গাণিতিক যুক্তি: ১২টি প্রশ্ন দেয়া থাকবে, যেকোন ১০টির উত্তর দিতে হবে। যেকোন তিনটি গাইড বই কিনে ফেলুন। প্রতিরাতে কিছু না কিছু ম্যাথস্ প্র্যাকটিস না করে ঘুমাবেন না। শর্টকাটে ম্যাথস্ করবেন না, প্রতিটি স্টেপ বিস্তারিতভাবে দেখাবেন। কোন সাইডনোট, প্রাসঙ্গিক তথ্য যেন কিছুতেই বাদ না যায়। কিছু ছোটখাট বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখবেন; এই যেমন, সাইডনোট লেখার সময় তৃতীয় বন্ধনীর আগে একটা সেমিকোলন দেয়া। ম্যাথসের প্রিপারেশন ঠিকমতো নিলে এ বিষয়ে ৫০য়ে ৪৯ পাওয়াও খুব কঠিন। আপনি যদি ১ মার্কসও কম পান, তবে আপনি হবেন বিরলতম হতভাগ্য ক্যান্ডিডেটদের একজন। একটু বুঝেশুনে পড়লে অংকে ফুলমার্কস পেতে সায়েন্সের স্টুডেন্ট হতে হয় না।
সরল: আগের বছরের প্রশ্ন, গাইড বই। সরল উত্তর করবেন সবার শেষে।
বীজগাণিতিক রাশিমালা, বীজগাণিতিক সূত্রাবলী, উৎপাদকে বিশ্লেষণ, একমাত্রিক ও বহুমাত্রিক সমীকরণ, একমাত্রিক ও বহুমাত্রিক অসমতা, সমাধান নির্ণয়, পরিমিতি, ত্রিকোণমিতি: আগের বছরের প্রশ্ন, গাইড বই। চাইলে ৯ম-১০ম শ্রেণীর সাধারণ গণিতের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়টি সলভ করে নিতে পারেন।
ঐকিক নিয়ম, গড়, শতকরা, সুদকষা, লসাগু, গসাগু, অনুপাত ও সমানুপাত, লাভক্ষতি, রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, অনুসিদ্ধান্তসমূহ: আগের বছরের প্রশ্ন, গাইড বই
সূচক ও লগারিদম, সমান্তর ও জ্যামিতিক প্রগমন, স্থানাংক জ্যামিতি, সেটতত্ত্ব, ভেনচিত্র, সংখ্যাতত্ত্ব: গাইড বই এবং ৯ম-১০ম শ্রেণীর সাধারণ গণিতের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়
বিন্যাস ও সমাবেশ: গাইড বই, ১১শ শ্রেণীর বীজগণিতের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়
সম্ভাবনা: গাইড বই, ১২শ শ্রেণীর বিচ্ছিন্ন গণিতের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়
মানসিক দক্ষতা: এ অংশের প্রশ্নগুলো একটু ট্রিকি হওয়ারই কথা। মাথা ঠাণ্ডা রেখে, ভালভাবে প্রশ্ন পড়ে, পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে উত্তর করতে হবে। এ অংশের প্রশ্ন হবে সহজ, এতোটাই সহজ যে কঠিনের চাইতেও কঠিন। ৩-৪ সেট গাইড বই কিনুন, সাথে ৩-৪টা আইকিউ টেস্টের বই। এ অংশে ফুল মার্কস পাবেন না, এটা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিন।
ভার্বাল রিজনিং: কিছু ঘোরানো কথাবার্তা দিয়ে একটা প্রশ্ন দেয়া থাকবে। ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য, বিজ্ঞান কিংবা অন্য যেকোনও বিষয় সম্পর্কিত একটা স্টেটমেন্ট দেয়া থাকতে পারে, যেটা পড়ে বের করতে হবে ওই স্টেটমেন্টের কোন অংশটা মিসিং। এক্ষেত্রে কমনসেন্স, গ্রামার এবং ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিল কাজে লাগবে।
অ্যাবস্ট্র্যাক্ট রিজনিং: কিছু ডায়াগ্রাম দেয়া থাকবে যেখানে কোন অবজেক্ট কিংবা আইডিয়ার বদলে যাওয়ার ধরনটা ভালভাবে খেয়াল করে ওই অবজেক্ট কিংবা আইডিয়ার পরবর্তী অবস্থানটা দেখাতে বলা হবে।
স্পেস রিলেশনস: একটা অবজেক্ট বিভিন্ন দিকে সরে গেলে কিংবা অবস্থান বদলালে সেটির মাঝামাঝি কিংবা শেষ অবস্থান সম্পর্কিত; কিংবা বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে সেগুলোতে লেটার কিংবা নাম্বারের অবস্থান সম্পর্কিত কোয়ালিটেটিভ কিংবা কোয়ানটিটেটিভ প্রশ্ন হতে পারে।
নিউমারিক্যাল অ্যাবিলিটি: এটি মূলত ম্যাথস, তবে একটু ভিন্ন ধাঁচের। এতে কোন সিরিজে/ ছকে/ ডায়াগ্রামে মিসিং নাম্বার বের করতে হবে। এটি করার জন্য কিছু সিম্পল ম্যাথস আর কমনসেন্স কাজে লাগবে।
মেকানিক্যাল রিজনিং: কিছু ছবি কিংবা ডায়াগ্রাম দেয়া থাকবে। সেগুলো সম্পর্কিত কিছু কথা লিখে প্রশ্ন করা হবে। প্রশ্ন দু’ধরনের হতে পারেঃ মাথায় করা যায় এরকম সিম্পল ম্যাথস কিংবা ডায়াগ্রামগুলোর বিভিন্ন অবস্থান কল্পনা করে উত্তর দেয়া যায় এরকমকিছু।
গাইড বই, আইকিউ টেস্টের বই, আর গুগলে ইংরেজিতে ‘ভার্বাল/ অ্যাবস্ট্র্যাক্ট/ মেকানিক্যাল রিজনিং/ স্পেস রিলেশনস/ নিউমারিক্যাল অ্যাবিলিটি প্র্যাকটিস’ কিংবা ‘ভার্বাল/ অ্যাবস্ট্র্যাক্ট/ মেকানিক্যাল রিজনিং/ স্পেস রিলেশনস/ নিউমারিক্যাল অ্যাবিলিটি টেস্ট’ লিখে সার্চ করে বিভিন্ন সাইটে ঢুকে নিয়মিত সলভ করুন। এ অংশে প্রশ্ন ‘কমন’ আসার কথা নয়, তাই ভাল করতে হলে অনেক বেশি প্র্যাকটিস করার কোন বিকল্প নেই।
স্পেলিং অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ: ভুল বানানে, ভুল ব্যাকরণে, ভুল যতিচিহ্নে কিছু শব্দ কিংবা বাক্য দেয়া থাকবে। সেগুলোকে ঠিক করতে হবে। কিংবা কিছু এলোমেলো বর্ণ কিংবা শব্দ ব্যবহার করে অর্থপূর্ণ শব্দ কিংবা বাক্য গঠন করতে হবে। ইংলিশ গ্রামারের প্রস্তুতি এখানেও কাজে লাগবে। গাইড বই, আইকিউ টেস্টের বই এবং অনলাইনে বিভিন্ন টেস্ট নিয়মিত দিলে কাজে লাগবে।
লেখাটি প্রথম আলো’তে ছাপা হয়েছিল।
লিংক: