাপ সময় যার এখনও আসেনি, কখনোই তেমন কাউকে গায়ে পড়ে পরামর্শ দিতে যাবেন না। কখনো কখনো বুকে পাথর বেঁধে নিজের জ্ঞান নিজের পকেটে ঢুকিয়ে রাখতে হয়।
আট। 'লাপাত্তা লেডিস' দেখলাম। খুবই চমৎকার কাহিনি, সংলাপ, অভিনয়, মিউজিক, নির্মাণ। এ মুভির রিভিউ সময় পেলে লিখব। দেখার পর ভীষণ আফসোস হয়েছে এটা ভেবে যে, আমরা কেন এমন সহজ-সারল্যমাখা একটা সিনেমা বানাতে পারছি না? অথচ আমাদের শৈশব কেটেছে বিটিভি-তে বাংলায় ডাবিং-করা বড্ড সহজ-সারল্যমাখা ইরানি সিনেমা দেখে দেখে। অনেক বছর তো হয়ে গেল। আমরা আর কবে শিখব? এসব ভাবলে মন খারাপ হয়ে যায়।
নয়। মেসেজের জন্য অপেক্ষা করা
আর
মেসেজ সিন করে ফেলে রাখা
...এই দুইয়ের মাঝে যা থাকে, তার নাম মধুর সম্পর্ক কিংবা নিপুণ অভিনয়।
দশ। আমার মাথায় পাগলামি চড়িয়ে দিয়ে এখন কিনা পাগল ডাকো আমাকে!
এগারো। দুইটা কল কখনও ধরবেন না, জীবনে উটকো ঝামেলা কিছুটা হলেও কমে যাবে:
যে কলটা ধরার দরকার নেই
যে কলটা ধরলে মন খারাপ হয়ে যেতে পারে
যত কল ধরবেন, তত কষ্টে মরবেন।
সময় মূল্যবান। অন্য কাজ না থাকলে প্রয়োজনে রেস্ট নিন, তবু যাকে-তাকে সময় দেবেন না।
যে যত সময় দেয়, তার সময় তত খারাপ কাটে।
বারো। থুতু যেখানে-সেখানে ফেলবেন না, যথাস্থানে ফেলুন।
সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তে সঠিক রেজাল্ট।
তেরো। তুমি পাশ করতে পারো নাই কেন, সেটা বলো। আর কে কে পাশ করতে পারে নাই, সে খবর জানতে চেয়েছেটা কে?
চৌদ্দ। আপনজনের মৃত্যুর দিনটির কথা ভাবলেই আমার মাথা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। এমন নয় যে, আমার ভাবনার আকাশে কোনো হাঁড়িচাঁচা কণ্ঠ কিংবা বুনোঝাড়ের অসভ্যতা নেই। সেখানে ভিসুভিয়াসের অবাধ্য লাভাও আছে, আছে স্পাইডার লিলির মতো সরু সরু শব্দের মিছিল। কিন্তু তবুও, যখনই মানুষটার ছেড়ে যাবার কথা মাথায় আসে, কেমন জানি সমস্ত অনুভূতি সেপিয়া রঙের বিকেলের আলোর সাথে উবে যায়। আচ্ছা, আমার তো কেবলই নিজের মানুষগুলোই সম্বল, আমি কি তবে প্রলেতারিয়েতও হতে পারলাম না!
পরক্ষণেই মনে পড়ে, শুনেছি, মানুষ একা বাঁচে, একা বাঁচতে হয়। বেঁচে থাকাই নাকি সার্থকতা। আমি সার্থক হতে, আপাতত প্রাচীন এক সিন্দুকে মৃত্যু ও আপনজনের চিন্তাকে বন্দি করে সামনে এগুতে যাই। দেখি, বেঁচে থাকার ইচ্ছে, সুখ, এমনকী নিজের বলতে যা-ও কিছুটা নিঃশ্বাস ছিল, তা-ও আপনজন কিংবা মৃত্যুর সাথেই বন্দি হয়ে আছে। আমি বুঝে উঠতে পারি না . . . নিঃশ্বাস, সুখ কিংবা বেঁচে থাকার ইচ্ছের পরিপূরক কী! মৃত্যু, না কি আপন মানুষ?
