ঠিক আছে, এই রাতটাও বরবাদ হলো! তোমার এই ফালতু ঘ্যানরঘ্যান আর ভালো লাগে না! এত অনুশোচনা নিয়ে প্রেমে পড়তে বলেছিলটা কে? এত বিশ্রীভাবে প্রেমে ফেলতেও-বা পায়ে ধরেছিল কে? তোমার বউ আছে, বাচ্চা আছে, প্রতিদিনই এইসব বলার মানেটা কী?
সব ছেড়ে-ছুড়ে আমার কাছে চলে আসতে হবে, এমনটা আমি বলেছি-ইবা কবে? না, বলিনি তো! এত বাহানা না দেখিয়ে সামান্য একটা চুমু খেলেই যে মেয়েটা চুপ হয়ে যেত, তাকেও পারছ না মানাতে? মাত্র ঘণ্টাখানেকের জন্য তোমার পরিবারকে মাথা থেকে সরিয়ে রেখে আমার সঙ্গে থাকা যায় না? কিছু সময়ের জন্য সমস্ত অপরাধবোধকে ছুটি দিয়ে আমাকে তোমার মনের একান্ত ঘরে রাখো নাহয়?
হ্যাঁ, আমি তোমার সংবেদনশীলতা সম্পর্কে জানি। একটি ক্ষতবিক্ষত-আহত আত্মা বয়ে চলেছ তুমি। তুমি চুপচাপ; আর এদিকে আমি চঞ্চল, আবেগি। তুমি বলো, প্রতিটি ফুর্তিই নাকি চড়া দামে কিনতে হয়! আমি বলি, হলোই-বা কিছু খরচ! এত জমিয়ে কী হয়! জমানো পয়সা ও পুণ্য, দুই-ই তো লাগে পরের কাজে!
তুমি কী-একটা অদ্ভুত মানুষ! সংসার কি পরকীয়া, দুটোর একটাও গুছিয়ে করতে পারো না! তুমি বরং চলে যাও। চলে যদি যাও, তবে কি তুমি ভালো থাকবে? মনে তো হয় না! ওখানে ভালো থাকলে এখানে আসতেই তো না! তুমি ঘরেরও নও, পরেরও নও; এমনকী, তুমি তোমারও নও!
তুমি আমাকে ভালোবাসো কি না জানি না; তবে এটা জানি, তুমি আমার সঙ্গে ভালো থাকো। আমি তোমাকে ভালোবাসি কি না জানি না; তবে এটা জানি, আমি তোমাকে ভালো রাখতে চাই। একসঙ্গে থেকে যাবার জন্য এইটুকুই কি যথেষ্ট নয়!