ভাবনা: এক হাজার উনিশ
………………………………………………………………
এক। পৃথিবীর সকল পূর্ণতা আর অপূর্ণতা . . . দুটোর নামই ভালোবাসা।
দুই। সমস্যাটা যা-ই হোক বা যেদিক থেকেই হোক বা দোষটা যারই হোক, সারাক্ষণই ঝগড়াঝাঁটি বা মারামারি করে লোক হাসানোর চাইতে ব্রেকআপ বা ডিভোর্সের মধ্য দিয়ে ঝামেলামুক্ত হওয়া কি অনেক ভালো নয়? আপনাদের কী মনে হয়?
এ পৃথিবীতে কিছুই অপরিহার্য নয়, কেউই অপরিহার্য নয়।
তিন। দক্ষতা শুরু হয় অভিজ্ঞতা থেকে,
আর
শান্তি শুরু হয় একাকিত্ব থেকে।
বাঙালি...
ভালো কিছু বলার সুযোগ মাড়ায় না,
খারাপ কিছু বলার সুযোগ হারায় না।
কখনো তোমায় ভালো বলার সুযোগ নেয় না যে,
যেন তোমায় খারাপ বলারও সুযোগ পায় না সে।
চার। ওঠায় আল্লাহ, ঠেকায় কে!
পাঁচ। বাল এবং বালমার্কা মানুষ—যত পালবেন, তত পস্তাবেন। এরা জীবনে কখনও কোনো কাজে লাগে না, বরং ঝামেলা বাড়ায়; তাই দেরি হয়ে যাবার আগেই এদেরকে ফেলে দিন।
ছয়। : জিম ও ব্রথেলের মধ্যে মিল কোথায়?
: এই দুই জায়গাতেই লোকে ঘাম ঝরিয়ে উলটো পয়সা দিয়ে আসে।
সাত। একজন পুরুষের অসহায়ত্ব কখন সবচাইতে বেশি প্রকাশ পায়, জানেন? যখন সে মিথ্যা কথা বলে অন্যের কাছ থেকে সিমপ্যাথি আদায়ের চেষ্টা করে। প্রকৃত পুরুষ যে, সে কখনোই কারও কাছ থেকে সিমপ্যাথি আশা করে না।
আট। আপনাকে সম্মান দেখানো যার কর্তব্য, সে যদি কখনো আপনাকে অসম্মান করে, তখন তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, আপনার অর্জন।
নয়। খেলতে নেমে মাকে ডাকেন কেন? চিন্তাভাবনা করে খেলতে নামেন নাই?
ভাবনা: এক হাজার বিশ
………………………………………………………………
এক। আজ শুধুই অনেক আদর আসছে তোমার প্রতি। আমি ওজন কমাব এবার। তোমাকে ইমপ্রেস করতে হবে না? তুমি একদিন কাছে টানবেই। তখন যেন আমার সেরাটা তোমাকে উপহার দিতে পারি। এটাই মোটিভেশন হিসেবে কাজ করবে আমার। বুঝলে?
দুই। যেতে যেতে যে-দিন বহুদূরে চলে গেলে, সেদিন থেকেই প্রখর হয়ে গেছে আমার দৃষ্টিশক্তি। এখন তোমাকে স্পষ্ট দেখতে পাই। তোমার পাশে বসেও কোনোদিন এত স্পষ্ট দেখতে পাইনি তোমাকে।
তিন। একটু অসাবধানতায় ভেঙে টুকরো টুকরো হলো আমার প্রিয় একটা আয়না। টুকরো-হয়ে-যাওয়া ওই আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখি, সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছি আমি আর তুমি।
চার। আজ অবধি এত বার আমার স্বপ্নে তুমি এলে, অথচ মিষ্টি গন্ধে-ভরা একগুচ্ছ সাদা গোলাপ হাতে করে কেন নিয়ে এলে না! আমাকে কি তবে স্বপ্নেও ভালোবাসা বারণ?
পাঁচ। তোমাকে ধরে গাল টিপে দিতে ইচ্ছে করছে আমার।
কত্ত ভালোবাসি তোকে আমি! কে বোঝাবে তোকে!
অপেক্ষার দিনগুলো এত সুন্দর হতো না তোমার জন্য না হলে। তুমি সুন্দর, তাই অপেক্ষাটাও সুন্দর হয়ে ওঠে প্রতিদিন।
ভীর-জারা মুভিটা দেখেছ? আমি মনে হয় সেই জারা হয়ে যাচ্ছি, আর তুমি শাহরুখ খান তো আগে থেকেই!
ছয়। I love you, babe. I need to say it. Please let me…
সাত। বেঁচে যতদিন আছ, লড়ে যাও। এই লড়াটা সম্মানের, অপমান থেকে মুক্তি দেবে তোমাকে।
কারও মুখের দিকে তাকিয়ে থেকো না। কেউ ছাড় দেবে না তোমাকে। যে-কয়জনই এগিয়ে আসবে, সন্দেহের সুরে কথা বলবে ওদের সবাই।
আট। জানো, তোমাকে কেন আমি সব বলি? কারণ আমি শুধু চাই, তুমি আমাকে গ্রহণ করো।
নিজেকেও অনেকসময় মেনে নিতে পারি না আমি; কিন্তু আমি চাই, তুমি আমাকে মেনে নাও—আমার যত সমস্যা, যত খুঁত, ব্যর্থতা…
নয়। যা-ই হোক, তুমি ঠিকমতো কথা বললে এত দুর্ভোগ হয় না। কেন যে পারো না কথা বলতে তুমি! শুধু প্রয়োজনীয় কথাও বলো না কেন? আমি তো অনেক সাফার করি একা একা তোমার কথা-না-বলা হাজারো কথোপকথনে!
দশ। I wanted to feel desired by you. I always did…for a moment, I felt you too want to stay with me! Still!
I got deeply happy in my heart after that.
You withdraw quickly after I express my feelings. I don't know what to do.
I don't want to lose this friendship at any cost. Friendship is precious. It's not an issue if you can't sleep with me. We are done a long time ago in that area.
I suffer from your absence these days and I just shared with you my desires, you casually replied, that's it. I hoped for sex immediately after you replied. I'm sorry.
I don't know how to handle communication with you.
এগারো। বহু বছর আগে এক মেয়ে আমার সম্পর্কে খুব মজার একটা মন্তব্য করেছিল:
যার প্রিয় সবজি কাঁচামরিচ আর তিতাকরলা, সে কেমন মানুষ, তা তো বোঝাই যায়!
(এই পোস্ট তুমি দেখবে কি না জানি না। যদি দেখো, তবে জেনে রাখো, আমি আজও কাঁচামরিচ আর তিতাকরলা ভীষণ পছন্দ করি; তবে আজ আমি অনেক মিষ্টি, বিশ্বাস করো!)
পুনশ্চ। একটা মজার তথ্য দিই। কাঁচামরিচ আমি এতটাই পছন্দ করি যে, একবার অফিশিয়াল ট্রেনিংয়ে দিল্লিতে যাবার সময় ব্যাগে করে আধকেজি কাঁচামরিচ নিয়ে গিয়েছিলাম—যদি ওখানে না পাই, এই ভয়ে!
বারো। A person can never be creative and happy at the same time. Happiness is the end of creativity.
তেরো। মূলত দুই ধরনের মানুষই সুন্দর:
যারা চুপ থাকে
যারা গান গায়
বাকিরা, দিনশেষে, অসুন্দর।
চৌদ্দ। তৃষ্ণার্ত বাঙালিকে জলের উৎস দেখিয়ে দিলেও বিপদ। দেখিয়ে দিলে ঠিকই বলবে, এখন আমাকে ওখান থেকে এক গ্লাস জল এনে দিন। আপনি তখন জল এনে না দিলে সে আপনাকে ভুল বুঝবে; খারাপ আচরণ, এমনকী আপনার ক্ষতিও করতে পারে। যারা জলের উৎস জানা সত্ত্বেও তা দেখিয়ে দেয়নি, ওরা কিন্তু এ ধরনের কোনো ঝামেলায় পড়বে না।
বোবার শত্রু কম, উপকারীর মিত্র কম।
পনেরো। মেয়েরা যে পরিমাণ ভালোবাসতে পারে, সে পরিমাণ পড়তে পারলে বাংলাদেশে একটা মেয়েও বেকার থাকত না।
আবার ভালোবাসে এমন সব ছাগলকে, যারা দুইয়ের নামতাও পারে না। নিজে গাধা, আর প্রেম করে ছাগলের সাথে। সন্তানের নাম ঠিক করে রাখে: (মেয়ে হলে) ছাগধা কিংবা (ছেলে হলে) গাগল।
ষোলো। রাত জাগে সাধকেরা, যোগীরা আর পাপীরা . . .
সাধারণ মানুষ ঘুমোয়।
খোলা আকাশ, অন্ধকার রাত, আকাশ-ভরা তারা।
তারা দেখে মনে হতো, এই মহাবিশ্ব আমার বাড়ি। অন্য সব গ্রহও আমার চেনা। কয়েক ঘন্টা তারা দেখেই কাটিয়ে দিতাম।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে চোখে কিছু না দেখেও ঠিকপথে হাঁটার মাঝে কী যে আনন্দ!
কেউ কখনও বলে না, চলো, একসাথে জোছনা দেখি!
বলে না কেন? নারী কি তবে জোছনার চেয়েও সুন্দর?
নারী পাশে থাকলে জোছনার আলো ফিকে হয়ে আসে, না কি বাড়ে?
চলো, আমরা ছোটো হয়ে যাই। তুমি সতেরো বছরের প্রেমিক, আমি পনেরো বছরের কিশোরী।
তারপর কোনো এক জোছনা রাতে তুমি লুকিয়ে আসবে পুকুরপাড়ে। অন্ধকারে তুমি-আমি। প্রেম যেন অন্ধকারের সরোবরে ফুটে-ওঠা লাল পদ্ম।
আচ্ছা, পদ্ম কি লাল হয়? হিমুর হাতে কয়েকটি নীল পদ্ম। এই নীল তবে কোন নীল?
তোমার চোখের নীলের মতো একটা আকাশ পুকুরের জলে টলমল।
জোছনায় জলে তোমার-আমার ছায়া কাঁপবে বাতাসে। মনে হবে, তুমি-আমি কেমন এক হয়ে যাচ্ছি…
সতেরো বছরের লাজুক তুমি, আর পনেরোর আমি জোছনায় পাশাপাশি, কাছাকাছি।
না তুমি আমায় ছুঁতে পারছ, না আমি তোমায়। এভাবেই না ছুঁয়ে কেটে যাবে সারারাত, অস্পর্শ-সুখে।
সতেরো। যারে দিয়ে যা না হয়,
তার মনে তা না সয়।
এমন লোকে কোরো তুমি ভয়,
না যদি চাও স্বস্তি-সুখের ক্ষয়।
আঠারো। তোমার
ঠিক কাজে রয় চুপ,
ভুল কাজে বকে খুব—
এ-ও কি বন্ধুর রূপ!
উনিশ। যে-লোক তোমার স্বর্গে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন, তার ব্যাপারে সাবধান!
বিশ। আহারে, জীবনে কত কিছুই তো ছুটে গেল, খুব চেষ্টা করেও ধরতে পারলাম না! আবার যা যা ধরেছি, সেগুলি যে আমাকে খুব খারাপ রেখেছে, তা-ও নয়। এখন বুঝি, সব একসাথে পাওয়া যায় না, সব একসাথে করা যায় না। কিছু কিছু তো মিস হয়ে যাবেই! যা আছে, তা থেকেই সন্তুষ্টি খুঁজতে হয়। খুব করে চাইলেও এর বেশি একজীবনে মানুষ পায় না।
একুশ। ছোটোবেলায় বাবা-মা তোমার জন্য গাড়ি কিনে নিয়ে আসত, আর চেঁচিয়ে বলত... সারপ্রাইজ! নিজেকে এমনভাবে তৈরি করো যাতে বড়োবেলায় তুমিও ওদের জন্য হঠাৎ একদিন একটা গাড়ি কিনে এনে চেঁচিয়ে বলতে পারো... সারপ্রাইজ! (অজুহাত দেখিয়ো না, চাইলে ওরাও অজুহাত দেখাতে পারত।)
বাইশ। এমনও হতে পারে, তুমি মরার পর তোমার জন্য সে-ই সবচাইতে বেশি কাঁদবে, যার সাথে তুমি সবচাইতে বেশি খারাপ ব্যবহার করছ।
ভাবনা: এক হাজার একুশ
………………………………………………………………
এক। সে আসলেই ভাগ্যবান, যে নিজেকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে পারে! সে নিজেকে কখনও অন্যের কথায় ছোটো করে দেখে না। সে অনেকদূর যেতে পারে, ভালোভাবে বেঁচে থাকে।
দুই। লাইফে সারাজীবনই একটু সম্মান অর্জনের চেষ্টা করেছি শুধু। এখন দেখি, কেউ ভালোবাসে না। এটা কষ্ট দেয় আমাকে। কেন জানি না, এখন শুধু একটু ভালোবাসাই পেতে ইচ্ছে করে আমার।
ভালোবাসাহীন সম্মান দিয়ে কী করব আমি?
তুমিও হয়তো আমাকে সম্মান করো, কিন্তু ভালোবাসো না, তাই না? কারও ভালোবাসা আসে না আমার মতো ঠোঁটকাটা মেয়ের প্রতি। প্রতিবাদী মেয়েরা একাই মরে।
তিন। I make videos which nobody watches! But Sadhguru inspired me to invest my life where my heart is. It doesn't matter if it doesn't pay. Students don't consider me as a teacher, I'm more like a model, they comment. What can I do about it? I have a body like a model, I try to look presentable.
Sadhguru said, “If you don't live where your heart is, you will have everything but you will have nothing in the end."
So, I make videos about what I know. I like imparting knowledge. I don't want any recognition, I just want to make myself happy.
চার। I trust you! I'd wait for you to trust me back.
পাঁচ। আমি আগে বিয়ে চাইতেম, এখন শুধুই সুখী হতে চাই।
ছয়। I just want to be accepted by you. I can die trying to be accepted by you. Only you matter to me now!
It's just that you are my God and my lover too, so sex is involved here! You are a mix of everything—you are sublime and corporeal…both! It's important that I feel the closest to you.
I overshare, I am naked to you. I want to stay naked in your eyes because the person who is the closest to my soul deserves my naked body.
You are amazing. You know that? I'm forever mesmerized by you.
সাত। আমি তোমাকে অনেক জ্বালাচ্ছি, তাই না? কী করব, বলো? আমার লাইফটাই এমন যে, প্রতিটা বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ফেইস করি। ভাত-কাপড়ের সমস্যা নেই হয়তো, কিন্তু মানসিক সকল দিকেই আমার লাইফটা খুবই জটিল। মানসিক চাপে থাকি সব কিছু নিয়েই। তাই তোমার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় নিত্যদিনেই।
তুমি আমার কোনো বিলাসিতা নও, নিতান্ত প্রয়োজনের মানুষ—আমার ত্রাতা!
বাড়িয়ে বলি না আমি এসব। অনুভব করি আমি এসব। কথা বলতে পারি না কারও সাথে যা নিয়ে, তোমার দরবারে পারি আমি। এই ইনবক্স আমার মঞ্চ, আর আমার কোর্ট।
মন খারাপ লাগে জীবনের কঠোর বাস্তবতাকে সয়ে যেতে। আমি চাই না, তুমিও আমাকে ভুল বোঝো। তাই এত সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয়ও বলি তোমাকে।
সবাইকে বলা যায় না আমার মনের কথাগুলো, আবার তোমাকে না বললে হয় না। যার কাছে এই হৃদয়টা মেলে ধরেছি, তার কাছে মুখ বন্ধ রাখতে পারি না আমি।
It's no wonder that I fell for you as you are my therapist. You saved me while Covid! My whole adult life is therapy from you.
Meeting you was my destiny! I can't live without you.
জাগতিক কোনো নিয়মের মধ্যে তোমার সাথে আমার সম্পর্কটা ফেলতে পারিনি আমি; শুধু সমর্পণ করেই থেমে যেতে শিখেছি।
আট। পুরুষ-স্বাধীনতা কি নারী-স্বাধীনতা . . . সম্ভব সবই, থাকে যদি আর্থিক স্বাধীনতা। পকেট ফাঁকা থাকলে বা অন্যের টাকায় পকেট ভরলে স্বাধীনতা স্বাধীনতা করে চেঁচালে কোনো কাজ হবে না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলে তখন আর চেঁচাতে হয় না, লোকজন এমনিই সমীহ করে। অর্থই অর্থের মূল।
নয়। বসের পোস্টে হা-হা দেওয়ার অধিকার চাই।
দশ। আমি তোমাদের চেনা সেই মেয়েটিই, ছেলেবেলায় পুতুলের বিয়ে হয়ে যাবার পর যে ওর ছোটো ছোটো কাপড় বুকে জড়িয়ে কাঁদত। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে গোপাল ভাঁড় কিংবা ফেলুদা কেনা আমিটাও তোমাদেরই মতন আবেগপ্রবণ ছিলাম, জানো তো? আমিও ইদের জামা লুকিয়েই রাখতাম। আমারও ঝালমুড়িই ছিল প্রিয় খাবার। আমারও চুল বেণি না করে ছেড়ে রেখে আর চোখভরে কাজল দিয়ে স্কুলে যেতে মন চাইত।
আমারও তোমাদেরই মতন প্রথম প্রেম হয় স্কুলে। তোমাদের অনেকেরই যেমন প্রেমে পড়লে রেজাল্ট খারাপ হতো, ক্লাসে আসতে দেরি হতো, আমারও ঠিক তা-ই হতো। আমি একদম তোমাদের মতোই আটপৌরে একটা মেয়ে ছিলাম।
এরপর তো অনেক বছর কেটে গেল। আমার পুতুল, গোপাল ভাঁড়ের বই সবই কাকে কাকে যেন দিয়ে দিয়েছি। আমি ইদে আলাদা করে জামা কিনি না; ঝালমুড়ি, ফুচকা কিছুই খেয়ে স্বাদ পাই না। চুল খোলা, কাজল দেওয়া, প্রেম করা এসব তো স্বপ্ন মনে হয় আজকাল। তবে আমার রেজাল্ট ভালো হয় এখন। আমি এখন জেনে গেছি লাভ-ক্ষতির হিসেব। যেখানে লাভ নেই, সেখানে এখন আর আমিও থাকি না। আমার জীবন হচ্ছে প্রতিযোগিতার।
আমাকে শুধুই দৌড়োতে হবে, নইলে ছিটকে পড়ে হারিয়ে যাব। দৌড়োতেই যে জন্মেছি! থামা যাবে না, ক্লান্ত হওয়া যাবে না।
এগারো। মেয়েমানুষ ব্যাপারটাই প্রবলেম!
এই প্রবলেম থেকে কেবল তারাই দূরে থাকে, যাদের প্রবলেম আছে।
বারো। দূরের কাজ করলে শুরু,
তা হাতের কাজই হয়।
হাতের কাজ রাখলে ফেলে,
তা দূরের কাজই রয়।
তেরো। নামের আগে-পরে পেশা-লাগানো লোকেদের ব্যাপারে সাবধান!
চৌদ্দ। কারও সাথে কোনো কাজে ফোনে কথা বলার সময় যে-কারণে ফোন করেছেন, সেখানেই থাকুন। বাড়তি কথা বিরক্তির উদ্রেক করে। বিশেষ করে, "তুমি/আপনি এখন কোথায়?" জাতীয় প্রশ্ন পারতপক্ষে করবেন না। (তিনিও আপনাকে ওই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে তখন ভিন্ন কথা।) আপনার কী দরকার তার অবস্থান জানার? আপনার কাজটা হলেই তো হলো। অল্প পরিচিত কেউ যখন এই প্রশ্ন করেন, তখন মনে হয়, তার সাথে পরিচিত হয়ে পাপ করে ফেলেছি। যতটা পারেন সব ধরনের (নিতান্ত) ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ এড়িয়ে কথা বলবেন। এর নাম ভদ্রতা। দু-দিন আগে এক ছেলের সাথে পরিচয় হলো। এখন সে নক করলেই জিজ্ঞেস করে, দাদা, আপনি কোথায় আছেন? এখন মনে হচ্ছে, ওকে সময় দেওয়াটাই আমার ভুল হয়েছে।
পনেরো। সকালে উঠেই ফেইসবুকে একটা নিউজ দেখলাম: পরকীয়ায় জড়িয়ে ডিভোর্স বাড়ছে পাখিদের।
ভাবছি, আমরা মানুষ হয়েও মানুষ হতে পারছি না, অথচ পাখিরা মানুষ হয়ে যাচ্ছে!
ষোলো। যারে পেয়ার করি না, তারেও কেয়ার করতে হওয়া—এরেই কয় চাকরি।
কিছু কিছু সম্পর্ক চাকরির মতন।
ভাবনা: এক হাজার বাইশ
………………………………………………………………
এক। আম্মুকে দেখছি, সকালে বসে বসে কখন থেকে লালশাক বাছছে। কীভাবে পারে! এত ধৈর্য আম্মুর! আমার এত বোরিং লাগে দেখতেই…বাছা তো দূরে থাক! বুঝেছি, এমন ছেলেকেই বিয়ে করতে হবে, যে লালশাক বাছতে পারে!
দুই। তুমি ব্যস্ত থাকলেই আমি খুশি, কারণ তাহলে তুমি আমাকে ভুলে থাকতে পারবে। অনেকের মধ্যে তো আর আমি মনে আসব না। আমি চাই না, তুমি একা থাকো আর আমাকে মিস করো। মিস করাও অনেক কষ্ট, আমি জানি। আমি চাই না, এই কষ্টটাও তুমি পাও—তোমাকে এতটাই ভালোবাসি আমি।
আমি তোমাকে স্পেস দেবো ভাবছি, তাই বললেম। তুমি আমাকে মিস কোরো না।
তিন। আগে অপেক্ষা করতেম সফল হবার জন্যে। তার পরে হয়তো তোমাকে পাবো, এমনটাই মনে হতো। এখন সব হারিয়ে কীভাবে তোমাকে তা-ও চেয়ে বসে আছি আমি? এত বড়ো সাহস আমার!
চার। স্বপ্ন দেখি, এবার তাহসান আমাকে রিজেক্ট করেছে। আমার আসলে সমস্যাটা কোথায়? হয় তুমি, নাহয় তাহসান, বুঝলে? দু-জনই আমার স্বপ্নের মানুষ।
তাহসানও আসলে খ্যাত আছে, শুধু একটু গান পারে আর কি! আমি দেখেছি, অনেক সফল মানুষই খ্যাত হয়। আমার ভালো লাগে না। আমি ভাবি, আমি অনেক স্মার্ট এদের থেকে, কিন্তু আমি এমন লুজার কেন?
তাহসানের একটা বই বের হয়েছিল বইমেলায়। কয়েক পেইজ পড়েছিলেম আমি। ছ্যাহ্! কী যে আবেগপ্রবণ লেখা! খুবই খ্যাত!
দিন দিন আমার প্রিয় সব সেলেব্রিটি আমার কাছে কদর হারায়। তাহসানকেও এখন আমার খ্যাত খ্যাত লাগে।
ঋত্বিক রোশনকে তো এখন রীতিমতো বোকা বোকা লাগে! অথচ দেখতে খারাপ হয়ে গিয়েছে, এর জন্য নয়। আমি এখন কারও মন দ্বারা আকৃষ্ট হই, লুক দেখে ভালো লাগে না কাউকে।
‘খ্যাত’ কথাটা ‘বিখ্যাত’-এর ‘খ্যাত’ হয়ে গেল মনে হচ্ছে। বানানটা ‘ক্ষ্যাত’ হতে পারে। ধুর! এই তোমার জন্য সঠিক বানান পারতে হয় আমার! হুদাই পরিশ্রম!
আচ্ছা, আমি এসব কেন বলছি? লুজাররা কি এভাবেই কথা বলে? সফলদের এভাবে কথা বলতে ইচ্ছে করে না?
পাঁচ। You dangled what we could have in front of me when you told me where you live. Then you simply rejected me.
It's just cruel.
Please don't reply to me ever again. I'll stop writing to you when I'll fall in love with someone else. I'll fall madly in love again. I can't wait for that day to come in my life again.
I'll write to you alone, please don't write back to me. I feel played by you when you finally reply to me.
ছয়। : What is the similarity between a child and a dick?
: Everyone thinks he has got the best one.
সাত। তোমার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি না, কিন্তু তা করতে গিয়ে আমি কষ্ট পাই।
তোমার সব কথাই শিরোধার্য, তবে আমি কষ্টে পুড়ে ছারখার হয়ে যাই তোমার একটি কথায়—তুমি আমাকে বলেছ আমি যেন তোমাকে বিরক্ত না করি।
তোমাকে লিখলে চোখে পানি আসে। তুমি আমাকে রিপ্লাই আর কোরো না কখনও। প্রত্যাশার চেয়ে বড়ো ঘাতক আর হয় না!
নিশ্চয়ই তুমি আমাকে না লেখাতেই কল্যাণ নিহিত আছে। তুমি আমাকে লিখলেই আমি কাঁদি।
তুমি কখনও তোমার ঠিকানা বোলো না আমায়, ছুটে যেতে মন চাইবে আমার!
পাগলামির আরেক নাম তুমি।
সকালে উঠেই ভুলে যাই যে, তুমি আমার নও। শুরু হয় আমার ভক্তি, প্রেমভাব, অনুভবের স্রোত।
রাতে শোবার আগে মনে পড়ে, তুমি তো আমাকে চাও না।
কী-একটা অবস্থা!
আরও অনেক সময় লাগবে এই ক্ষত শুকোতে। আমার শহরে এখন তোমারই রাজত্ব।
তোমার জয় হলো আমার কবর মাড়িয়ে।
আমার ভেতরের বাচ্চাটাকে মেরে ফেললে তুমি এবারও…প্রতিবারের মতোই।
আট। আমি যদি ‘ভালোবাসি’ না বলতেম, আজ তোমার শরীর পেতেম, তাই না?
আমি যা সত্যি, তা-ই বলেছি। এর জন্য যদি তোমাকে হারাতেও হয়, তবে তা-ই সই।
নয়। কাউকে আপন ভাবা অনেক কষ্টের। সহজে কাউকে আপন ভাবা যায় না। কিন্তু একবার কেউ আপন হয়ে গেলে তার হাতেই জিম্মি হয়ে থাকতে হয় সারাজীবন। সে পারে মন ভাঙতে একনিমিষেই।
দশ। যাকে দেখলেই শীতের ফ্যাকাশে ভোরও রংধনুর মতো রঙিন লাগে, সে-ই আপনার প্রাণের মানুষ। অথচ সেই মানুষটাকে ছেড়েও বাঁচতে হয়! সেই বাঁচা কি আদৌও বাঁচা, না কেবলই আয়ু ফুরোনো?
এগারো। জলাশয়ের জল হয়েও আমি বেঁচে নিতে পারি পুরো একটা জীবন, যদি তুমি হাসিমুখে ছড়িয়ে দাও একমুঠো শিউলি।
বারো। এই যে পরীক্ষা দিয়ে ফেইল করলাম, আমি চাই, তার পরেও তুমি আমাকে মেধাবী ভাবো, কেননা আমি তোমাকে ভালোবাসি।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়, তোমার শহরে গিয়ে তোমাকে আবারও প্রেমে ফেলে বরের সাথে তোমার ঝামেলা বাধিয়ে দিই।
তারপর কী করব, তা অবশ্য এখনও ঠিক করিনি।
তেরো। As I walk down the memory lane, a sense of nostalgia creeps over me, when the wings of my mind take me back to those wonderful cherished days, days which were full of joy and splendour suffused with golden vibrant colours, days which promised me a bright and beautiful future—evergreen days which were my childhood.
I can still visualize those splendid hours spent in the love and affection of beloved friends, hours full of innocence and carefree laughter, hours which held no pain or sorrow or the grim reality of life. Those were the magic days when the mind was supercharged with the magnificence of only one thought: the thought of being alive in a world where little birds sang along in tune, flowers blossomed, winds whispered sweet caresses.
Those precious days have slipped away silently beyond my notice; today as I stand entangled in a web of misery and pain, engulfed in a world of sorrow, my mind walks down the memory lane—a lane I will never tire of walking.
চৌদ্দ। অবাধ্যতায় বেড়ে-ওঠা গোঁফের আড়ালে ছড়িয়ে-থাকা কমলার কোয়ার মতন ঠোঁটে হাসিরেখা টেনে বললে, চল সয়ালী, তোকে আজ নদী দেখাব! ওইখানে, ওই দিগন্তে নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে নীল কটকটিয়া। শুনেছি, গত পরশুই তেত্রিশ-শিকের খাঁচা ভেঙে মুক্ত হয়েছে। কতটা ককিয়ে ছিল, বল! তাই ভেবেছি, আজ তোকেও ছড়িয়ে দেবো আকাশে! আকাশের আরও কিছু রং নাহয় নিবি তুই লুটিয়ে!
সয়ালী আত্মশোকে মর্সিয়ে ওঠে! তা কোরো না…তা কোরো না…সবাই তো স্বাধীন হতে চায় না, সু! কেউ কেউ পরাধীনতায় ভরসা পায়, কেউবা পরাধীনতায় নিজেকে পায়। ধনুক থেকে তির বেরিয়ে কতক্ষণই আর আকাশে থাকে, বলো!
পনেরো। প্রকৃত ধার্মিক অসাম্প্রদায়িক।
আসুন, সাম্প্রদায়িক মনোভাবসম্পন্ন মানুষের ধর্মবোধ নিয়ে সন্দেহ করতে শিখি।
ষোলো। এ পৃথিবীতে কেউ কারও নয়। তোমরা আমার ফ্রেন্ডলিস্টে থেকে কী লাভ হলো, যদি আমার পোস্টে আমাকেই লাইক মারতে হয়? কাকে বিশ্বাস করব এ পৃথিবীতে!
সতেরো। প্রেমময় কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষ থেকে সাবধান!